সীতাকুণ্ড টাইমস ডেস্কঃ
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড (৮)বছরের এক শিশু কন্যাসহ এক যুবতি ছদ্দনাম জরিনা আক্তার(২২)ধর্ষণের শিকার হয়েছে। সোমবার পৃথক স্থানে উপজেলার ভাটিয়ারি তুলাতুলি ও পৌরসদর জলসা হোটেলে এসব ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে শিশু ধর্ষণ চেষ্টাকারি শাকিব(১৬)ও হোটেল ম্যানেজারসহ ৬ জনকে আটক করেছে।
আটক ধর্ষণকারীরা হলো, সীতাকুন্ডে মুরাদপুর ইউনিয়নের ভাটেরখীল গ্রামের মো. নুর নবীর পুত্র মোহাম্মদ আলীম হোসেন (২২), গুলিয়াখালী খালিদ মেম্বারের বাড়ির মোহাম্মদ জামাল উল্লাহ পুত্র মোহাম্মদ রিফাত (১৯), দক্ষিণ ভাটেরখীল গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে মোহাম্মদ ইমন ইসলাম (২০), একই এলাকার নেছার আহমেদের ছেলে রণি (২০), জসিম উদ্দিনের পুত্র বারেক (২২) ও আবুল কাসেম মিস্ত্রির পুত্র ইমন (২২) এবং জলসা হোটেলের ম্যানেজার দক্ষিণ ইদিলপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে নুর উদ্দিন (৩৮)।
জানা যায়,উপজেলার ভাটিয়ারি তুলাতুলি নামক এলাকায় ৬ বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা করে স্থানীয় বখাটে যুবক শাকিব। এ সময় শিশুটির আত্মচিৎকার শুনে আশে-পাশে লোকজন এসে ধর্ষণ চেষ্টাকারিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। অপরদিকে সীতাকুন্ড উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ভাটেরখীল গ্রামের রাজমিস্ত্রির ছেলে ইমনের সঙ্গে এক মাস পূর্বে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের পরিচয় হয় মিরশ^রাই উপজেলার এলাকার ২২ বছরের এক যুবতীর সাথে।
এর পর থেকে মোবাইল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইমনের সাথে ওই যুবতীর নিয়মিত যোগাযোগ হতো। ইমন গত শনিবার বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ওই যুবতিকে সীতাকুন্ডে ডেকে নিয়ে আসে। সীতাকুন্ডের পৌর সদরের জলসা আবাসিক হোটেলের একটি কক্ষে ওই যুবতীর সাথে শারীরিক সর্ম্পক গড়ে তোলে। পরে নয়ন কৌশলে তার ৫ বন্ধুকে হোটেলে ডেকে নিয়ে এসে একের পর এক গণধর্ষণে মেতে উঠে। শনিবার রাত থেকে শুরু করে রবিবার রাত পর্যন্ত চলে ধর্ষণের মহোউৎসব। থানা থেকে দুইশ গজের মধ্যে এই আবাসিক হোটেলটির অবস্থান। সোমবার ধর্ষণকারি কাছ থেকে ছুটে নিজেই থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ আহত মেয়েটি সীতাকুন্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, থানার পাশে ৫/৬টি আবাসিক হোটেল থাকলেও সেগুলো কোন বৈধতা নেই। এই আবাসিক হোটেলগুলোর কোন তথ্য নেই থানাতেও।
সীতাকুন্ড মডেল থানার ওসি মো.ফিরোজ হোসেন মোল্লা বলেন, “ধর্ষণের শিকার যুবতিটি স্বামী পরিত্যক্ত। এক মাস পূর্বে সীতাকুন্ডের যুবক ইমন সাথে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে তার পরিচয় হয়।
সেই সূত্র ধরে তার সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ঘনিষ্টতা বাড়তে থাকে। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই যুবতীকে সীতাকুন্ডে নিয়ে এসে হোটেল জলসা নামক একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে এসে ৪ বন্ধুসহ গণধর্ষণ করেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছে ধর্ষণের ঘটনাটি রহস্য জনক।
একইভাবে ভাটিয়ারি এলাকায় একটি শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা করার পর স্থানীয় ধর্ষণকারিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। পৃথক দুটি বিষয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। আমরা অভিযান চালিয়ে ৬ আসামীকে আটক করেছি।”