সংবাদ শিরোনাম
Home / প্রথম পাতা / কে এস আর এম’র সহায়তায় ৩ হাজার পরিবারের পাশে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে সিএমপি দক্ষিণ জোন

কে এস আর এম’র সহায়তায় ৩ হাজার পরিবারের পাশে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে সিএমপি দক্ষিণ জোন

তালুকদার নির্দেশ বড়ুয়াঃ দেশের শীর্ষ স্থানীয় শিল্প লোহার রড প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান কে এস আর এম’র সহায়তায় বন্দর নগরীত খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের ৩ হাজার পরিবারের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ শুরু করেছেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) দক্ষিণ জোন।
জানা যায়, ৩০ শে মার্চ ২০২০ইং সোমবার দুপুর ১২টায় বন্দর নগরীর লাভলেইনস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সিএমপি কমিশনার মাহবুবর রহমান।
এসময় তিনি করোনাভাইরাসের সংক্রমন রোধে সরকার নির্ধারিত কর্মসূচি সবাইকে মেনে চলতে আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার যে কয়দিন সাধারণ ছুটি ঘোষনা করেছে সবাইকে সে কয়দিন ঘরে অবস্থান করতে বলেছেন। তা মেনে চললে সম্ভাব্য ক্ষতির হাত থেকে আমরা সবাই রক্ষা পাবো।তিনি শিল্পগ্রুপ কে এস আর এম’র প্রশংসা করে সমাজের অন্যান্য যারা বিত্তশালী আছেন তাদেরকে গরীব, অসহায়, খেটে খাওয়া কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। সিএমপি কমিশনার আরো বলেন, আমরা চাইলে সবাইকে ডেকে একসাথে ত্রাণ সামগ্রী তাদের হাতে তুলে দিতে পারতাম। কিন্তু নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের ফোর্সদের দ্ধারা কষ্ট করে আপনাদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার ব্যাবস্থা করেছি। আপনারা ঘরে থাকুন, নিরাপদ থাকুন, দেশকে নিরাপদ রাখুন। খাদ্য সামগ্রী আমরাই অাপনাদের কাছে পৌঁছে দেবো।সিএমপির চালু করা ভ্রাম্যমাণ বাজার নিয়ে তিনি বলেন,আমরা ২৪ ঘন্টা হটলাইন সেবা চালু রেখেছি। প্রতিটি থানায় একটি করে হটলাইন আছে। তাছাড়া নগর পুলিশের একটি হটলাইন আছে, যার নাম্বার ০১৪০৪০০৪০০। আপনারা ইতোমধ্যে জেনেছেন হটলাইনে ফোন পেয়ে আমাদের থানার ওসির গাড়ি গিয়ে রোগীকে হাসপাতাল পৌঁছে দিয়েছে। যার যেখানে যা প্রয়োজন আমাদের বলুন। তবুও ঘরে অবস্থান করুন।বাইরে বের হবেন না।
করোনার প্রাদুর্ভাব রোধে কে এস আর এম কর্তৃপক্ষ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে কর্মহীন ৩ পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। প্রথম ধাপে কে এস আর এম কর্তৃপক্ষ ( সিএমপি) দক্ষিন জোনের মাধ্যমে প্রতিটি পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ৩ কেজি আলু, ২ কেজি ডাল, দেড় কেজি পেয়াজ-রসুন, আধা কেজি লবন, ১ লিটার তেল ও ১টি সাবানসহ সর্বমোট ১৯ কেজি খাদ্য সামগ্রী ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য পর্যায়ক্রমে বিতরণ করবে জানাগেছে, এম সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার পর কে এস আর এম সাতকানিয়ায় কর্মহীন ২ হাজার ৩০০ পরিবারকে ১০০০ টাকা করে সহযোগীতা দান করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে।এর আগে ঘরে ঘরে গিয়ে কে এস আর এম এর প্রতিনিধি গণ সবার মোবাইলে নগর একাউন্ট চালু করে ডাটাবেইজ প্রস্তুত করেছিল।ত্রাণ বিতরণের বিষয়ে কে এস আর এম’র মিডিয়া এডভাইজর মিজানুল ইসলাম দৈনিক ইনফো বাংলাকে বলেন, কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ নীরবে দান করতে অভ্যস্থ। নগর পুলিশ প্রস্তাব দেওয়ার সাথে সাথেই কে এস আর এম ত্রাণের ব্যবস্থা করেন। চার দিকে সব বন্ধ। কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষের পাশে থাকতে পেরে কে এস আর এম শিল্প পরিবার ধন্য। ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এণ্ড অপারেশন) শ্যামল কুমার নাথ, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহ মো. আব্দুর রউফ, জোনের চারটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণসহ পুলিশের অন্যান্য উধ্বর্তন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কে এস আর এম শিল্প গ্রুপের ডি এম ডি শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেন, করোনায় সব চাইতে ক্ষতিগ্রস্থ দিন মজুর আর রিকসা ওয়ালারা। অামরা প্রথম দিকে কাজ করছিলাম যে যার যার পার্শ্ববর্তী এলাকায় রিলিফ দেওয়ার জন্য। বিশেষ করে দিন মজুরদেরকে কিন্তু পরে যখন সি এম পি এগিয়ে আসলো তারা ঘরে ঘরে সুন্দর করে পৌঁছে দেবে এবং এতো সুন্দর প্ল্যান যখন আমি দেখলাম তখন ভাবলাম যে,রিচার্স করলাম আমরা যাই করি প্রশাসনের মাধ্যমে করলে তা অন্তত পক্ষে রাতে ৮টা ৯টায় গিয়ে বাসা বাড়িতে দিয়ে অাসতে পারবে। এটাতে যেমন শোস্যাল ডিসটেন্স যেমন বজায় থাকবে, কোন রকম হই হুল্লুর হবেনা। আশা করি এটাই সবচেয়ে এফেক্টিভ দিক মানুষের কাছে সহজে রিলিফ পৌঁছে দেওয়ার । এই কারনে আমরা এগিয়ে আসলাম।এ মূহুর্তে আমাদের হাতে ৩হাজার পরিবারের রিলিফ মজুদ আছে। সামনে রমজান আসছে, তো আমরা চিন্তা করলাম যে এবার রমজানের আগে থেকে রিলিফ গুলো দেওয়া শুরু করবো,যাকাত ফাণ্ডের টাকাও দেওয়া শুরু করবো। কারন বলা যায় না এমন অবস্থা কতোদিন যাবত বিরাজ করবে। তবে দেশের কথা চিন্তা করে, আমাদের এলাকাবাসির কথা চিন্তা করে আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *