০২ জুন (সীতাকুন্ড টাইমস ডটকম)- দেশের অন্যতম ফুড কোম্পানী প্রাণের পণ্যে বিষাক্ত ফরমালিন মেশানোর ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভুক্তভোগীসহ সাধারণ মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলেও, প্রাণের দাবি পুরোটাই ষড়যন্ত্র।
প্রাণের মত একটি প্রতিষ্ঠানের বিরম্নদ্ধে বিষাক্ত ফরমালিন মেশানোর ঘটনাটি এখন টক অব দ্য কান্টিতে পরিনত হয়েছে।
গত মঙ্গলবার মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় প্রাণের ক্রয়কৃত আমে রাসায়নিক কেমিক্যাল বা ফরমালিন ব্যবহারের বিষয়টি একটি ভ্রাম্যমান আদালতে ধরা পরার পর থেকেই আতঙ্ক জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে প্রায় ২কোটিও বেশি টাকার আম ধ্বংস ও কেমিক্যাল জব্দ করা হয়। এ ঘটনার পরপরই দেশজুড়ে প্রাণের জুস ও আচার নিয়ে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিষাক্ত কেমিক্যাল বা ফরমালিনের কারণে মানবদেহে নানা ধরণের মরণব্যাধী বাসা বাঁধছে। ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ, লিভারসিরোসিস, হৃদরোগ, বন্ধ্যত্ব ও বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম নেয়ার হার বাড়ছেই।
এদিকে, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই প্রাণের মতো একটি প্রতিষ্ঠানের এ ধরণের কর্মকাণ্ডে গভীর দুঃখ প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে এফবিসিসিআই জানিয়েছে, যখন অবাধ ফরমালিন আমদানি নিষিদ্ধসহ ফরমালিনের অপব্যবহারের বিরম্নদ্ধে আইন প্রনয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে এবং জনগণকে ফরমালিনের ব্যবহারে মারাত্মক ভয়াবহতা সর্ম্পকে সচেতনতা সৃষ্টিতে বিভিন্ন গণমাধ্যমকে সাথে নিয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে তখন একটি শীর্ষ প্রতিষ্ঠিত খাদ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এধরনের কর্মকান্ড খুবই দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। এধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা উচিত।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে প্রাণের সিনিয়র ম্যানেজার (মিডিয়া) সুজন মাহমুদ জানান, প্রাণের পণ্যে কোনো ধরণের কেমিক্যাল মেশানো হয়না। এটা একটা ষড়যন্ত্র।
আলকরণ এলাকার বাসিন্ধা দুলাল জানান, প্রতিদিনই আমার ছোট দুই মেয়ের জুস খাওয়ার বায়না থাকে। এখন যা শুনছি তাতে মনে হচ্ছে টাকা দিয়ে জুস না কিনে নিজের সনত্মানদের বিষ কিনে খাওয়াচ্ছি। কোম্পানীটি অতি মুনাফার আশায় মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। আমরা এর সঙ্গে জড়িতদের বিচার কামনা করছি।