সংবাদ শিরোনাম
Home / প্রথম পাতা / সীতাকুণ্ডে পানির দরে ইলিশ ঃ ১০০টাকায় কেজি

সীতাকুণ্ডে পানির দরে ইলিশ ঃ ১০০টাকায় কেজি

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সীতাকুণ্ড টাইমস ঃ
সীতাকুণ্ডে মানুষ এখন ব্যস্ত ইলিশ কিনতে। ইলিশের শেষ মৌসুমে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ । মঙ্গলবার গভীর রাতে ও বুধবারে সারা দিন জেলেরা ব্যস্ত ইলিশ ধরতে । জেলেরা জানিয়েছে মিঠা পানির কারনেই ইলিশ ধরা পড়ছে বেশী । বুধবার রাতে যদি বৃষ্টি হয় তাহলে আরও ইলিশ জালে আটকা পড়বে। মিঠা পানি কমে গেলেই ইলিশ মাছ নিচে নেমে যাবে। সীতাকু-ে উপজেলার সৈয়দপুর থেকে সলিমপুর পর্যন্ত প্রতিটি গ্রামে বাজারে শুধু ইলিশ আর ইলিশ। ভ্যান গাড়ি নিয়ে ইলিশ বাড়ি বাড়ি বিক্রি করছে ইলিশ। কুমিরা কাজিপাড়া দিলসাদ জানায় সকালেই বাড়িতে পাওয়া গেল ইলিশ বাজারে যেতে হয়নি আজ। প্রতি কেজি ১০০টাকা থেকে ৪০০ টাকা দরে ভাল ইলিশ পাওযা যাচ্ছে। কুমিরা ঘাটঘর এলাকা থেকে আবু সাহদাত শিবু জানায় রাস্তা থেকেই ডিম ইলিশ কিনেছি। প্রতি কেজি গড়ে ৩০০টাকা করে পড়েছে। বাড়বকু- বৌদ্ধ পল্লি বাসিন্দা নির্দেশ বড়–য়া জানায় আজ বাড়বকু- বাজারে বড় ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৪০০টাকা দরে যা অন্য দিন ১হাাজার টাকা দরে বিক্রি হত। সস্তা হওয়ায় গরীব ও অল্প আয়ের লোকেরা এবার ইলিশ নিয়ে যাচ্ছে ঘরে ঘরে।
সীতাকু- পৌরসদর মাছ বাজারে ইলিশ কিনতে আসা অধ্যক্ষ নুরুল কবির জানায় আজ ইলিশ পানির দরে কিনলাম। মাত্র একশত টাকা করে ইলিশ। আজ বাজারে শুধু ইলিশ আর ইলিশ । মানুষ চাহিদামতে ইলিশ কিনতে পারছে । এবার সাগরে প্রচুর পরিমানে ইলিশ ধরা পড়েছ্।

এদিকে সীতাকু- বাজারের মাছের আড়ৎদার মুন্না জানায় গভীর রাত থেকে ইলিশ আসা শুরু করেছে। দুপুর থেকে বরফ না থাকায় ইলিশ সস্তা দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। বুধবার সারাদিন ইলিশ সস্তায় বিক্রি হচ্ছে। একটু নরম হয়ে যাওয়া ইলিশ গুলো কেজি প্রতি ৫০টাকাও বিক্রি হয়েছে। ইলিশের এ খরব সকাল থেকে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় অনেকে ফেসবুক থেকে দেকে থলে নিয়ে বাজারে ছুটছে। নেট ফকির নামের এক ফেসবুক ইউজার লিখেছে সলিমপুরে ৪০/৫০টাকায় পাওয়া যাচ্ছে ইলিশ মাছ। েইলিশ মাছের জোয়ারে ভাসছে আমাদের সলিমপুর। মাছের রাজা ইলিশ এর দাম কমে যাওযায় হত দরিদ্র মানুষও কয়েক কেজি করে মাছ নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
গোডাউন রোডের জুয়েল জানায় ইলিশ মাছ নিছে অনেকেই ফ্রিজে রাখার জন্য অন্যে ঘরে ঘরে ঘুরছে কিন্তু কারো ফ্রিজে এক ইঞ্চি জায়গা নেই। শহিদ নামে এক লোক মাছ নিয়ে কয়েক আত্মীয়র বাসায় গিয়েও ফ্রিজে মাছ রাখতে পারেনি। অবশেষে রান্না করতে হয়েছে কয়েক কেজি মাছ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *