সংবাদ শিরোনাম
Home / প্রথম পাতা / সীতাকুণ্ডে লাল’ শ্রেণি বিন্যাস বাতিলের দাবিতে শিপব্রেকিং শ্রমিক ফেডারেশনের মানববন্ধন

সীতাকুণ্ডে লাল’ শ্রেণি বিন্যাস বাতিলের দাবিতে শিপব্রেকিং শ্রমিক ফেডারেশনের মানববন্ধন

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি ::
জাহাজ ভাঙা শিল্পের ‘লাল’ শ্রেণিবিন্যাস বাতিল করে আগের ‘কমলা-খ’ ক্যাটাগরিতে ফিরিয়ে আনার দাবি উঠেছে। পরিবেশ অধিদপ্তর ‘লাল’ হিসেবে শ্রেণীভুক্ত করার কারণে গত দেড় মাস ধরে সীতাকুণ্ড সাগর উপজেলায় অবস্থিত ইয়ার্ডগুলোতে বিদেশ থেকে আনা স্ক্র্যাপ জাহাজ কাটার কাজ বন্ধ রয়েছে।

আর ‘লাল’ ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্তির ফলে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। ‘কমলা’ ক্যাটাগরির হওয়ায় চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন বা ছাড়পত্র নিয়ে বিদেশ থেকে আনা স্ক্র্যাপ জাহাজ কাটার কাজে ব্যবহার করা হতো।

‘লাল’ ক্যাটাগরিতে পড়ার ফলে পরিবেশ ঢাকা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাছ থেকে ছাড় নিয়ে স্ক্র্যাপ জাহাজ কাটার প্রক্রিয়া আবার করতে হবে। ছাড়পত্র পেতে এক থেকে দেড় মাস সময় লাগে। এর ফলে শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের শ্রমিকরা বেকার রয়েছে।

এদিকে, শিপব্রেকিং শ্রমিক ফেডারেশন শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রের সুরক্ষা, পরিবেশ অধিদপ্তরের সৃষ্ট জটিলতা দূরীকরণ এবং শিপব্রেকিং শিল্পের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেছে। গতকাল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ভাটিয়ারী বিএসবিআরএ কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধনে অংশ নেন শিপব্রেকিং ইয়ার্ডের হাজারা শ্রমিকরা।

মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি ও জাতীয় শ্রমিক লীগের সহসভাপতি সফর আলী।

মুহাম্মদ আবদুর রহিম মাস্টারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান বক্তা ছিলেন শ্রমিক নেতা শফি বাঙ্গালী।

বক্তারা বলেন, জাহাজ শিল্পকে পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ২০২৩’এ ‘লাল’ শ্রেণিভুক্তকরনের সিদ্ধান্ত বাতিল করে আগের ‘কমলা’ খ শ্রেণীতে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা। এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ শিল্পকে ‘লাল’ শ্রেণীভুক্ত করা হয়েছে। ঢাকা পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত ছাড়পত্র পাওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করায় ছাড়পত্র প্রক্রিয়াকরণ দুই থেকে আড়াই মাস সময় ক্ষেপণের কারণে শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছে। স্ক্রাব জাহাজ কাটিংও বন্ধ রয়েছে ছাড়পত্রের জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *