সীতাকুণ্ড টাইমস ডেস্ক ঃঃ
সমাজে এক শ্রেণীর মানুষ আছে যারা মাসের একদিন ভালো করে খেতে পারলেই তৃপ্ত। এসব গরীব, অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত ও পঙ্গুদের অতিথি করে এ সংগঠনটি। নানা বয়সী অসহায় মানুষদের মুখে হাঁসি ফুটাতে প্রতিমাসের একদিন শুক্রবারে খাবার নিয়ে বসে থাকেন সীতাকুণ্ডের সেচ্ছাসেবী সংগঠন আহার এর একদল যুবক।
এদিকে, মাসের প্রথম সপ্তাহে জুমাবার আসলেই খুশিতে আত্মহারা হন অসহায়-মিসকিন এতিম, পথচারী শিশু, বৃদ্ধ মহিলা ও পুরুষেরা। এ দিনটি যেন তাদের জন্য ঈদেরদিন। জুমার নামাজ শেষ হলে দলে দলে আসতে থাকে তারা। এরপর সারিবদ্ধভাবে বসিয়ে খাওয়ানোর ব্যবস্থা থাকে তাদের জন্য। এরপর তৃপ্তি নিয়ে খেতে থাকেন তারা। এভাবে প্রতিমাসেই আয়োজন চলে অসহায় মানুষদের জন্য। আর খাবার আয়োজন শুধু তাদের জন্যই। তাইতো মাসে একদিন গরীদের মেজবান বলা হয়। তাদের এই খাবারের অর্থ দেন সমাজের বৃত্তশালীরা। সংগঠন আহার বিগত কয়েকবছর যাবত ব্যাতিক্রমী আয়োজন নিয়মিত করে চলছে। এই সংগঠনের নেতৃত্বে রয়েছে, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, সুশীল, সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের ব্যাক্তিবর্গ।
আজ শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) প্রতিবারের মতো আহার এর ধারাবাহিক এই আয়োজনে শতাধিক মানুষের জন্য খাবারের আয়োজন করা হয় । এতে বৃদ্ধ ফকির, মিসকিন ও পথচারী শিশুরা আসে। জুমার নামাজের পর সীতাকুণ্ডের বহুতল ভবন সিকিউর সিটিতে চলে এই আয়োজন। এতে উপস্থিত ছিলেন আহার সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সিকিউর সিটির ভাইস-চেয়ারম্যান আখতার হোসাইন মামুন, মার্কেটিং অফিসার আবুল হোসাইন, ইন্জিনিয়ার লিটন, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম, নাছির উদ্দীন অনিক, ফারুক আব্দুল্লাহ, নাছির উদ্দীন শিবলু, মুসলেহ উদ্দীন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এস. কে সুইটসের সত্তধিকারী খোরশেদ আলম, সাহাব উদ্দীন, ফজলুল করিম প্রমুখ।
আহারের নির্বাহী পরিচালক সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম বিএসসি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ্ আমরা বিগত কয়েকবছর যাবত গরীবদের জন্য খাবারের আয়োজন করছি। সকলের সহযোগীতা থাকলে আগামীতেও এই কার্যক্রম চালিয়ে যাব। আমাদের আয়োজনে মেজবানী গরুর মাংস, মুরগী দিয়ে ডাল লাউ সাথে থাকে ডিম।
দেশ বিদেশ থেকে ইতিমধ্যে শুরুতেই অনেক মানবিক মানুষ আর্থিক সহযোগিত করে আসছে। তা ছাড়া আমাদের নির্বাহী কমিটি সবসময় প্রস্তত থাকে এই আয়োজিন নিয়মিত করার জন্য। তিনি আরও জানান এখানে ব্যাতিক্রম আয়োজন অসহায় অভুক্ত নারি পুরুষকে বিত্তবানরা নিজ হাতে খাদ্য পরিবেশন করে খাওয়ানোর ব্যবস্থা থাকে। অনেক স্বেচ্ছাসেবক নিয়মিত ভাবে পানি লবন টিসু ও ভাত পরিবেশ করতে স্বাচ্ছন্দবোধ করে।