সংবাদ শিরোনাম
Home / শিক্ষা / সীতাকুণ্ড কামিল মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ নিয়োগে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের প্রতারণা

সীতাকুণ্ড কামিল মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ নিয়োগে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের প্রতারণা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সীতাকুণ্ড উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীন বিদ্যাপীঠ সীতাকুণ্ড কামিল এম এ মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ,মুহাদ্দিস,গ্রন্থাগারিক ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মহিউদ্দিন এর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।

সূত্রে জানা গেছে,সীতাকুণ্ড কামিল মাদ্রাসার প্রাক্তন অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হক অবসর গ্রহণের পর দীর্ঘ দিন ধরে সীতাকুণ্ড কামিল মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ পদ শূন্য রয়েছে। এরপর থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছিলেন উপাধ্যক্ষ মাওলানা মহিউদ্দিন। সম্প্রতি বাংলাদেশের দুটি জাতীয় দৈনিকে অধ্যক্ষ, মুহাদ্দিস, গ্রন্থাগারিক ও অফিস সহকারী পদে সরকারি বিধি ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ মোতাবেক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে ১৫ দিনের মধ্যে আগ্রহীদের যোগাযোগ করতে বলা হয় এবং নিবেদকের স্থলের সভাপতি, মাদ্রাসা গভর্ণিং বডি লেখা হলেও মোবাইল নাম্বার দেওয়া হয়েছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের যা নিন্মরূপ ০১৮১৬ ৩৫৫০৯৬।
অথচ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিজেই অধ্যক্ষ পদপ্রার্থী।

নিয়োগ প্রক্রিয়া এহেন প্রতারণায় অনেক যোগ্য আগ্রহী প্রার্থী কল করে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয় নিজে অধ্যক্ষ প্রার্থী হয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে নিজের মোবাইল নাম্বার দেওয়ার বিষয়টিকে সচেতন মহল এক ধরণের চালাকি ও প্রতারণা বলে মনে করছেন।তবে শুধু নিয়োগে প্রতারণা নয় সীতাকুণ্ড কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে দায়িত্বে গাফিলতি ও প্রতিষ্ঠানের মান অবনতি ঘটানোর দায়ও রয়েছে। সীতাকুণ্ডের সচেতন অভিভাবক ও নাগরিকদের মতে সীতাকুণ্ড কামিল মাদ্রাসা বরাবরই শিক্ষার মানের দিক দিয়ে অন্য সকল প্রতিষ্ঠানের চেয়ে এগিয়ে ছিলো।কিন্তুু অধ্যক্ষ মাহমুদুল হক এর অবসরের পর উপাধ্যক্ষ মাওলানা মহিউদ্দিনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হলে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ধরে রাখতে তিনি ব্যর্থ হন।করোনা কালীন সময়ে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইন ক্লাস চললেও সীতাকুণ্ড কামিল মাদ্রাসা সেই দিক দিয়ে একদইম পিছিয়ে। যেখানে দৈনিক বিভিন্ন বিষয়ের মোট চারটি অনলাইন ক্লাস নেওয়ার কথা রয়েছে সেখানে মাসে নেওয়া হয়েছে ২-৩ টি।যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও ব্যর্থতাও বটে।
মাদ্রাসা গভর্ণিং বডির সভাপতি মুঠোফোনে জানান নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের মোবাইল নং দেয়া ঠিক হয়নি।। যেহেতু তিনি প্রার্থী।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সীতাকুণ্ড কামিল মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষক বলেন,মহিউদ্দিন সাহেব কারো যুক্তি-পরামর্শ ছাড়াই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। তিনি সবকিছু স্বেচ্ছাচারীতা করে চালান।নিজে যা বলেন তাই প্রতিষ্ঠিত করেন।

করোনাকালে কামিল মাদ্রাসার অনলাইন ক্লাস খতিয়ে দেখতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সার্চ করেও প্রতিষ্ঠানের কোন পেইজ খুঁজে পাওয়া যায়নি।শুধুমাত্র একটি আইডি পাওয়া গেলেও তাতে কেবল ৪ টি অনলাইন ক্লাসের হদিস পাওয়া গেলেও পাওয়া যায়নি অংক,ইংরেজিসহ ৬ষ্ঠ-১০ম ও আলিম ১ম বর্ষের উল্লেখযোগ্য কোন ক্লাস পাওয়া যায়নি।
এদিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার কয়েকটি মাদ্রাসার প্রধান জানান সীতাকুণ্ড কামিল মাদ্রাসা সকল মাদ্রাসার নেতৃত্ব দেওয়ার কথা কিন্তু উনারা এগিয়ে আসছেনা।
এসব বিষয়ে কথা বলতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মহিউদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি সকল বিষয়ের ক্লাস হচ্ছে এবং তা নিয়মিত বলেও দাবি করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *