মুসলেহ উদ্দীন,সীতাকুণ্ড টাইমসঃ
ভূমি অফিসে মামলা শুনানীর নথিপত্র এজলাসে উপস্থাপন করেন অফিস কর্মকতা নাজির। সার্ভে হওয়ার পর কানুঙ্গ’র মাধ্যমে ভূলভ্রুটির খুটিনাটি যাচায়-বাচায় শেষে মামলা শুনানীতে নথিপত্র জমা পড়ে নাজির নিকট। আর মামলার শুনানীতে নথি উপস্থাপনে নাজিরের সম্মতি অবশ্যম্বভাবী। যে কারনে নাজিরের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছেন মধ্যস্ত্বতাকারী দালাল অর্থাৎ প্রতিনিধিরা। কারন দালাল – প্রতিনিধি ব্যতীত মামলার ফাইল শুনানীতে উঠে না, ঘুরপাক খাই টেবিল থেকে টেবিলে। আইনগত বৈধতা না থাকলেও দেখবালের
নামে ফাইল আটকে দেন নাজির। ফলে সমস্যার জ্বালে বন্ধি হয়ে ভোগান্তিতে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে ভোক্তভোগী মানুষ। এছাড়া নামজারী খতিয়ানে উৎকুচ না হলে ডিসিআর কাটা সম্ভব নয় বলে অভিযোগ নাজিরের বিরুদ্ধে।
ভোক্তভোগীরা বলেন; উপজেলা ভূমি অফিসে জায়গা-জমি সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে ফাইল জমার পর থেকে নিস্পত্তি হওয়া পর্যন্ত পদে পদে চলে নানা রকমের হয়রানি। মামলা শুনানী উপস্থাপনে অফিস খরচ নামের
উৎকুচ না দিলে টেবিলে পড়ে থাকে ফাইল। ডিসিআর কাটতে হলে নিধার্রীত ফি’র অতিরিক্ত টাকা প্রদান না করলে অজুহাত দেখিয়ে আটকে রাখা হয় নামজারী খতিয়ান। মধ্যত্বতাকারী/ দালাল না হলে ৪৫ দিনের পরিবর্তে পুরো বছর গেলেও কাজ শেষ হয় না বলে জানান তারা। এ ধরনের অসংখ্য অভিযোগ মাথায় নিয়ে স্ব-পদে অধিষ্টিত আছেন নাজির। তবে কিছু দালাল সুবিধা আদায় করতে পারে না বলে অভিযোগের নামে অপপ্রচার করছে বলে জানান নাজির মো:সবদের।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদুল ইসলাম বলেন; দালাল না ধরে জনগন সরাসরী যোগাযোগ করতে পারে।
কর্মকতার্রাদের অবৈধ পন্থা দুর করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহন করা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই ভূমি অফিসকে কলংকমুক্ত করা হবে বলে জানান তিনি।