মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সীতাকুণ্ড টাইমসঃ
স্কুলের নাম মুরাদপুর দোয়াজী পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
স্কুলটির সুনাম রয়েছে অতীত থেকে। সম্প্রতি এই স্কুল থেকে দুই সাবেক ছাত্রী সহকারী জজ হওয়ায় স্কুলের নামটা সবার মুখেমুখে।
আজ আকষ্মিকভাবে স্কুলটিতে পরিদর্শনে গেল উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ আলাউদ্দীন।
তিনি বিভিন্ন খুজখবর নিয়ে দেখল এই স্কুল থেকে
এই বছর পিইসি পরীক্ষা দিবে ৩৮ জন। এর মধ্যেে একজন ছাত্রী ছাড়া বাকীরা আংশগ্রহণ নিশ্চিত।
প্রধান শিক্ষক কংকা চৌধুরীর সহ শিক্ষা অফিসারকে জানান ঐ ছাত্রীর নাম রাবেয়া আখতার। সে ২মাস ধরে স্কুলে আসছেনা। আমরা ইতিমধ্যে দুইবার হোমভিজিট করেছি। সে আর পড়বেনা বলে তার অভিভাবকরা জানিয়ে দিয়েছে। এটা শুনে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার জনাব মোঃ আলাউদ্দীন
প্রধান শিক্ষক কংকা চৌধুরী ও সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমকে সাথে নিয়ে রাবেয়ার বাড়ীর যায়।
তখন রাবেয়াকে পাওয়া যায় টিভি। স্যারদের দেখে রাবেয়া ভয়পেয়ে যায়। স্কুলে না যাওয়ার কারন জানতে চাইলে সে কোন উত্তর নাদিয় চুপ থাকে। তার মা বাবার সাথেও অনেক্ষণ আলাপ হয়ে।
অবশেষে রাবেয়ার কারণ হিসেবে উত্তর দেয় অন্যান্য সহপাঠীরা আমার সাথে মিশতে চায় না ; আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করে।
এইসব ঠুনকো কারণে একজন শিক্ষার্থী স্কুলে আসবে না এটা কি হয়?
অনেক বুঝানোর পর অবশেষে সে বিদ্যালয়ে নিয়মিত আসার জন্য রাজি হয় এবং স্যারদের সাথে করে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসে এবং শ্রেনিতে নিয়ে অন্যান্য সহপাঠীদের সাথে বসিয়ে দেয়া হয়।
উপজেলা শিক্ষা অফিস, সীতাকুণ্ডের পক্ষ থেকে রাবেয়া আক্তার ও তার বাবা-মায়ের জন্য শুভকামনা। দোয়াজীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য সকল সম্মানিত শিক্ষকমন্ডলীকে ধন্যবাদ রাবেয়া আক্তারকে স্কুল ফেরা নিশ্চিত করতে পারার জন্য।
উপজেলা শিক্ষা অফিস, সীতাকুণ্ড একটাই প্রত্যাশা করে একজন শিক্ষার্থীও যেন শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হয়। এভাবে রাবেয়া আক্তারদের ফেরার মধ্যে দিয়ে ঝরে পড়া কমে যাক। এই মন্তব্য করেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ আলাউদ্দীন।