সংবাদ শিরোনাম
Home / প্রথম পাতা / অনলাইন মিডিয়াতে ঝড় ঃ সীতাকুণ্ডে অবৈধ লাকী কূপন বন্ধ করে দিল পুলিশ

অনলাইন মিডিয়াতে ঝড় ঃ সীতাকুণ্ডে অবৈধ লাকী কূপন বন্ধ করে দিল পুলিশ

সীতাকুণ্ড টাইমস ডেস্ক ঃ
সীতাকুণ্ড পৌরসদরে সনাতন ধর্মালম্বীদের তীর্থমেলা কে কেন্দ্র করে মেলা শেষ হওয়ার পরপর শুরু হয়েছে লাকী কূপনের খেলা প্রথম পুরস্কার মোটর সাইকেল, ৫ভরি স্বর্ণসহ আকর্ষনীয় আরো অনেক পুরস্কার। প্রতিদিন রাত ১২টা থেকে শুর হয় লটারীর ড্র। প্রতিটি লটারীর মূল্য ২০টাকা হওয়ায় হাজার হাজার মানুষ লাকী কূপনের প্রতি ঝুকে পড়ে।
লাকী কূপণ নিয়ে ঝড় তুলে অনলাইন মিডিয়া ও ফেসবুকে। কয়েক লক্ষ টাকার পুরস্কার দিয়ে প্রতিদিন ১০লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষ থেকে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর তীব্র প্রতিবাদের পর সীতাকুণ্ড এসএসপি সার্কেল শস্পা রানী সাহা লাটারী মঞ্চ ভেঙ্গে দিয়েছে। হঠাৎ সন্ধ্যায় কলেজ রোডে লাকী কূপণ বিক্রি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উৎসুক জনতা ভীড় করে রেল গেইট এলাকায়।

সোশ্যাল মিডিয়াতে রিপন নামের এক যুবক মেলায় লাকী কূপণ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেয় এই ভাবে-

সীতাকুণ্ডে প্রশাসনের নাকের ডগায় অনুমোদনহীন অবৈধ লটারীর টিকেট বিক্রয় চলছে গত চার পাঁচ দিন ধরে।
সীতাকুণ্ডে শিব চতুর্দশী মেলাকে কেন্দ্র করে গত ৪/৫ দিন ধরে সীতাকুণ্ডের সদরে ও গ্রামে গঞ্জে দি আশা raffle ড্র নাম দিয়ে যে লটারীর টিকেট বিক্রয় হচ্ছে এই লটারীর কোন অনুমোদন নেই। জাতীয় লটারী নীতিমালা ২০১১ অনুযায়ী এ ধরনের লটারীর অনুমোদন পাওয়া সম্ভবও নয়। সীতাকুণ্ডের যে সকল জনসাধারন এই টিকেট ক্রয় করছেন আপনারা ভেবে দেখেছেন কি? আপনাদের কষ্টে উপার্জিত অর্থ দিয়ে গ্রাম গঞ্জ কিংবা পৌরসদরের ভ্রাম্যমান বুথ থেকে লটারীর টিকেট ক্রয় করে যে বাক্সগুলোতে ফেলছেন সে বাক্সগুলোর টিকেট কি আদৌ ড্র অনুষ্ঠানের জন্য রক্ষিত মুল বাক্সে ফেলা হচ্ছে? নাকি স্বচ্ছতা প্রমাণের জন্য নির্ধারিত কয়েকটা টিকেট বাদে বাকিগুলো হাওয়া হয়ে গিয়ে প্রতারকচক্রের নির্ধারিত টিকেট দিয়ে মুল বাক্স ভরা হচ্ছে? অনেকটা ভোট কারচুপির মত কারবার আর কি! এ তো গেল একটা বিষয়। এছাড়াও নানান প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খাওয়াটাই স্বাভাবিক! কারন অনুমোদন নেই তো! তাহলে বিষয়টা পুরোপুরি চলে গেল বিশ্বাস অবিশ্বাসের উপর। অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন সৈয়দপুরের রহিম মিয়া ছলিমপুরের সালেহা বেগম কিভাবে ১ম পুরষ্কার পেল? এই প্রশ্নের উত্তর বিশ্বাসীদের কাছে এক রকম অবিশ্বাসীদের কাছে অারেকরকম। যে যার যার মত মিলিয়ে নিন! কথা প্যাঁচাতে চাইলে প্যাঁচানো যাবে, বেশি না প্যাঁচিয়ে এক কথায় বলতে চাই সরকার যেহেতু ভুয়া লটারী বিক্রীর নামে যাতে কেউ প্রতারণা করতে না পারে তার জন্য লটারী অনুমোদনের ব্যবস্থা করেছে সেহেতু নিশ্চয়ই কোন যুক্তি সঙ্গত কারণ আছে, তদারকির ব্যবস্থা আছে।
আমার জানামতে মেলা কমিটিতে কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয় এবং সীতাকুণ্ডের কার্যকরী সভাপতি হিসেবে মাননীয় ইউএনও মহোদয় ছাড়াও অনেক শিক্ষিত সচেতন লোকজন আছেন। তারা কি এইসব দি আশা Raffle ড্র এর অনুমোদনের কোন খোঁজ খবর নেননি? খোঁজখবর নিলে দি আশা Raffle ড্র কিভাবে সমগ্র মেলা প্রাঙ্গন সহ পুরো সীতাকুণ্ড জুড়ে এই অবৈধ কারবার চালায়?
স্থানীয় প্রশাসক হিসেবে মাননীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে এইসব অনুমোদনহীন অবৈধ লটারীর টিকেট বিক্রয়ের নামে জনসাধারণের সাথে প্রতারণা করার বিষয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
এই লাকী কূপণের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দিয়েছে সীতাকুণ্ড সমিতির কর্ণধার সাবেক সভাপতি লায়ন গিয়াস উদ্দিন। এই লাকী কূপণ কোম্পানীর খুুটির জোড় কোথায় জানতে চেয়েছে সীতাকুণ্ড বাসী।
অবশেষে সীতাকুণ্ড সার্কেল এএসপি চম্পা রানী সাহাকে অভিযোগ করলে তিনি এটা বন্ধ করে দেয়।
এখবর চারিদিকে ছড়িয়ে পরলে মানুষের মুখে মুখে নাম চলে আসে চম্পা রানীর কথা।
প্রতিদিন কলেজ রোড এলাকায় প্রায় ২কিমি পর্যন্ত মাইকের আওয়াজে মানুষ রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। তাদের চিৎকার আর জনগনের উপস্থিতি পুরো এলাকায় রাত ভর চলছিল হৈ হৈ অবস্থা।
অনেক সচেতন মানুল চম্পা রানীকে অভিনন্দন জানিয়েছে উনার এই মহতী উদ্যোগকে।
এদিকে এএসপি সার্কেল চম্পা রানী সাহা প্রতিবেদককে বলেন সম্পূন্ন অবৈধভাবে চলছিল লাকী কূপণ ড্র। তিনি খবর পাওয়ার পর তা বন্ধ করে দিয়েছে।
মাইনুদ্দিন নামের এক যুবক ফেসবুকে লিখেছে-
সীতাকুন্ড মেলার দি আশার র‍্যপেল ড্র গুড়িয়ে দিল এএসপি সার্কেল চম্পা রানী শাহা
============================
সীতাকুণ্ডে মেলা মন্ডবের দি আশা রেপেল ড্র এর মঞ্চ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিল সীতাকুণ্ড থানার এএসপি সার্কেল অফিসার চম্পা রানী শাহা।আজ দুপুরে পুলিশের এই চৌকস এএসপি সার্কেল অফিসার চম্পা রানী শাহার নেতৃত্বে পুলিশ সীতাকুন্ড মেলাতে এই অভিযান পরিচালনা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *