সংবাদ শিরোনাম
Home / প্রথম পাতা / বাড়বকুণ্ডে সরকারি রাস্তা দখল নিয়ে উত্তেজনা দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

বাড়বকুণ্ডে সরকারি রাস্তা দখল নিয়ে উত্তেজনা দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

সীতাকুণ্ড টাইমস ডেস্কঃ
সীতাকুণ্ডে বাড়বকুণ্ড একটি সরকারি রাস্তা দখলকে কেন্দ্র করে সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবে পাল্টা পাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসীর দুইটি পক্ষ। উপজেলার বাড়বকু- ইউনিয়নের জঙ্গল কাটগড় রাজা আম্বিয়ারঢালা পাহাড়ি বাগান ও কৃষি উৎপাদনকারী ফলজ বাগান মালিক সমিতির দাবি সরকারি রেকর্ডভুক্ত রাস্তা একটি শিল্পগ্রুপ দখল করে কৃষকদের চলাচল পথ বন্ধ করে দিয়েছে। অপরদিকে ওই শিল্পগ্রুপের পক্ষে বাড়বকু- বাগান মালিক সমিতি দাবি পথ চলাচল বন্ধ করা হয়নি। সরকারি রেকর্ডভূক্ত কোন রাস্তারও কোন অস্থীত্ব নেই।
জঙ্গল কাটগড় রাজা আম্বিয়ারঢালা পাহাড়ি বাগান ও কৃষি উৎপাদনকারী ফলজ বাগান মালিক সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন ভূইয়া সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন সীতাকু- উপজেলার বাড়বকু- ইউনিয়নের জঙ্গল কাটগড় রাজা আম্বিয়ারঢালা সড়কটি সরকারি রেকডভূক্ত। একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান রাস্তাটি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন। এতে এলাকায় ২০ থেকে ২৫ হাজার কৃষক পাহাড়ে চাষাবাদ করে থাকে। প্রতিদিন শত শত কৃষক পাহাড়ে উৎপাদিত তরি তরকারি বাজারে এনে বেচাবিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। সরকারি রেকর্ডভূক্ত রাস্তাটি বন্ধ করে দিলে এলাকার হাজারো মানুষ চরম দূর্ভোগের মধ্যে পড়কে। ব্যহত হবে কৃষিপণ্য উদপাদনে। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম নুর নেওয়াজ, মোজাম্মেল হক মারুফ, গফুরুল আলম বাদশা, নুরুল আমিন, রহমান মেম্বার, শফিক সর্দার, সাইফুল ইসলাম খোকন, ফজলুল হক, ফসিউল আলম।
অপর দিকে বিকেল ৩টায় একইস্থানে বাড়কু- বাগান মালিক সমিতি ও এলাকাবাসীর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কেএসআরএম কারখানার সিকিউরিটি ইনচার্জ সহিদুল ইসলাম দাবি করেন, জঙ্গল কাটগড় রাজা আম্বিয়ারঢালা সড়ক নামে সরকারি রেকডিয় কোন রাস্তা নেই। একটি মহল কেএসআরএম প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজী করতে ছেয়েছিলো। তা করতে না পেরে তারা কেএসআরএম প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, নেজাম উদ্দিন, সোহেল, জিয়া উদ্দিন, ইউসুফ মানিক, তাহের, সাহাব উদ্দিন, কায়ছার, সফিউল আলম ও রহমত উল্লাহ।
সীতাকু- উপজেলা নির্বাহী অফিসার তারিকুল আলম বলেন, কেএসআরএম প্রতিষ্ঠানের পাশে একটি সরকারি রাস্তা আছে। কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ সরকারি রাস্তার সামনে তাদের স্থাপনা তৈরী করছে। এতে সরকারি ওই রাস্তায় চলাচলে প্রতিবদ্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। দূর্ভোগের মধ্যে পড়কে স্থানীয় চাষিরা। তিনি আরও বলেন ওই রাস্তার বিষয়ে চট্টগ্রাম আদালতে পৃথক দু’টি মামলা রয়েছে। ওই মামলাটি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত কিছু করা যাচ্ছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *