সবুজ শাকিল,সীতাকুণ্ড টাইমসঃ
সাগরে মাছ ধরা বন্ধে সরকার ঘোষিত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকু-ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিক্ষুদ্ধ জেলেরা।রোববার(৯জুন) সকাল ১০ টায় উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের বাংলা বাজার এলাকায় ৪০ জেলে পল্লীর কয়েক হাজার জেলে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। এদিকে টানা দুই ঘন্টার অবরোধ চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দু’পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে যানজটে আটকা পড়ে চরম দুর্ভোগে পড়েন দূর-দূরান্তের হাজারো যাত্রী। এদিকে অবরোধের খবর পেয়ে সীতাকুণ্ডের সাংসদ দিদারুল আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায়,বাংলাদেশ হিন্দু,বৌদ্ধ,খিষ্টান কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এড.রানা দাশ গুপ্ত, এএসপি সার্কেল সীতাকুণ্ড শম্পা রানী সাহা ও উত্তরজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদ সভাপতি শ্যামল পালিতসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধির অনুরোধে দুপুর ১২ টায় জেলেরা অবরোধ তুলে নেয়। এতে মহাসড়কে আটকা পড়া যানবাহন চলাচল শুরু হলে যানজট স্বাভাবিক হয়ে যায়।
উত্তর চট্টলা উপকূলীয় মৎসজীবী জলদাস সমবায় কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি লিটন দাস বলেন, জেলেরা যখন মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সুদে দাদন নিয়ে ফিশিং বোট ও জাল মেরামত করে সাগরে যাওযার প্রস্তুতি নিচ্ছে ঠিক সে সময়ে ঘোষণা দেওয়া হয় ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ। বিকল্প কোন ব্যবস্থা না রেখে মাছ ধরা বন্ধ করায় চরম বিপাকে পড়েছে এ পেশার সঙ্গে জড়িত চট্টগ্রামের প্রায় ৫০ হাজার জেলে পরিবার। তিনি বলেন,সামনে ইলিশ ধরার মৌসুম। এ সময় ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণা করে লাখো জেলেকে বিপদে ফেলে দেয়া হয়েছে। তাই জেলেরা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছে।
জেলে পল্লীর বাসিন্দারা দুই ঘণ্টা যাবত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায় জানান, সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার দাবিতে বিক্ষুদ্ধ জেলেরা মহাসড়ক অবরোধ করেছিলো। কিন্তু ডিসি মহোদয়ের সাথে বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা করার আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেয়। এতে আটকা পড়া যানবাহন চলাচল পুণরায় স্বাভাবিক হয়ে যায়।