সংবাদ শিরোনাম
Home / প্রথম পাতা / কুমিরায় সৎ মা ও তার ভাই পুত্রের অত্যাচারে অতিষ্ট ৬ ভাই বোন ঃ প্রতিকার চেয়ে ‘সাংবাদিক সম্মেলন’

কুমিরায় সৎ মা ও তার ভাই পুত্রের অত্যাচারে অতিষ্ট ৬ ভাই বোন ঃ প্রতিকার চেয়ে ‘সাংবাদিক সম্মেলন’

সীতাকুণ্ড টাইমস ডেস্কঃ
নিজের মায়ের মৃত্যুর পর বাবা পাশের বাড়ির কাজের মেযেকে বিয়ে করার পর সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত ও সৎ মায়ের অত্যচারে অতিষ্ট হয়ে পিতার বিরুদ্ধে সংবাদ সন্মেলন করেছে ছেলেমেয়েরা।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় স্থানীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কুমিরা ইউনিয়নের কাজীপাড়ার সাম ফকিরের বাড়ির মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে মোঃ ইসমাইল। তিনি অভিযোগ করে বলেন আমরা ৬ ভাই ও ২ বোন। মা-বাবাকে নিয়ে সুন্দর সংসার ছিলো। ২০০৬ সালে একদিন মা আকস্মিক জ¦রে মৃত্যুবরণ করেন। এর মাত্র ১০দিন পর বাবা মোহাম্মদ মিয়া আমাদের পাশের বাড়ির কাজের মেয়ে নুর বানুকে বিয়ে করেন। পরে জানতে পারি তার সাথে বাবার অবৈধ সম্পর্ক ছিলো। এরপর সৎ মা হয়ে বাড়িতে প্রবেশ করেন নুর বানু। ইসমাইল বলেন আমি ও ভাই আবুল হাসেম দীর্ঘ ১৮ বছর কুয়েত প্রবাসী ছিলাম। এসময় লাখ লাখ টাকা বাবার নামে প্রেরণ করেছি। সেই টাকা থেকে ১৬ লাখ টাকা ব্যায়ে একটি তিন তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং তৈরী করি। এছাড়াও পাঠানো আরো লাখ লাখ টাকা বাবার কাছে ছিলো। কিন্তু দ্বিতীয় বিয়ের পর সৎ মা ও তার এক ভাতিজা নিজাম উদ্দিন বাবাকে পরিচালনা করতে থাকে। নিজাম অত্যন্ত সুকৌশলে বাবার কোটি কোটি টাকা নিজের ব্যাংক একাউন্টে নিয়ে নিজে এখন কোটিপতি। কিন্তু আমরা নিজেদের ন্যায্য টাকা ও সম্পদ চাওয়ায় সৎ মা ও নিজাম মিলে বাবাকে ব্যবহার করে আমাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে যাচ্ছেন। এসব মামলায় আমরা দুই ভাই ১ মাস ৭দিন জেলও খেটেছি। কিন্তু তাতেও তারা ক্ষান্ত হয়নি। এখন তারা আমাদেরকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার জন্য নানারকম ষড়যন্ত্র ও হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন। বাড়ির ইলেক্ট্রিক, পানি বন্ধ করে দিচ্ছেন। নিজাম প্রকাশ্যেই হুমকি দিচ্ছেন যে যতদিন এই বাড়ি আমরা না ছাড়ি ততদিন এসব মামলা চলতে থাকবে। এ অবস্থায় আমরা নিজের শেষ আশ্রয়ও হারাতে বসেছি। এ অবস্থায় নিজেরা অসহায় দাবী করে সৎ মা ও নিজামের মিথ্যা মামলা ও অত্যাচার থেকে মুক্তি দাবী করে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন অপর ভাই আমিনুর রহমান, আব্দুল আলিম মনা মিয়া, হাবিবুর রহমান, মফিজুর রহমান, বোন রেজিয়া বেগম ও কোহিনুর আক্তার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *