মোঃ জাহেদ চৌধুরী,সীতাকুণ্ড টাইমসঃ
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড আইসিটি মামলায় ইব্রাহিম খলিল(৫৫)নামে এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে মডেল থানা পুলিশ। রবিবার সকালে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেফতার পূর্বক তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মো.সাইফুল ইসলাম বলেন,“গ্রেপ্তারকৃত আসামী খলিল দূধর্ষ প্রতারক। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলার মধ্যে দুটি আইসিটি মামলায়সহ প্রতারণার অভিযোগে মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামী উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বগাচতর মৃত আবদুল হাদীর পুত্র।
জানা যায়,প্রতারক ইব্রাহিম খলিল সীতাকুন্ড উপজেলার একেক সময় একেক পরিচয় দিয়ে সাধারণ জনগনকে হয়রানি করে আসছিল। সম্প্রতি সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান এম হেদায়েত ও সাবেক প্রেসক্লাবের সভাপতি এম সেকান্দর হোসেন নামে দুইজনকে জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে অশ্লীল ভাষায় সামাজিক হেয় করার স্বার্ধে বিভিন্নভাবে লিখে আসছে।
এরপর হেদায়েত ও এম সেকান্দর স্ব স্ব ভাবে আলাদা আলাদা আইসিটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ৫ মাস মামলার হওয়ার সময় অতিবাহিত হলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। রবিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় জনগনের সহায়তায় তাকে আটক পরবর্তী আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এছাড়াও দূধর্ষ ইব্রাহিম খলিল উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের অধিবাসি ইসহাকের কাছ থেকে ভুমি অফিসের কর্মচারী পরিচয় দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। কাজ না হলে টাকা ফেরত চাইলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেন। ভোক্তভোগী ইসহাক মামলা দায়ের করছেন।
এ বিষয়ে মো.ইসহাক বলেন,“ইব্রাহিম খলিল ভুমি অফিসের কর্মচারী পরিচয় দিয়ে আমাকে নামজারী করে দিবে বলে ২৪ হাজার টাকা নেয়। কিন্ত দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও আমার নামজারীও করে দেয়নি। বরং টাকা চাইলে পুলিশ দিয়ে হয়রানি ও মেরে ফেলার হুমকি দেয়।”
অপরদিকে আইসিটি মামলার বাদী সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট্রের চেয়ারম্যান এম হেদায়েত বলেন,“দূধর্ষ প্রতারক ইব্রাহিম খলিল। সে একেক সময় একেক পরিচয় দিয়ে মানুষকে হয়রানি করে। তার প্রতারণায় অতিষ্ঠ সাধারণ জনগণ।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সীতাকুন্ড থানার ওসি মো.ফিরোজ হোসেন মোল্লা বলেন,“গ্রেফতারকৃত ইব্রাহিম খলিলের বিরুদ্ধে সীতাকুন্ড থানায় দুটি আইসিটি মামলাসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে। আমরা আসামীকে গ্রেফতার পূর্বক আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছি।”