নিউজ ডেস্ক। সীতাকুন্ড উপজেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের আমৃত্যূ সভাপতি, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের আমৃত্যূ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, স্কপ ও ২২ দলীয় ঐক্যজোটের সাবেক আহ্বায়ক শিল্পনগরী সীতাকুন্ড শ্রমিক কর্মচারী মেহনতি জনতার প্রিয় নূর আহমদ ভাইয়ের আজ দ্বিতীয় মৃত্যূবার্ষিকী পালিত হয়েছে। আজ ৫ ডিসেম্বর সকাল ৭ ঘটিকায় পারিবারিক আয়োজনে কোরানখানী, মিলাদ মাহফিল ও দোয়া- মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে গুলিয়াখালী মসজিদে। সকাল ১০ ঘটিকায় স্হানীয় ৩ নং গুলিয়াখালী ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ তাঁর কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা জানায়। এ সময় উপস্হিত ছিলেনঃ মুরাদপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি খোরশেদ আলম, ৩ নং গুলিয়াখালী ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নুরুলআআমীন শফি মেম্বর, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ বেলাল হোসেনসহ নেতৃবৃন্দগণ। এরপর মরহুমের কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা জানায় মুরাদপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহেদ পারভেজ বাপ্পীর নেতৃত্বে ৩নং গুলিয়াখালী ওয়ার্ড ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। একে একে ফুলেল শ্রদ্ধা জানায় মুরাদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে যুবলীগের নেতৃবৃন্দ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের পক্ষে শ্রদ্ধা জানায় সংগঠনটির সদস্য সচিব ও মরহুম নূর আহমদ এর আপন সহোদর ছোটভাই সাংবাদিক মুহাম্মদ ইউসুফ খাঁন, সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ হাসান মানিক, সদস্য রেজাউল করিম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন সীতাকুন্ড উপজেলা শাখার পক্ষে শ্রদ্ধা জানায়, সংগঠনের আহ্বায়ক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অধুনালুপ্ত জাতীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দীপক কান্তি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, যুগ্ন আহ্বায়ক জামাল উদ্দীন, সদস্য মুজিবুর রহমান, সোনাইছড়ি বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি সালাহউদ্দীন,মুরাদপুর ইউনিয়ন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি নোয়ামিয়া কন্ট্রাক্টর প্রমুখ। জাতীয় মানবাধিকার সংস্হা সেভ দ্যা হিউম্যানিটি- বাংলাদেশ, সীতাকুন্ড উপজেলা শাখার পক্ষে শ্রদ্ধা জানান সংগঠনটির সভাপতি সাংবাদিক মুহাম্মদ ইউসুফ খাঁন, সংগঠনের সমন্বয়কারী (চট্টগ্রাম – সীতাকুন্ড) মৃনাল কান্তি বিশ্বাস, সহ-সভাপতি স্বপন কুমার নাথ, অর্থ সম্পাদক রেজাউল করিম, উপদেষ্টা মোঃ রফিক মিয়া প্রমুখ। এছাড়া উপস্হিত ছিলেন মরহুম নূর আহমদকে খুব ভালবাসতেন এমন শত শত নেতাকর্মীগণ। স্বাধীনতা উত্তর সীতাকুন্ড উপজেলায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ – জাতীয় শ্রমিকলীগ এ দুটো সংগঠনকে চরম দূঃসময় থেকে সম্মুখ নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন মরহুম নূর আহমেদ। সীতাকুন্ডে আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি গৌরবোজ্জ্বল নেতৃত্ব জুড়ে মরহুম নূর আহমদ ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন ইতিহাসের প্রথমসারীর একজন উচ্চমান নেতা হিসেবে।তাঁর কীর্তিই তাঁকে সে স্হানে পৌঁছে দিয়েছেন বলে মন্তব্য আওয়ামী ভক্ত শত সহস্র জনতার। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর ভয়ে সীতাকুন্ডে আওয়ামীগ নেতাকর্মীরা যখন নিজ গৃহ ত্যাগে ব্যস্ত তখন এই নূর আহমদ লিফলেট বিতরন করেছেন সমগ্র সীতাকুন্ড জুড়ে যেটি একেবারেই অসম্ভব ছিল কারন মেজর জিয়া তখন সেনাবাহিনীর প্রধান , সামরিক প্রশাসক এবং বাংলাদেশের রাজনীতির নিয়ন্ত্রক। খন্দকার মোশতাক তখন রাস্ট্রপতি। ৭৫ পরবর্তী সীতাকুন্ডের রাজনীতিতে নূর আহমদ ছিলেন অদ্বিতীয় শক্তি। সীতাকুন্ডের রাজনীতির নিয়ন্ত্রক ছিলেন তিনি। আওয়ামীলীগ – শ্রমিক লীগ – যুবলীগ- ছাত্রলীগের প্রতিটি সংগঠনের সাংগঠনিক পদক্ষেপসমুহ তাঁরই নির্দেশে সম্পন্ন হ’ত। শ্রমিক রাজনীতিতে তিনি ছিলেন শ্রমিক কর্মচারীদের বিশ্বস্হ ও আস্হার প্রধান সোপান। তিনি যেমন ভালবাসতেন শ্রমিক কর্মচারী মেহনতি জনতাকে ঠিক তেমনী সর্বস্তরের কৃষক শ্রমিক মেহনতি জনতাকেও তিনি জীবনের চেয়েও বেশী ভালবাসতেন। অত্যন্ত সৎ নির্লোভ নিঃ অহংকার ত্যাগী খাঁটী মুজিব সৈনিক মরহুম নূর আহমদ যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন আওয়ামীলীগ – শ্রমিকলীগের সম্পদ ছিলেন। দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় যে সংগঠনটির জন্য নূর আহমদ এত ত্যাগ তিতিক্ষা করলেন জীবনের অর্ধশত বছর ত্যাগ করলেন সেই সংগঠনগুলো তাঁর মৃত্যূর পর আজ অবধি শোক সভা/ স্মরন সভা / করতে পারেনি গত দু’বছরেও। শুধু তাই নয়, গত দু’বছরে কিংবদন্তীতুল্য এ লিজেন্ড শ্রমিক জননেতার কবরে শ্রদ্ধা পর্যন্ত জানায়নি আওয়ামীলীগ- শ্রমিকলীগ। এ দৃশ্যপট দেখে শত শত মুজিব সৈনিকদের মধ্যে নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে যে, মরহুম নূর আহমদ এর মত এত বড় ত্যাগী সৎ নিবেদিত প্রান বীরমুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের প্রতি এমন আচরন হলে সাধারণ মুজিব সৈনিকদের প্রতি কেমন আচরন হবে তা সহজেই অনুমেয়। মরহুম নূর আহমদ এর দ্বিতীয় মৃত্যূ বার্ষিকীতে উপস্হিত ছিলেন তাঁর বড় সন্তান নুরুন্নবী নয়ন, ছোটভাই নাসির আহমেদ, ছোটভাই মোঃ নুরুল আমীন, ছোটভাই মোঃ আজম খাঁন, ছোটভাই মুহাম্মদ ইউসুফ খাঁন, ভাতিজা জাকারিয়া মাসুদ রিফাত, নাফিস প্রমুখ।