এম কে মনির,সীতাকুণ্ড,টাইমস
ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে অনাকাঙ্ক্ষিত সড়ক দূর্ঘটনা কমাতে জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। একইসাথে ৭ দফা উথাপন করছে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ,সেবক ও সীতাকুণ্ড সমিতিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক সংগঠনগুলো।
আজ শনিবার ১৮ জানুয়ারী বেলা এগারোটায় উপজেলার ফৌজদারহাট জলিল গেইট এলাকায় যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ও সেবকের যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসূচী পালন করা হয়।”জীবন যবনিকায় সীতাকুণ্ড কেন শেষ ঠিকানা ? “অপ্রত্যাশিত সড়ক দুর্ঘটনায় অকাল জীবননাশ” এমন প্রতিবাদী স্লোগানে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান বক্তা ছিলেন যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাধারন সম্পাদক শামসুদ্দিন চৌধুরী।
যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোখতার হোসাইনের সঞ্চালনায় আরো মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন,সীতাকুণ্ড সমিতির সাবেক সভাপতি লায়ন মো:গিয়াস উদ্দিন, সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লিটন কুমার চৌধুরী, সেবক চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মন্জুরুল আলম, উত্তর জেলা সদস্য সচিব সুজন মল্লিক, যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের হাবিবুর রহমান, রুচমিলা ইসলাম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন মুজিব বর্ষের শুরুতে সীতাকুণ্ডে গত ১৭ দিনে সড়ক দূর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত হয়েছেন।কিছুতেই থামছেনা সড়কে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু। দিনদিন সড়কে লাশের সারি দীর্ঘ হচ্ছে। সীতাকুণ্ড এখন যেন এক মরনফাঁদ!সড়কে এ মৃত্যু থামানো না গেলে ভবিষ্যৎে এ মৃত্যুর হার আরো বাড়বে।
সড়কে এমন অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর জন্য বক্তারা ফিটনেসবিহীন গাড়ি,লাইসেন্স বিহীন চালক, অস্বাভাবিক প্রতিযোগীতা ও পথচারীদের অসতর্কতাকে দায়ী করেন। তাই সকলকে এখনি সচেতন হওয়ার আহব্বান জানান বক্তারা।এছাড়াও মানববন্ধনে বক্তারা সীতাকুণ্ডে সড়কের বিভিন্ন বিপদজনক অংশকেও দূর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন।বিশেষ করে ইউটার্ণ ও পাশ্বসড়কে যানবাহনের বিশৃঙ্খলা সড়ক দূর্ঘটনার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন।
বক্তরা মানববন্ধনে উথাপিত ৭ দফা বাস্তবায়িত হলে সীতাকুণ্ডে সড়কে মৃত্যু অনেকাংশে হ্রাস পাবে বলে দাবী করেন।
মানববন্ধন শেষে সামাজিক ও মানবিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপির নিকট ৭ দফার লিখিত স্মারকলিপি প্রদান করেন।