সংবাদ শিরোনাম
Home / প্রথম পাতা / অভাব ও অযত্নের কারনে আত্মহত্যার পথ বেচে নেই মেহেদী

অভাব ও অযত্নের কারনে আত্মহত্যার পথ বেচে নেই মেহেদী

ছেলেটির নাম মেহেদী।বয়স ১৩/১৪ হবে। এই বয়সে তার লেখা পড়া করা আর মা-বাবার অতি আদরের সন্তান হয়ে হাসি খুশি জীবন যাপন করার কথা, কিন্তু আজ সেই বয়সে তার বাবা মায়ের বিচ্ছেদ অতঃপর আর্থিক মানসিক চাপ এর প্রভাব সহ্য করতে না পেরে নিজের ইচ্ছায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে সেই।
কিন্তু কেন?
গলায় ফাঁস লাগানো বা আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া এটা বুঝার কত টুকুই বা বয়স তার হয়েছে?আধৌ হয়েছে কিনা জানিনা! আসলে এই প্রশ্নের উত্তর কারো কাছে জানা নেই,
আ-হা -রে জীবন! শুরু হতে হতেই শেষ হয়ে গেছে তা ও আবার আত্মহননের পথে,,, জানিনা এই দায় ভার কার? পরিবারের নাকি সভ্যতার!
সন্তান সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠার জন্য মা বাবা এই দুটি মানুষ কে হাজার অভাব অনটন, দুঃখ কষ্ট সব বিপত্তির মধ্যে দিয়ে বট বৃক্ষের মতো সন্তানের ছায়া হয়ে দাঁড়ায়, কিন্তু এমন ই বাবা মায়ের তৈরি করা পরিস্থিতির দায়ে ছোট এই ছেলেটি ফাঁসিতে ঝুলে নিজের জীবন আত্মহূতি দিল। এমন নির্মম ঘটনা সমাজে খুব কমই দেখা যায়।
মানুষের জীবনে অভাব থাকবে, দুঃখ কষ্ট আসবে, পারিবারিক বিচ্ছেদ ঘটে কোন না কোনভাবে, কারো না কারো দোষে, তাই বলে সন্তানের প্রতি অবহেলা, দায়িত্বহীনতা, মানসিক চাপ সৃষ্টি করা বোকামি আর অন্যায় ছাড়া আর কিছুই নয়। যে কোন পরিস্থিতিতে মা অথবা বাবা কোন একজন কে সন্তানের ছায়া হয়ে দাঁড়াতে হবে তাতে সন্তানের আর্থিক নিরাপত্তা না হোক অন্তত মানসিক নিরাপত্তা তো হবে!
রিজিক দিয়েছেন “মহান আল্লাহ্” তিনি সৃষ্টি কূলে কোন প্রাণী কে অনাহারে রাখেন না, কোন না কোন উসিলায় আহার দান করে থাকেন তাই বিলাসিতার আকাঙ্ক্ষায় না মেতে কঠিন অভাবেও পরিস্থিতি কে মোকাবেলা করে নিজ সন্তানের নিরাপত্তা হাতিয়ার হোন। পারিবারিক বিচ্ছেদ এর কারণে মা-বাবা দুজনেই একসাথে অমানুষ হয়ে যাবেন না।যে ই কেউ একজন অন্তত সন্তানের ছায়া হোন, মানসিক নিরাপত্তা দিন, সুস্থ জীবনের নিশ্চয়তা দেওয়ার চেষ্টা করুন তাহলে এরকম ভাবে আর কোন সন্তান আত্মহত্যার মতো জঘন্য মানসিকতা তৈরি করবে না। পরিশেষে বলবো কোন মা বাবা কে হেয় করার জন্য লিখিনি, বাস্তবতা বুঝতে চেষ্টা করছি কেননা কোন মা বাবা সমাজের চোখে যেন সন্তান লাঞ্চিত হওয়ার কারণে ঘৃণিত হতে না হয়। আশা করবো সকল মা বাবা সন্তানের জন্য সহ্যশীল হোক। সন্তান সূ পথে বেড়ে উঠুক এই কামনা করছি,,,,, আমিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *