নাছির উদ্দিন শিবলু,সীতাকুণ্ড টাইমসঃঃ
‘বন্ধু যদি বন্ধুর মত হয় ভালবাসার বন্ধন থাকে চির অটুট’। আর সেই বন্ধুত্বতার ভালবাসার প্রমান দিয়েছে সীতাকুন্ড সরকারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯৬ ব্যাচের বন্ধুরা। খুব কাছের বন্ধুকে অকালে হারিয়ে ভালবাসাকে চীর স্থায়ী রুপ বন্ধুর অসহায় পরিবারের প্রতি হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কর্মজীবনে থাকা বন্ধুরা।
গত বছর এই দিনে নানা রোগে-শোকে বন্ধু মো. খাইরুল ইসলামকে চির জীবনের জন্য হারায় ৯৬ সাল পর্যন্ত সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে এক সঙ্গে হাসি ঠাট্টায় স্কুল জীবন পার করা ঘনিষ্ট বন্ধুরা। পরিবারকে একেবারে নিস্ব করে ছেলে সন্তান ও বন্ধুদের রেখে পরপারে চলে যেতে হয় তাকে। চলে যাওয়া বন্ধুর সাথে ব্যয় করা সময়গুলো ভাবিয়ে তুলে প্রতিনিয়ত আঘাত করতে থাকে একসাথে কাটানো বন্ধুদের। তাই বন্ধুর প্রতি ভালবাসার অুঁট রাখতে আর্থিক সাহায্যসহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহনে এগিয়ে আসে কয়েকজন নিবেদীত প্রাণ বন্ধু। শেষ বিদায় দিয়ে প্রয়াত বন্ধুর পরিবারকে সাহয্যে ভাবিয়ে তুলে তাদের। সেই ভাবনাকে মাথায় রেখে স্বাবলম্বী বন্ধুদের সাহযোগীতায় প্রয়াত বন্ধুর পরিবারের প্রতি সাহয্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। গত বছর পূর্বে ঈদের পূর্ব মুহুর্তে অনুদানের মধ্যমে বন্ধুর অসহায় পরিবারে ফুটিয়ে তুলে ঈদ আনন্দ। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও প্রয়াত বন্ধুর পরিবারকে আর্থিক অনুদান দিয়ে সহযোগীতা করে ৯৬ ব্যাচের একঝাঁক মানবিন বন্ধু। আর অকালে ঝরে যাওয়া বন্ধুর পরিবারের সাহায্যে মুখ্য ভ’মিকা রেখে চলছেন তারা হলেন, ডালিম, কামরুল, মিজান,পিনু,রাজিব,রাকিবসহ কয়েকজন। প্রয়াত বন্ধুর পরিবারের জন্য কিছু করতে পেরে গর্বিত বলে মনে করছেন এগিয়ে আসা বন্ধুরা।
প্রয়াত বন্ধুর পরিবারের জন্য অবদান রাখা সরকারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ৯৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী ডালিম বলেন,‘ কোনো মানুষ চীর জীবন বেচে থাকে না। আবার সব বন্ধুকে সবাই স্বরনেও রাখে না। কিন্তু আমরা আমাদের বন্ধুকে স্বারনে রেখে প্রয়াত বন্ধ ু খায়রুল ও জাহেদু কবির জুয়েল’ র পরিবারের পাশে দাড়াঁনোর চেষ্টা করেছে স্কুল জীবনের বন্ধুরা। আর্থিক সংকটের কারনে ভদ্র ও বিনয়ী বন্ধুর লেখা-পড়া মাধ্যমিক জীবনে শেষ হয়। স্কুল জীবনের অধিকাংশ সময় কেটেছে হাসি-ঠাট্টা আর দুষ্টমীতে। স্কুল জীবন শেষ হওয়ার পর দীর্ঘদিন তেমন কোনো যোগাযোগ ছিল না। এরমধ্যে সবার আগে ব্যবসা করে পরিবার নিয়ে সময় পার করেছিল। কিন্তু হঠাৎ বন্ধুর মৃত্যু খবর শুনতে পেয়ে মনের ভেতর নাড়া দেয়। এরপর মনের মধ্যে চিন্তা আসে জীবিত বন্ধুর কিছু করতে না পারলেও পরিবারের জন্য কিছু করা যাই কি না। সে থেকে স্বাবলম্বি বন্ধুদের মাঝে সাড়া পেয়ে গত বছর ঈদ আনন্দে প্রয়াত বন্ধু খাইরুলের পরিবারকে আর্থিক অনুদান দেয়া হয়। ঠিক এক বছর পর আবারো আর্থিক সাহায্যের মাধ্যমে বন্ধুকে স্বরনে রাখার চেষ্টা করেছি বলে জানান তিনি।
বন্ধুর প্রতি বন্ধুদের এমন মানবিকতা দেশের সকল বন্ধুদের দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। তাই বন্ধুত্ব স্বরন করে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ি মহত্ত দেখিয়েছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞা প্রকাশ করেছেন প্রয়াত বন্ধুর পরিবারের সদস্যরা।
Home / প্রথম পাতা / অকালে চির বিদায় নেয়া স্কুল বন্ধুর অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন ৯৬ ব্যাচের একঝাঁক নিবেদিত বন্ধু