সুরাইয়া বাকের,সীতাকুণ্ড টাইমসঃ (জন্মদিন স্মরনে)
ছাত্র রাজনীতি দিয়ে হাতে খড়ি এবং পথচলা শুরু। এপথ তাঁর জন্য কখনো কুসুমাস্তীর্ণ ছিলো না। রাজনীতির বন্দুর পথে ছুটে চলার মধ্যে দেখেছেন কত ভাঙ্গা গড়া, পেরিয়েছেন কত চড়াই-উতরাই। তিনি যা পেয়েছেন তা
সহজলভ্য ছিলোনা। বরং যা পেয়েছেন সবই কন্টকাকীর্ন পথের কষ্টার্জিত ফসল।খুব কাছথেকে দেখেছেন কাছের মানুষ গুলির হেসে হেসে অনায়াসে দুরে চলে যাওয়া,দুর থেকে কাছে অাসা।কখনো কখনো মুষড়ে পড়েছেন কিন্ত ভেঙে খান খান হতে দেখিনি। কত প্রাসাদ ষড়যন্ত্র, কত কালিমা লেপনের ব্যর্থ চেষ্টা তিনি সামাল দিয়েছেন দক্ষতার সাথে। তিনি পরিস্থিতি সামাল দিতে জানেন।ঝড়ের মুখে অবিচল থাকা দৃঢ়চেতা মানুষ তিনি।
সীতাকুণ্ড তাঁর চারণভূমি। অবিরাম ক্লান্তিহীন ছুটে চলেন ধাবমান অশ্বের মত সীতাকুণ্ডের অলিগলি,প্রত্যন্তঞ্চল,রাজপথ। কর্মীদের মনগহীন ছুঁতে পারেন পরম মমতায়। কর্মীদের মনবেদনার অাঁকাবাঁকা চিত্রকলা তাঁর মনে প্রতিফলিত হয় অহর্নিশি।এভাবেই তিনি ক্রমান্বয়ে হয়ে উঠেছেন ,কর্মীবান্ধব জননেতা।সবার প্রিয় বাকের দা,দাদা।মানুষের অকুণ্ঠ ভালবাসা তাঁর প্রধান হাতিয়ার। অর্থের পিছনে হন্যে হয়ে ছোটেননি।
অর্থলোভ তাঁকে গ্রাস করতে পারেনি।বিত্ত বৈভব সব তাঁর পিতৃপ্রদত্ত । বিত্তের জন্য তিনি ব্যক্তিত্ব বিসর্জন দেননি। সংগঠনের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা ও
মমত্ববোধ প্রশ্নাতীতভাবে স্বীকৃত। সংগঠন তাঁর প্রিয় প্রাঙ্গণ,
নেতাকর্মীরা তাঁর প্রিয়জন।খুব সহজে সকল তিক্ততা তিনি ভুলে যান সংগঠনের স্বার্থে।
সন্ত্রাস, মাদকের সাথে কখনো অাপস করেননি।
তাঁর রাজনীতি ও সাংস্কৃতির সাথে রয়েছে অপুর্ব মেল বন্ধন।
তিনি আপাদমস্তক একজন রবীন্দ্র প্রেমী এবং মানবিক।লেখক সৈয়দ মুজতবা অালীর একনিষ্ঠ পাঠক।
তারমধ্যে অাভিজাত্যের অাভা অাছে কিন্তু অহংকার নেই।
বাহিরে যতখানি রাশভারী, কাটখোট্টা বলে মন হয় ভিতরে তিনি প্রকৃতঅর্থে কোমলপ্রাণ।
সংসারের দায়িত্ব অামার ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে নির্ভার থাকা সৎ,নির্লোভ,নিষ্ঠাবান অাদর্শিক এ নেতা উপজেলা অাওয়ামী লীগের সভাপতি জ্বনাব অাবদুল্লাহ অাল বাকের ভূঁইয়া মহোদয়ের জন্ম দিনে রইল শুভকামনা। পরিশেষে যাব দুজনেরই প্রিয় রবীন্দ্রনাথের কাছে
“সেই সুরে বাজে মনে অকারণে
ভুলে যাওয়া গানের বাণী, ভোলা দিনের কাঁদন- হাসি
ভালবাসি,ভালোবাসি।
শেষ অাশ্রয়ঃ সকল প্রশংসা অাল্লাহর। তিনি প্রতিপালক এবং
রক্ষাকারী।