সংবাদ শিরোনাম
Home / গ্রাম-গঞ্জ / বারআউলিয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহ বধুর আত্মহত্যা

বারআউলিয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহ বধুর আত্মহত্যা

সীতাকুণ্ড টাইমস ডেস্কঃ
আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা। আজ বিকাল চারটার দিকে সীতাকুণ্ড বারআউলিয়ায় বক্তার পাড়া এলাকার ৬সন্তানের জননী আয়েশা আক্তার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করছে।
নিহত আয়েশা আক্তারের এক আত্মীয় জানান বিয়ের পর থেকে পরিবারের সবাই তাকে নির্যাতন করে আসছে। আয়েশার বাবার বাড়ি কুমিরায় বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সুত্রে আরও জানা যায়
সীতাকুণ্ডের বার আউলিয়ায় শ্বশুর বাড়ি থেকে আয়েশা আকতার (৪০) নামের এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বামী বলেছে তার স্ত্রী ফাঁসিতে ঝুলে আত্নহত্যা করেছে আর বাপের বাড়ির লোকজনের দাবী আয়েশা আকতারকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ রবিবার (১৯ নভেম্বর) বিকাল ৫ টার সময় উপজেলার সোনাইছড়ির বার আউলিয়া এলাকার বত্তারপাড়া স্বামীর ঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করে সীতাকুণ্ড মডেল থানার এসআই তারেক সুমন। এ ঘটনায় আয়েশা আকতারের স্বামী ছালেহ আহম্মদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। জানাযায়, ২১ বছর আগে বার আউলিয়া বত্তারপাড়া এলাকার ফকির আহমেদের ছেলের সাথে কুমিরা নিউ রাজাপুর এলাকার সেলিম কমান্ডারের বাড়ির মৃত আলী আহম্মদের মেয়ে আয়েশা আকতারের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৬ পুত্র সন্তান রয়েছে। আয়েশা আকতারের বড় ভাই সেলিম জানান,দীর্ঘদিন ধরে স্বামীসহ পরিবারের লোকজন যৌতুকসহ বিভিন্ন কারণে আমার বোনকে নির্যাতন করে আসছে। এ নিয়ে এলাকায় একাধিক বার শালিশ বিচারও হয়েছে। আজ বিকাল তিনটার দিকে আমরা খবর পাই আমার বোন আত্নহত্যা করেছে। খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্হলে এসে দেখতে পাই লাশ ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। আমার বোনকে তারা মেরে লাশ ঝুলিয়ে দিয়েছে। আয়েশা আকতারের স্বামী ছালেহ আহমেদ বলেন, দুপুর পৌনে ৩ টার দিকে আমি ঘুমে ছিলাম, আমার ছোট ছেলে আমাকে ডেকে বলল তার মা ঝুলে আছে, আমি আমার স্ত্রীকে ঝুলন্তবস্হা থেকে নিচে নামিয়ে আনি তবে তার দুইপা মাটির সাথে লাগানো ছিল। সে কি কারণে আত্নহত্যা করেছে জানিনা। এলাকার স্হানীয় ইউপি সদস্য নাছির উদ্দীন বলেন, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্হলে গিয়ে ঘরের মেঝেতে লাশটি দেখেছি তবে শুনেছি সে আত্নহত্যা করেছে। সীতাকুণ্ড মডেল থানার এসআই তারেক সুমন বলেন, আমরা খবর পেয়ে বিকাল ৫ টার সময় লাশটি উদ্ধার করি। শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পোষ্টমোটেম রিপোর্টের পর জানা যাবে হত্যা না আত্নহত্যা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *