সংবাদ শিরোনাম
Home / জাতীয় / আতঙ্কের ২৯ এপ্রিল

আতঙ্কের ২৯ এপ্রিল

Voyal-29-april-bg ২৯ এপ্রিল ( সীতাকুণ্ড টাইমস ডটকম)– ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল। উপকূলে এ রাতে আঘাত হেনেছিল প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস। লাশের পরে লাশ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল চারদিকে। বিস্তীর্ণ অঞ্চল ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছিল। পরদিন বিশ্ববাসী অবাক হয়ে গিয়েছিল সেই ধ্বংসলীলা দেখে। কেঁপে উঠেছিল বিবেক।

উপকূলের সহায়-সম্বল ও স্বজনহারা কিছু মানুষ পেয়েছিলেন নবজন্ম। কেমন আছেন তারা। দুর্যোগ মোকাবিলার কী অবস্থা এখন উপকূলের। তাদের ছলছল চোখে বলা দুঃসহ অভিজ্ঞতা ও হৃদয়ের কথা নিয়ে বাংলানিউজের এ আয়োজন।

শামসুল ইসলাম এখনো আঁতকে ওঠেন
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার রায়পুরের বাসিন্দা শামসুল ইসলাম। পেশায় সাংবাদিক। ২৯ এপ্রিলের সেই ভয়াল রাতে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে প্রাণপণ লড়াই করে বেঁচে গিয়েছিলেন।

২১ বছর আগের সেই মুহূর্তগুলো এখনো ভেসে উঠলে চোখ জোড়া ছলছল করে তার। এবার শোনা যাক তার মুখেই:

“আমি তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। থাকতাম বড় ভাইয়ের সঙ্গে নগরীর পূর্ব মাদারবাড়ী এলাকার একটি বাসায়। আগের দিন বিকেলে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম। বাড়ি থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার পশ্চিমে ছিল বঙ্গোপসাগর আর আড়াই কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ছিল শঙ্খ নদ। পুরো রায়পুর প্রায় অরক্ষিত।

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছিল ক’দিন আগেই। ২৮ এপ্রিল রাতেও ছিল ৬ নম্বর বিপদ সংকেত। তবে আবহাওয়া ছিল স্বাভাবিক। ২৯ এপ্রিল সকাল থেকেই আবহাওয়ার পরির্বতন ছিল লক্ষ্যণীয়। মেঘের আনাগোনার পাশাপাশি ছিল গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। বাতাসও বইছিল হালকাভাবে। দুপুর গড়াতেই বাড়ছিল বাতাসের গতিবেগ।

বাড়িতে ছিলাম আম্মা, আমি ও বড় আপার মেয়ে বিলকিস। সন্ধ্যার পর শুরু হয় ঝড়ো হাওয়ার ঝাপটা। মাঝে-মধ্যে দমকা হাওয়া। আম্মা রান্নাবান্না শেষ করে ফেলেন। কিন্তু খাইনি কেউই। রাত নয়টার দিকে জেঠাত ভাই আবুল কালাম এসে আম্মাকে বললেন ১০ নম্বর বিপদ সংকেতের কথা। অনুরোধ করলেন সাইক্লোন শেল্টার বা নিরাপদ স্থানে চলে যেতে। আম্মা রাজি না হওয়ায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তিনি কিছুটা দূরের একটি পাকা বাড়িতে চলে যান বৃষ্টির ভেতরই। আমরাসহ বাড়ির ১১ পরিবারের সদস্যরা থেকে গেলাম নিজ নিজ ঘরে। সাড়ে ১০টার দিকে প্রচণ্ড গতিতে শুরু হয় ঝড়।

ঝড়ের ঝাপটায় পেরেক খুলে টিনের চাল উড়ে যাবার উপক্রম। ভরসা দিচ্ছিলেন আম্মা। হারিকেন জ্বালিয়ে একটি কক্ষে বসেছিলাম আমরা। রাত ১২টার দিকে জানালা ফাঁক করে বাইরে টর্চ লাইটের আলো ফেলতেই দেখি ঘরের দেয়ালের কাছেই পানি। তড়িঘড়ি করে আম্মা আর ভাগনিকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম ঘর থেকে।

সবাই মিলে পানি ভেঙে ভিটির উত্তর পূর্ব পাশে থাকা খড়ের গাদায় গিয়ে উঠলাম। শঙ্খের বাঁধ বিলীন হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে আসা পানি দ্রুত বাড়ছিল তখন। এ অবস্থায় একে অপরকে ধরে জীবন বাঁচানোর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছিলাম আমরা। কিন্তু বেশিক্ষণ তা পারনি। রাত সাড়ে ১২টায় বঙ্গোসাগর থেকে উঠে আসা জলোচ্ছ্বাস ও ঢেউ টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে নিয়ে যাচ্ছিল খড়ের গাদাটি।

আমার চোখের সামনেই অল্প খড়সহ বিচ্ছিন্ন হয়ে ভেসে গেলেন আম্মা ও ভাগনি বিলকিস। তখনো আমি প্রাণের মায়া ছাড়িনি। হঠাৎ দক্ষিণ দিক থেকে একটি খালি চালা এসে ঠেকল খড়ের গাদা ও গাছের সঙ্গে। উঠে পড়লাম তাতে। ১০ মিনিট পর চালাটি ভেসে যেতে লাগল পূর্ব দিকে। আধ কিলোমিটার যাবার পর চালা থেকে ছিটকে পড়ি আমি। ডুবে যেতে থাকি পানিতে।

মনে হলো এখানেই জীবন শেষ, মৃত্যু থেকে বাঁচার আর কোনো সুযোগ নেই। এমন সময় হঠাৎ ভেসে উঠলাম পানির ওপর। ঝড়ে ডালপালা ভেঙে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটা কড়ইগাছ পেলাম সামনে। জড়িয়ে ধরলাম গাছটি। একেকটি ঢেউ এসে আমাকে ডুবিয়ে চলে যাচ্ছিল মাথার ওপর দিয়ে।

গাছটি শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঢেউয়ের ধাক্কার মুখে নিজকে টিকিয়ে রাখছিলাম। ঢেউ যাবার পর মাথাটা কোনোভাবে তুলছিলাম পানির ওপরে। গাছটির ডালপালা না থাকায় ওপরে ওঠারও কোনো সুযোগ ছিল না। এভাবেই রাতভর চলে আমার জীবনযুদ্ধ।

সকাল সাতটার দিকে গাছ থেকে নেমে আসি। তখনো বুক সমান পানি। পানি সাঁতরে কোনোভাবে উঠে এলাম বাড়ির সামনের রাস্তায়। এ সময় রাস্তার দু’পাশে দেখা যাচ্ছিল শুধু লাশ আর লাশ। চিৎ, কাত, উপুড় হয়ে পড়ে থাকা বিবস্ত্র নারী পুরুষের লাশ।

তবে ভাগ্য ভালো বলতে হবে আমার মা আর ভাগনি বিলকিসকে বাড়ির কাছেই জীবন্মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

সন্তান কোলে মায়ের লাশ। চিরদিনের জন্য হারিয়ে যায় জ্যাঠাত ভাই ফয়েজ, তার ছেলে বাদশা ও মেয়ে মুন্নীসহ আমাদের বাড়ির তিনটি পরিবারের ১৬ সদস্য। রায়পুর ইউনিয়নে মারা যায় প্রায় ১০ হাজার মানুষ। তাদের অনেকের লাশেরও সন্ধান মেলেনি। এখনো সাগর ও মেঘের গর্জনে আঁতকে উঠি আমি।”

নিহত ২ লাখ:
২৯ এপ্রিলের ঘূর্ণিঝড়ে ২৫ ফুট উঁচু তীব্র জলোচ্ছ্বাসের তোড়ে ভেসে গিয়েছিল টেকনাফ থেকে ভোলার বিস্তীর্ণ জনপদ অবধি। এতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ২ লাখেরও বেশি মানুষ। ক্ষতি হয়েছিল ৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্পদ।

ওই ভয়াল রাতে কক্সবাজারে মারা গেছেন ৯০ হাজার ৫৪৩ জন। এর মধ্যে কুতুবদিয়ার ৫৭ হাজার, মহেশখালীর ১২ হাজার এবং চকরিয়ার ২১ হাজার আদম সন্তান ছিলেন।

বাঁশখালীতে মারা গিয়েছিলেন প্রায় ১২ হাজার মানুষ। এখনো বাঁশখালীর ১৮ কিলোমিটার এলাকায় বেড়িবাঁধ নেই। তাই আতঙ্কে আছেন লক্ষাধিক মানুষ। এ উপজেলার বড়ঘোনা, সরল, ছনুয়া, বাহারছড়া, খানখানাবাদ, গন্ডামারা, ইলশা, প্রেমাশিয়া এলাকার মানুষ এখনো প্রতি বর্ষায় নির্ঘুম রাত কাটান।

দুই দশক পরও অরক্ষিতই থেকে গেছে উপকূলীয় এলাকা। এখনো উপকূলবাসীর দিন কাটে চিন্তায়, রাত কাটে শঙ্কায়। জনসংখ্যার তুলনায় পর্যাপ্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়নি। কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে চট্টগ্রামের মিরসরাই পর্যন্ত ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ হয়নি পরিকল্পনা অনুযায়ী। নেই রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা।

ফলে বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবছর সৃষ্টি হয় ভাঙন। আবার সংস্কারকাজে অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে প্রতিবছর সরকারি বরাদ্দের কোটি কোটি টাকা লোপাট হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাব মতে, ২৯ এপ্রিলের জলোচ্ছ্বাসে কক্সবাজারের ৪৬০ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে ১৫৪ কিলোমিটার ভেঙে যায়। এর মধ্যে ৫৮ কিলোমিটার বাঁধের কোনো অস্তিত্বই ছিল না। ২১ বছর পরও এখন ৪০ কিলোমিটারের বেশি বেড়িবাঁধ ভাঙা।

সূত্র জানায়, ৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে ৩৮টি দেশের বিভিন্ন দাতাসংস্থা থেকে ৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার সাহায্য আসে। ওই টাকায় আশ্রয়কেন্দ্র ও বেড়িবাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিদেশি অনুদানে ৩ হাজার ৬০০টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের কথা থাকলেও হয়েছে ১ হাজার ২০০-এর মতো।

এর মধ্যে শতাধিক কেন্দ্র সাগরে তলিয়ে গেছে। চট্টগ্রাম প্রায় ৩৯১টি নতুন আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছিল। তার মধ্যে চট্টগ্রামের বাঁশখালীসহ কয়েকটি উপজেলার উপকূলীয় এলাকায় ৬৩টির মতো কেন্দ্র তলিয়ে গেছে।

আনোয়ারার উপকূলীয় রায়পুর ও জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের কিছু অংশ এখনো ভাঙা। গত তিন বছর ধরে চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে ১৮টি আশ্রয়কেন্দ্র। অরক্ষিত বাঁশখালীর ৩৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ। ফলে সামান্য জোয়ারে পানি ঢুকে পুরো উপকূলীয় এলাকা সয়লাব হয়ে যায়। রাজনৈতিক দলের নেতাদের আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের ওয়াদাও বাস্তবায়ন হয়নি।

আনোয়ারা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এম এ হান্নান চৌধুরী মঞ্জু বলেন, ২১ বছর পরও আনোয়ারা-বাঁশখালীসহ উপকূলীয় এলাকার মানুষের নিরাপত্তা আসেনি। একদিকে বঙ্গোপসাগর অন্যদিকে শঙ্খের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না আনোয়ারার মানুষ। এভাবে চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আনোয়ারার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে রায়পুর ও জুঁইদন্ডী।

শুধু আনোয়ারা বা বাঁশখালী নয়- কক্সবাজার, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পতেঙ্গা, সন্দ্বীপ, সীতাকুন্ড, মিরসরাই, চকরিয়া, পেকুয়াসহ বিস্তীর্ণ উপকূলীয় এলাকা লন্ডভন্ড হয়েছিল সেই রাতে। সর্বোচ্চ ২২০ কিলোমিটার গতিবেগে বয়ে যাওয়া ঝড়, জলোচ্ছ্বাসে বিরানভূমিতে পরিণত হয় ১৫ জেলার ২৫৭টি ইউনিয়ন।

‘ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাস আর্তনাদ করুণ কান্না’
ঘূর্ণিঝড়ের পরদিন থেকে দুই সপ্তাহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের তান্ডবলীলা সরেজমিন দেখে ৬৪ পৃষ্ঠার বই লিখেছিলেন গবেষক সাখাওয়াত হোসেন মজনু। শুধু তাই নয়, ‘ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাস আর্তনাদ করুণ কান্না’ নামের ওই বইটি বিক্রি করে সংগৃহীত ৫ লাখ টাকা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দানও করা হয়েছিল।

সাখাওয়াত হোসেন মজনু বলেন, “ঘূর্ণিঝড়ের পরদিন থেকে আমি চট্টগ্রামের উত্তর পতেঙ্গা, কুমিরা, সমুদ্রসৈকত, বিমানবন্দর, আনোয়ারা, বাঁশখালী, সন্দ্বীপ, উড়িরচরসহ প্রত্যন্ত উপকূলীয় এলাকা ঘুরে দেখেছি। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। সব ঘটনাই আমার বইতে তুলে ধরেছি। এখানে কোনো ধরনের অনুমান বা কল্পনার আশ্রয় নেওয়া হয়নি। এটা একটি প্রামাণ্য দলিল।“

“অল্পসময়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার অসুবিধার মধ্যে এতটা অঞ্চল কীভাবে ঘুরেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “তৎকালীন আজাদী সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদের সহযোগিতায় আমি কখনো রেড ক্রিসেন্টের হেলিকপ্টার, কখনো নৌবাহিনীর সি-ট্রাক এবং কখনো গাড়িতে চড়ার সুযোগ পেয়েছিলাম।আমার কৌতূহল ছিল আর ছিল প্রফেসর খালেদের অনুপ্রেরণা। তাই হয়তো অসাধ্য সাধন করা সম্ভব হয়েছে।“ যোগ করেন তিনি।

বইটি প্রকাশের পেছনে মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম নিপুর এগিয়ে আসার কথাও কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন সাখাওয়াত হোসেন মজনু।

শিশির বড়ুয়ার ফ্রেমে
আলোকচিত্রের ফ্রেমে ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবলীলা বন্দী করে রেখেছিলেন শিশির বড়ুয়া। প্রায় ৬০টি ছবি সংগ্রহে আছে তার। ফি বছর ২৯ এপ্রিল উপলক্ষে তিনি ছবিগুলোর প্রদর্শনী করেন চট্টগ্রামে।

আলোকচিত্রী শিশির বড়ুয়া বলেন, “ঘূর্ণিঝড়ের পর দিন ভোর পাঁচটায় আমার ক্যামেরাটি কাঁধে নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। কোনো যানবাহন নেই। হেঁটে হেঁটে এগোতে থাকি। চারদিকে মানুষের ক্ষত-বিক্ষত লাশ, গবাদি পশুর মৃতদেহ। ভাঙা গাছপালা, চাল উড়িয়ে নেওয়া বাড়িঘর। কর্মচঞ্চল জনপদ সেদিন পরিণত হয়েছিল বিরানভূমিতে।“

বন্দর থেকে শুরু করে কাঠগড়, উত্তর ও পশ্চিম পতেঙ্গা, আনোয়ারার গহিরা, পার্কি সৈকত এলাকা থেকে ছবিগুলো তুলেছেন। তিনি বলেন, “আমি অবাক বিস্ময়ে দেখেছিলাম সমুদ্রচরে একশ্রেণির লাল কাঁকড়ার কান্ড। একটি লাশকে ঘড়ি ধরা ঠিক ৪৫ মিনিটে সাবাড় করে ফেলতে পারে তারা। দুর্লভ এ দৃশ্যের ছবি তোলা আছে আমার। এ ছবিটি দৈনিক ‘বাংলার বাণী’র প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপা হয়েছিল।“

তিনি বলেন, “আনোয়ারার গহিরা এলাকায় দেখেছিলাম এডিস বৃষ্টিতে ঝলসে যাওয়া গাছপালা। যেন কেউ দাবানল লাগিয়ে দিয়েছিল ওই এলাকায়।“

“আমি যখন প্রথম দিন ছবি তুলতে গিয়েছিলাম জলোচ্ছ্বাস কবলিত মানুষ আমাকে ঘিরে ধরেছিল ত্রাণের জন্য। পরে আমি বুদ্ধি করে দারুল ফজল মার্কেটে আওয়ামী লীগের খাবার স্যালাইন প্রকল্প থেকে শ’খানেক প্যাকেট নিয়ে গিয়েছিলাম। ত্রাণের পথ চেয়ে বসে থাকা মানুষগুলোতে ওই স্যালাইন দিতেই তাদের মুখে হাসি ফুটল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *