সীতাকুন্ড টাইমস সীতাকুন্ড অনলাইন নিউজ পোর্টাল
জাহেদ চৌধুরী,সীতাকুণ্ড টাইমস ঃ
সীতাকুণ্ডে প্রবাসীর বাড়িতে দূর্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদল পরিবারের সদস্যদের হাত,মুখ বেঁধে নগদ সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা, ৪০ ভরি স্বর্ণঅংলকার, দুটি ল্যাপটপ, দুটি ট্যাব ও ৫ টি মোবাইল সেট নিয়ে যায়। রবিবার রাত দুইটার দিকে উপজেলার ৬নং বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়াডের মৃত রুস্তম আলী হাজির বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, রবিবার রাতেই বাঁশবাড়িয়া হাজী রুস্তম আলীর বাড়িতে ২০/২২ জনের একটি ডাকাতদল দরজা ভেঙে ঘরে ঢুুুকে অস্ত্রের মুখে পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে একটি রুমে আটকিয়ে রাখে। এ সময় তারা ঘরে থাকা নির্মানাধীণ মসজিদের নগদ টাকা, স্বর্ণঅলংকার, ল্যাপটপ, ট্যাব ও মোবাইল নিয়ে যায়। রাত তিনটার দিকে ৯৯৯ নম্বরের ফোন পেয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানার এসআই মোঃ ইলিয়াস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে মৃত রুস্তম আলীর পুত্র মোঃ আবু সৈয়দ জানান,“আমাদের একা বাড়ি,ভাইয়েরা আমেরিকা থাকে। আমরা বাড়িতে থাকি। রাত দুইটার সময় হঠাৎ ঘরের দরজা ভাঙার শব্দ শুনে রুম থেকে বের হতেই দেখি ২০/২২ জনের মুখ বাঁধা একদল ডাকাত আমাদের ঘরের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিন্মি করে একটি রুমে হাত, মুখ বেঁধে আটকিয়ে রেখে সব আলমিরার চাবি নিয়ে নেয়। এ সময় তারা ঘরের জিনিসপত্র সব তছনছ করে ফেলে। তারা আমাদের সবার মোবাইল কেড়ে নেয়। এক ঘন্টা ধরে ডাকাতদল ঘরে অবস্থান করে সব আলমিরা থেকে এক এক করে ৪০ভরি স্বর্ণঅলংকার, নিমাণাধীন মসজিদের নগদ সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা, ৫টি মোবাইল সেট ও বাচ্চাদের দুইটি ট্যাব এবং দুইটি ল্যাপটপ নিয়ে যায়। ডাকতদল প্রায় অর্ধকোটি টাকার মালামাল নিয়ে যায়। ডাকাতদল চলে যাওয়ার পর ৯৯৯ নম্বরে কলের সূত্রধরে পুলিশ বাড়িতে আসে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী জাহাঙ্গীর বলেন,“খবর পেয়ে আমি স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ ঐ বাড়িতে গিয়েছি। ডাকাতরা ঘরে থাকা নিমার্ণাধীণ মসজিদের নগদ টাকা, স্বর্ণাঅলংকারসহ দামী জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। আমাদের ইউনিয়নে রাতের বেলায় গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে টহল জোরদার করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় ঐ ওয়ার্ডটি ছাড়া বাকি সমস্ত ওয়ার্ডে আমাদের নিরাপত্তা কর্মী ছিল। আজ থেকে ওই ওয়াার্ডেও আমাদের গ্রাম পুলিশ কাজ করবে।”
এদিকে ডাকাতির বিষয়ে জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি মো.ফিরোজ হোসেন মোল্লা বলেন,“বিষয়টি জানার পর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি আসামিদের আইনের আওতায় আনতে।”
