সংবাদ শিরোনাম
Home / প্রথম পাতা / করোনায় বিপর্যস্ত শিক্ষা: একটি টেকসই শিক্ষার জন্য আসন্ন বাজেটে চাই শিক্ষা খাতে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ – অধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান আলম সাজু

করোনায় বিপর্যস্ত শিক্ষা: একটি টেকসই শিক্ষার জন্য আসন্ন বাজেটে চাই শিক্ষা খাতে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ – অধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান আলম সাজু

সীতাকুণ্ড টাইমস ঃ
কোভিড-১৯ সারা বিশ্বকে তছনছ করে দিয়েছে। সারা বিশ্বের অর্থনীতি আজ চরম সংকটের সম্মুখীন। অনেক উন্নত দেশ আজ চরম অর্থনৈতিক সংকটে নিপতিত। করোনায় সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাও চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্হ হয়েছে। গত ১৪ মাস দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এতে করে দেশের সর্বস্তরের শিক্ষায় অপুরণীয় ক্ষতি হয়েছে। যে ক্ষতি সহজে পুরণ হবার নয়। করোনার জন্য গতবার এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। ফলে সরকার এসএসসি ও এইচএসসি সহ সকল শ্রেণীতে অটোপ্রমোশন দিতে বাধ্য হয়েছে। অটোপ্রমোশন দেওয়ায় এইচএসসি শ্রেনীতে অনলাইনে কোনরকম ক্লাশ শুরু করা গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় সমুহে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। শিক্ষা পঞ্জি অনুযায়ী এবার ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি এবং ১ প্রিল থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল কিন্তু এখনো তা শুরু করা সম্ভব হয়নি। করোনার জন্য পরীক্ষা দুইটির সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী এসএসসি পরীক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার চল্লিশ কর্মদিবস ও এইচএসসি ক্ষেত্রে ষাট কর্মদিবস শেষ করে দুই সপ্তাহ পর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু করোনার জন্য বার বার তারিখ পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে সরকার। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা মন্ত্রী ইঙ্গিত করেছেন করোনা সংক্রমণের হার ৫% নেমে আসা সাপেক্ষে আগামী ১৩ জুন থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হতে পারে।

এক বছরের অধিককাল যাবৎ দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় প্রায় ৪১ লক্ষ শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন আজ চরমভাবে বিপর্যস্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট প্রবল হয়ে দেখা দিয়েছে। কারো কারো একটি দুইটি পরীক্ষা আটকে যাওয়ায় তারা চাকরি সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় গুলি অনলাইনে ক্লাশ নিলেও এতে খুব বেশি ফল আসেনি। এদিকে পরীক্ষা না হওয়ায় ইতোমধ্যে অনেকের চাকরির বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরাও চরম এক দুরাবস্থার সম্মুখীন হয়েছেন।

করোনার জন্য সরকার অনলাইন,সংসদ টিভি সহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করলেও শহর কেন্দ্রিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ মোটামুটি হলেও দেশের প্রত্যন্ত এলাকার শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল ডিভাইস সহ আধুনিক প্রযুক্তির সাথে এতটা সম্পৃক্ত না থাকা,ইন্টারনেটের গতি কম থাকা, সকলের স্মার্ট ফোন না থাকা ও ইন্টারনেটের অতিরিক্ত খরচ বহনের সক্ষমতা না থাকায় অনেক শিক্ষার্থীই এই সুযোগ গ্রহণ করতে পারেনি। যারা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছে তারাও প্রাকটিক্যাল নির্ভর শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এর ফলে কারিগরি শিক্ষা যেমন ভোকেশনাল, পলিটেকনিক,প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রাকটিক্যাল শিক্ষা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত রয়েছে।

বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের জন্য ১৪ মাসেরও অধিক সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের লেখা পড়ায় অপুরণীয় ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি সহজে পুরণ হবার নয়। দীর্ঘ সময় শিক্ষার্থীরা শ্রেনী কক্ষের বাইরে থাকায় তারা মানসিকভাবে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। যে বয়সে তারা শ্রেনী কক্ষ,খেলার মাঠ ও বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে হই হল্লুর করার কথা সে বয়সে দীর্ঘ সময় তাদের অনেকটা গৃহবন্দী জীবন কাটাতে হচ্ছে। এতে করে তারা মানসিক বিকারগস্ত হয়ে পড়ছে যার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে শিক্ষায়। এ ছাড়া গত ১৪ মাসের অধিক সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের একটি বিশাল অংশ শিক্ষা থেকে ঝড়ে পড়েছে। বিশেষ করে নিন্ম আয়ের মানুষের একটি বিরাট অংশ শিক্ষা থেকে ছিটকে পড়েছে। তাদের অনেকেই পেটের দায়ে শিশু শ্রমিক হিসেবে বিভিন্ন কর্মেও ঢুকে পড়েছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অনেকেই মোবাইল ও ইন্টারনেট আসক্তিতে জড়িয়ে পড়েছে। কেউ কেউ বিভিন্ন অপরাধেও জড়িয়ে পড়েছে। সারা দেশে কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধ ব্যাপক ভাবে বিস্তৃতি লাভ করেছে। সাম্প্রতিক কালের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধের চিত্র বেড়িয়ে আসছে। যা দেশের শিক্ষার ও আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে অপুরণীয় ক্ষতি। এ ছাড়া দীর্ঘদিন পড়ার টেবিলের বাইরে থাকায় তাদের আবার শিক্ষাঙ্গন মুখী করা দুরূহ হয়ে দাড়াবে। এসবের কুফল দীর্ঘদিন জাতিকে বয়ে বেড়াতে হতে পারে।

করোনায় দেশের বেসরকারি শিক্ষা খাত সবচেয়ে বেশি সংকটের নিপতিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বেসরকারি শিক্ষকরাও চরম অর্থ সংকটে নিপতিত হয়েছে। বিশেষ করে দেশের কয়েক হাজার ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিপুল সংখ্যক শিক্ষক আজ চরমভাবে বিপর্যস্ত। এমপিওভুক্ত না থাকায় তারা সরকারি কোন বেতন পান না। প্রতিষ্ঠান থেকে যতসামান্য যে বেতন পেতেন করোনার জন্য শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি বন্ধ থাকায় এসব শিক্ষক কর্মচারীদের বেতনও বন্ধ রয়েছে। ফলে তারা চরম আর্থিক সংকটে নিপতিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাঁরা না পারছেন কারো কাছে হাত পাততে,না পারছেন সংসার সামলাতে। করোনায় সরকারের পক্ষ থেকে লক্ষাধিক শিক্ষক কর্মচারীদের প্রণোদনা হিসেবে পাঁচ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রণোদনার পরিমান সামান্য হলেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষকদের দুসঃসময়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এটাও একটা শান্তনা। বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরাও বাড়িভাড়া বাবদ মাসিক এক হাজার টাকা,পাঁচশত টাকা মেডিকেল ভাতা এবং বেতনের ২৫% উৎসব ভাতা পান যা খুবই নগন্য ও অসম্মানজনক।

এছাড়া করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্হ হয়েছে বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠা বিপুল সংখ্যক কিন্ডারগার্টেন। গত ১৪ মাসে বহু কিন্ডারগার্টেন আর্থিক সংকটে বন্ধ হয়ে গেছে। হাজার হাজার শিক্ষক বেকার হয়ে পড়েছেন। ঝড়ে পড়েছে অসংখ্য শিক্ষার্থী। একথাও অস্বীকার করার উপায় নেই দেশের শিক্ষার অগ্রগতির ক্ষেত্রে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠা এসব প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা একবারে কম নয়। দেশের মোটামুটি সচ্চল পরিবারের শিক্ষার্থীরাই এসব কিন্ডারগার্টেনে লেখা পড়া করে থাকে। সারা দেশে এরকম প্রায় ৬৫ হাজার কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। করোনায় চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কিন্ডারগার্টেন সেক্টরটির বিষয়েও সরকারের নজর দেওয়া প্রয়োজন।

যে মুহুর্তে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উপনিত হয়েছে সে মুহুর্তে করোনার এই মরণঘাতি আঘাত বাংলাদেশের অগ্রগতির ক্ষেত্রে চরম বাধা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। যত বাধাই থাকুক সফল রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে সে বাধা অতিক্রান্ত করে বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকবে এ প্রত্যাশা সকলের।

করোনায় শিক্ষার যে ক্ষতি হয়েছে তা সহজে পুরণ হবার নয়। এই ক্ষতির কুফল দীর্ঘদিন আমাদের বয়ে বেড়াতে হবে। তথাপিও করোনায় বিপর্যস্ত শিক্ষার ক্ষতি পুরণের জন্য এখনই সুদুর প্রসারী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষাকে একটি শক্ত ভীতের উপর দাড় করাতে হবে। একটি টেকসই শিক্ষার জন্য প্রয়োজন সুচিন্তিত স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ গ্রহণ । এক্ষেত্রে সকল স্টেকহোল্ডারদের সাথে পরামর্শ করে এখনই সে উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুুরী হয়ে দাড়িয়েছে।

দেশের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। শিক্ষা খাতে অবশ্যই বাজেট বৃদ্ধি করতে হবে। একটি টেকসই শিক্ষার ভীত রচনা করতে হলে শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। মনে রাখতে হবে শিক্ষায় বিনিয়োগের চেয়ে বড় কোন বিনিয়োগ পৃথিবীতে নেই। শিক্ষায় যে অর্থ ব্যয় করা হবে দীর্ঘকাল তার সুফল রাষ্ট্র ভোগ করবে। বাংলাদেশ বর্তমানে জাতি সংঘের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র। শিক্ষা খাতে জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো প্রস্তাবনা অনুযায়ী শিক্ষা খাতে জিডিপির ৬ শতাংশ বরাদ্দ করার কথা । বাংলাদেশে গত তিন বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের বাজেট বাদ দিলে শুধু শিক্ষা খাতে বরাদ্দ জাতীয় আয়ের বার শতাংশের কাছাকাছি এবং জিডিপির ২.১০ থেকে ২.২০ এর মধ্যে। করোনা পরবর্তী শিক্ষার সংকট মোকাবেলা করতে হলে একবারের বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ উল্লেখযোগ্য পরিমান বাড়াতে হবে। এবারের বাজেটে শিক্ষা খাতে অন্তত জাতীয় আয়ের ১৫% বরাদ্দ দিতে হবে। পর্যায়ক্রমে তা বৃদ্ধি করতে হবে।

বাংলাদেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে আটানব্বই শতাংশ শিক্ষা পরিচালিত হয় বেসরকারি খাতে। সমাজের বিত্তবান ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের প্রতিষ্ঠিত এ সব স্কুল,কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে প্রায় দুই কোটি শিক্ষার্থী ও সাত লক্ষ শিক্ষক কর্মচারী কর্মরত আছে। বেসরকারি শিক্ষা সেক্টরটি আজ অনেক ক্ষেত্রেই উপেক্ষিত। এ কথা অনস্বীকার্য বর্তমান সরকার গত বার বছরে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন ও শিক্ষকদের আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তথাপিও বেসরকারি শিক্ষা এখনো বিভিন্ন ক্ষেত্রে উপেক্ষিত। সরকারি বেসরকারি শিক্ষা ক্ষেত্রে বহু বৈষম্য বিরাজমান। বেসরকারি শিক্ষা খাত এখনো নানা সমস্যায় জর্জরিত। শিক্ষার গুনগত মানোন্নয়ন,শিক্ষকদের মর্যাদা ও আর্থিক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির উপর জোর দিতে হবে। শিক্ষাঙ্গনে ঝড়ে পড়া রোধে আসন্ন বাজেটে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ বৃত্তি বা প্রণোদনা ব্যবস্থা করা,ননএমপিও শিক্ষক কর্মচারীদের এমপিওর আওতায় আনা,এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া, উৎসবভাতা,মেডিকেল ভাতা বৃদ্ধি সর্বোপরি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের সকল শিক্ষাকে জাতীয়করণের আনার লক্ষ্যে বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখতে হবে। জাতীয়করণ এক বছরে সম্ভব না হলেও পর পর তিন অরঅর্থ বছরে তা করা যেতে পারে। কিন্তু একটি টেকসই শিক্ষার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের কোন বিকল্প হতে পারে না।
তবে সরকার বাজেটে শুধু অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি করলেই হবে না। সে অর্থের যথাযথ প্রয়োগও করতে হবে। এ ছাড়া এ ক্ষেত্রে শিক্ষকদেরকেই মুল ভূমিকা পালন করতে হবে। শিক্ষকদেরও মনে রাখতে হবে শিক্ষকতা শুধমাত্র চাকরি নয়। এটা একটা মহান ব্রত। মোমবাতি যেমন আলো বিলাতে বিলাতে নিঃশেষ হয়ে যায় শিক্ষকরাও তেমনি দেশের জন্য আলো বিলায়। তাঁরা জাতির দুঃসময়ে,অন্ধকারে আলোর দিশারি হয়ে জাতিকে পথ দেখায়। সুতরাং করোনায় শিক্ষার অপুরণীয় ক্ষতি থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হলে সরকারের অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দের পাশাপাশি শিক্ষকদের আরো অধিক দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

লেখক: সাধারণ সম্পাদক,স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ,সচিব,বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট,শিক্ষা মন্ত্রনালয়।
ই-মেইল salamshaju@yahoo.cm

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *