সংবাদ শিরোনাম
Home / প্রথম পাতা / ‘রাজস্ব আয়ের চেয়ে অর্থনৈতিক ক্ষতি বেশি তামাক ব্যবহারজনিত রোগে’ -ইপসা ’র প্রধান নির্বাহী মােঃ আরিফুর রহমান

‘রাজস্ব আয়ের চেয়ে অর্থনৈতিক ক্ষতি বেশি তামাক ব্যবহারজনিত রোগে’ -ইপসা ’র প্রধান নির্বাহী মােঃ আরিফুর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক,সীতাকুণ্ড টাইমস ঃ
গ্রহণযােগ্য ও বাস্তবসম্মত কর ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য একটি যুগােপযােগী তামাক-কর নীতি প্রণয়নের দাবি জানানো হয়েছে।
৯ জুন (মঙ্গলবার) বিকেল ৪টায় জনস্বাস্থ্য রক্ষার্থে করোনাকালীন সময়ে তামাক পণ্যের কর বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তামাক দ্রব্যের ওপর কর বাড়াতে ঐক্যবদ্ধ দাবী তুলুন শীর্ষক ফেসবুক লাইভ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলে উক্ত অনুষ্ঠানে তামাকের উপর কর বৃদ্ধির সুনিদিষ্ট দাবী উপস্থাপন করেন ইয়ং পাওয়ার ইন সােস্যাল এ্যকশন (ইপসা)’র প্রধান নির্বাহী মােঃ আরিফুর রহমান।

বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এবং ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের পক্ষ থেকে এই ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য তামাক নিয়ন্ত্রণ এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও তরুন প্রজন্মের প্রতিনিধিদের সমন্বয়সাধন।
সুনির্দিষ্ট দাবীটি পাঠকদের উদ্দেশ্যে
হুবহু তুলে ধরা হল:
বাংলাদেশে প্রায় ৩৫% প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করে। ২০১৮ সালে তামাক ব্যবহারজনিত রোগে বাংলাদেশে ১,২৬,০০০ জন মারা যায়। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির (চিকিৎসা ব্যয় এবং উৎপাদনশীলতা হারানো) পরিমাণ ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা, অথচ একইসময়ে (২০১৭-১৮) তামাকখাত থেকে অর্জিত রাজস্ব আয়ের পরিমাণ মাত্র ২২ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। স্বাস্থ্যহানীকর বিলাসবহুল পণ্য তামাক। যা তার ভোক্তার মৃত্যু ডেকে আনে।
তামাক গ্রহণে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি সার্বিক তামাক নিয়ন্ত্রণের অন্যতম কার্যকর কৌশল হলো তামাকজাত পন্যের মূল্য বৃদ্ধি দাম বাড়িয়ে এর সহজলভ্যতাকে সংকুচিত করা। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুসারে বিশ্বের যেসব দেশে তামাকজাত দ্রব্য সস্তা বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম। তামাকের সার্বিক ক্ষতি গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিয়ে সারা বিশ্বে তামাক নিয়ন্ত্রণে অন্যন্য উদ্যোগের পাশাপাশি কর বৃদ্ধির প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। দেশের তরুন প্রজন্মকে তামাক ব্যবহার থেকে দূরে রাখা গেলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই প্রত্যয় বাস্তবায়ন গতিশীলতা পাবে।
বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ ক্ষেত্রে তামাক কোম্পানীগুলোর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা বহুদিনের। যার ফলে তামাকের উপর কর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে তামাক বিরোধী সংগঠনগুলো সুনিদিষ্ট কিছু দাবী জানিয়ে আসলেও বাস্তবে সেভাবে এর প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। প্রতিবছর বাজেটে এসব দ্রব্যের দাম বাড়ানো হলেও পদ্ধতিগত সীমাবদ্ধতার কারণে তা তামাক নিয়ন্ত্রণে তেমন কোনো অবদান রাখছে না বরং সেটা তামাক কোম্পনিকে আরো লাভবান করেছে। একইসঙ্গে জনগনের মধ্যেও তামাক ব্যবহারের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জটিল ও বহুস্তর বিশিষ্ট কর কাঠামো এবং ত্রুটিপূর্ণ কর ব্যবস্থার কারণে এটি ঘটছে। জনস্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিয়ে তামাকজাত দ্রব্যের ওপর সুনির্দিষ্ট করারোপ, স্তর কমিয়ে তামাক কর কাঠামো সহজীকরণ এবং একটি গ্রহণযোগ্য বাস্তবসম্মত কর নীতি প্রণয়ণ তামাক ব্যবহার কমানোর পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি করবে।

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সংসদ সদস্য, সংরক্ষিত নারী আসন-৫০, নাছিম বানু, টিম লিডার, তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম, উপ পরিচালক, সামাজিক উন্নয়ন বিভাগ, ইপসা (ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল এ্যাকশান), শারমিন সুবরীনা, ডিরেক্টর প্রোগ্রাম, এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট-এসিডি এবং ফরিদা আখতার, নির্বাহী পরিচালক, উবিনীগ,আহবায়ক, তাবিনাজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *