সংবাদ শিরোনাম
Home / প্রথম পাতা / সংকট মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যমত প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন

সংকট মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যমত প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন

আতাউল হাকিম আরিফ, সীতাকুণ্ড টাইমসঃ
চরম বৈশ্বিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সমগ্র পৃথিবীর মানুষ। উন্নত বিশ্বের দেশগুলো এই মুহুর্তে সবচেয়ে বেশি সংকটে। বিশ্বব্যাপী এতটা ভয়াবহ পরিস্থিতি বিগত ৫০ বছরেও মানুষ প্রত্যক্ষ করেনি।করোনা ভাইরাসের সাঁড়াশি আক্রমন একদিকে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘায়িত করছে অন্যদিকে ভয়ে আতঙ্কে প্রতিটি মুহুর্ত পার করছে মানুষ। Worldo Meter এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী করোনায় মারা গেছে ২০ মার্চ ৩০২০ খ্রীঃ পর্যন্ত ১১৪১৯, আক্রান্ত রয়েছে ২৭৬৬৬৫ প্রতিদিন,প্রতিটি মুহূর্তে এ পরিস্থিতি লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। চীন,ইতালীর মতো রাষ্ট্রে পরিস্থিতির ভয়াবহতা আমাদের যে অশনি সংকেত দিয়েছে সেখানে বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রে এই মহামারী ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে তা অনুমান করাও দুঃসাধ্য। কেননা বাংলাদেশ এটি মোকাবিলা করার মতো সক্ষমতা অর্জন করেনি,বাংলাদেশের সে সামর্থ্যও নেই।এটি মোকাবিলায় সারাদেশে লক ডাউন যদি করতে হয় বাংলাদেশের ব্যাপক সংখ্যাক লোক উপার্জনহীন হয়ে পড়বে,ফলে অনাহারেই তাঁদের দিনাতিপাত করতে হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য যে বাংলাদেশের পরিস্থিতি দিনদিন অবনতির দিকেই যাচ্ছে।সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি নিলেও কিছুকিছু বিলন্বিত সিদ্ধান্ত,কিছুটা সিদ্ধান্তহীনতা এখনো পরিলক্ষিত,পুরো জাতি যেখানে শংকার মধ্যে আছে সেখানে এইমুহুর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জাতীয় ঐক্যমত্যের মধ্যে দিয়ে টাস্কফোর্স গঠন ও ঘোষণাপত্র প্রদান।এইমুহূর্তে শংকট মোকাবিলায় নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বিশেষত বিশেষজ্ঞদের মতামতের প্রেক্ষিতে করণীয় নির্ধারণ করতে হবে।নির্বাচন স্থগিত সহ যেসব সেক্টরগুলো বন্ধ রাখার প্রয়োজন এখনি বন্ধ করে দেয়া হোক।ঔষধ/খাদ্যসামগ্রী
সহ অতিপ্রয়োজনীয় কিছু দোকানপাট ছাড়া সবকিছু বন্ধ করে দেয়া,খাদ্যদ্রব্য এবং অতিপ্রয়োজনীয় উৎপাদন সামগ্রী ছাড়া সমস্ত অফিস,মিলকারখানা বন্ধ করা,পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সীমিত করার মতো অতি সাহসী সিদ্ধান্ত নেয়া এই মুহুর্তে খুবই প্রয়োজনীয় বলে মনে করছি।এর পাশাপাশি হাসপাতাল প্রস্ততকরণ, ডাক্তার, নার্সদের সুরক্ষা, সংকটকালীন বৈশ্বিক দূরত্ব কমিয়ে আনা, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি রাষ্ট্রীয় তহবিলে বেসরকারী সংস্থা সমূহের অভূতপূর্ব সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়া-এই সমস্ত বিষয়গুলো সমন্বয় করতে হবে। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে সবাইকে ( ব্যবসায়ী/ শিল্পপতি/ উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা) কিছুনা কিছু ত্যাগ স্বীকার করতেই হবে। করোনার মতো বড় ধরণের মহামারী বা দুর্যোগ ঠেকানোর আর কোনো বিকল্পপথ আমাদের নেই।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি দেশ মাতৃকার অভিভাবক,আপনার দিকে চেয়ে আছে ১৭ কোটি মানুষ।তাই আপনার কাছে জনগণের প্রত্যাশা জাতীয় ঐক্যমত প্রতিষ্ঠার ডাক দিয়ে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় আপনি খুব শীগ্রই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।বিএনপি সহ সকল বড় রাজনৈতিক দলের কাছেও আমাদের প্রত্যাশা আপনারা সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সরকারের সাথে জাতীর বৃহত্তর স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করবেন।জাতি আপনাদের অবদানও চিরকাল মনে রাখবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *