সংবাদ শিরোনাম
Home / জাতীয় / ‘ইতিহাস বিকৃতিকারীরা যেন আর ক্ষমতায় আসতে না পারে’

‘ইতিহাস বিকৃতিকারীরা যেন আর ক্ষমতায় আসতে না পারে’

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ে তোলার দৃঢ় অঙ্গিকার ব্যক্ত করে বলেছেন, বাংলাদেশে আর যেন রাজকার-আলবদর-আলশামস, যুদ্ধাপরাধী, খুনি ও ইতিহাস বিকৃতিকারীরা ক্ষমতায় আসতে না পারে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা হিসেবে দেশকে গড়ে তুলবোই। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আরও এগিয়ে যাবে। আগামী দিনের বাংলাদেশ হবে অর্থনৈতিক মুক্তির ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় শনিবার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত বিশাল সমাবেশ প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

সর্বস্তরের মানুষের ব্যাপক উপস্থিতিতে সমাবেশটি রীতিমত জনসমুদ্রে রূপ নেয়। রাজধানীসহ সারাদেশে সরকারিভাবে শোভাযাত্রা কর্মসূচি পালিত হয়। সারাদেশেই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষরা মেতে উঠেছিল এক অন্যরকম উত্সব, উল্লাসে।

শেখ হাসিনা তার ২২ মিনিটের বক্তৃতায় ঐতিহাসিক ৬ দফা, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, মহান মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনসহ বিভিন্ন প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। ৪৬ বছর আগের এই ভাষণটিকে পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তর পরবর্তী বঙ্গবন্ধুর যে ঐতিহাসিক ভাষণটি ক্ষমতা দখলকারীরা নিষিদ্ধ করেছিল, আজ সেই ভাষণটিই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। প্রশ্ন জাগে, যারা ভাষণটি নিষিদ্ধ ও নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল তাদের অবস্থা এখন কী? যারা এই মহাসত্যকে সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল, ভাষণটি নিষিদ্ধ করেছিল- তারা এখন কোথায় মুখ লুকাবে? আজ প্রমাণ হয়েছে সত্য ইতিহাসকে কখনো মুছে ফেলা যায় না। ইতিহাস চিরদিনই সত্য, চিরভাস্বর। আন্তর্জাতিক এই স্বীকৃতির মাধ্যমে আবারও তা প্রমাণিত হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক এই ভাষণটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদানের জন্য ইউনেস্কোসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউনেস্কোর স্বীকৃতির আগেও যুক্তরাজ্য’র একজন লেখক আড়াই হাজার বছরের ইতিহাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য নিয়ে একটি সংকলন বের করেন। সেখানে ৪১টি শ্রেষ্ঠ ভাষণ স্থান পায়, যার মধ্যে জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণটি গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পেয়েছে। এই স্বীকৃতি যাঁরা স্বাধীনতার জন্য লড়াই-সংগ্রাম করেছেন তাঁদেরও স্বীকৃতি। এই ভাষণে যে কেবল নির্দেশনা ছিল শুধু তাই নয়, ভবিষ্যত্ বাংলাদেশ কেমন হবে, সেটাও বঙ্গবন্ধু বলেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *