সংবাদ শিরোনাম
Home / জাতীয় / কামরুজ্জামানেরও ফাঁসির আদেশ

কামরুজ্জামানেরও ফাঁসির আদেশ

bji--kamrunjaman ৮ মে (সীতাকুন্ড টাইমস ডটকম)- জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় আজ বৃহস্পতিবার ঘোষনা করা হয়েছে। মামলার রায় অনুযায়ী কামরুজ্জামানের ফাঁসির রায় দেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে আনা বদিউজ্জামান ও চাপা হত্যা সহ পাঁচটি অভিযোগ প্রমানিত হয়েছে। বাকি দুইটি অভিযোগ প্রমানিত হয়নি।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিঞা ও মো. শাহিনুর ইসলাম নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১ টায় পড়া শুরু হয়। মূল রায় ২১৫ পৃষ্ঠা এবং প্যারা ৬৭১টি।

কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে গত বছরের ৩১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল-১।

এতে কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, নির্যাতন, লুটপাটসহ মানবতাবিরোধী সাতটি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।

চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১৬ এপ্রিল কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলাটি ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে ট্রাইব্যুনালে-২ স্থানান্তর করা হয়। গত বছরের ৪ জুন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন, ১৯৭১ সালে ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি হামিদুল হক, শেরপুরে কামারুজ্জামানের স্থাপন করা আলবদর ক্যাম্প ও নির্যাতন কেন্দ্রের দারোয়ান মনোয়ার হোসেন খান মোহন, মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক মুন্সী বীরপ্রতীক, মুক্তিযোদ্ধা ফকির আব্দুল মান্নান, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ গোলাম মোস্তফা হোসেন তালুকদারের ছোট ভাই মোশাররফ হোসেন তালুকদার, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বদিউজ্জামানের বড় ভাই ডা. মো. হাসানুজ্জামান, লিয়াকত আলী, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদের পুত্র জিয়াউল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবারের সন্তান মো. জালাল উদ্দিন, শেরপুর জেলার ‘বিধবাপল্লী’ নামে খ্যাত সোহাগপুর গ্রামের নির্যাতিত তিন নারী সাক্ষী (ক্যামেরা ট্রায়াল), মুজিবুর রহমান খান পান্নু এবং দবির হোসেন ভূঁইয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *