সংবাদ শিরোনাম
Home / প্রথম পাতা / কুমিরায় তুলার গোডাউনে আগুন ঃ ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে

কুমিরায় তুলার গোডাউনে আগুন ঃ ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে

সীতাকুণ্ড টাইমস ডেস্কঃ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ছোট কুমিরা এলাকায় নেমসন কন্টেইনার লিমিটেড নামক একটি কন্টেইনার ডিপোর উল্টোদিকে অবস্থিত একটি তুলার গোডাউনে লাগা আগুন চার ঘণ্টাতেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তুলার গোডাউন হওয়ায় এ আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের। আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে কিছুই জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। তবে হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক হবে বলে আশঙ্কা করছে ফায়ার সার্ভিস।
শনিবার (১১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লাগা এ আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট। বেলা তিনটার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রনে আসেনি।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, সকালে তুলার গোডাউনে কয়েকজন শ্রমিক কাজ করছিলেন। এসময় হঠাৎ গোডাউনে রাখা তুলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তে তা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সীতাকুণ্ড ও কুমিরা থেকে চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। গোডাউনটি এসএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মো. লোকমানের কাছ থেকে ভাড়ায় নিয়েছেন সীতাকুন্ডের শিল্প প্রতিষ্ঠান ইউনিট্যাক্স লিমিটেড। কোম্পানিটি এ গোডাউনটি সুতা তৈরীর কাজে ব্যবহৃত তুলার গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন।

সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসে সিনিয়র স্টেশন অফিসার নুরুল আলম দুলাল জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড এবং কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে তাদের সাথে আগ্রাবাদ ও বায়েজিদ অফিসের আরো চারটি ইউনিট কাজে যোগ দেয়।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আব্দুল হামিদ বলেন, যেহেতু তুলার আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে তাই এটি নিয়ন্ত্রণে আসতে সময় লাগবে। ঠিক কত সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তবে পানির তীব্র সংকটের কথা উল্লেখ করে এই কর্মকর্তা বলেন, শুকনো মৌসুম হওয়াতে পার্শ্ববর্তী খাল শুকিয়ে গেছে এবং পাশে পুকুর বা অন্য কোন পানির উৎস না থাকাতে দূরবর্তী স্থান থেকে আমাদেরকে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। যার ফলে কাজ করতে আমাদের বেগ পেতে হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *