সংবাদ শিরোনাম
Home / জাতীয় / কলু থেকে কোটিপতি রানা

কলু থেকে কোটিপতি রানা

rana২৬ এপ্রিল,(সীতাকুন্ড টাইমস ডটকম)- ‘রানা কলুর (তেলের দোকানি) ছেলে। সে অবৈধভাবে উপার্জন করে টাকা পয়সার মালিক হয়েছে। মানুষকে সে কখনো মানুষ বলে ভাবে না। সে সাভার বাসস্টান্ডসহ আশপাশের এলাকার আতঙ্ক।’

তার বাবার নাম আব্দুল খালেক। লোকে তাকে কলু খালেক নামেই চিনতো। তাদের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে।

বৃহস্পতিবার রাতে ক্ষুব্ধ কণ্ঠে এসব কথা বলেন সাভার বাসস্টান্ড এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা রাশেদ উদ্দিন। তিনি রানার উত্থান সম্পর্কে বিস্তারিত জানান।

রাজধানীর টেকনিক্যাল মোড থেকে সাভারের রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপে যাওয়ার পথে যাত্রীবাহী একটি বাসে কথা হয়েছিল তার সঙ্গে।

তিনি বলেন, ‘রানার বাবা ছিল একজন তেল ব্যবসায়ী (কলু)। দিয়ে তেল উৎপাদন করতেন তিনি। সে তেল বাজারে বাজারে বিক্রি করত রানা। তবে তখন তার নাম রানা ছিল না।’

তিনি আরও বলেন, ‘রানা প্রথম অবস্থায় কিছু টাকা পয়সার মালিক হলে স্থানীয় একটি ব্রিক ফিল্ডে কাজ করত। এক পর্যায়ে সে ওই মালিকের সঙ্গে যৌথভাবে ব্যবসা শুরু করে। পরে মালিকের সঙ্গে প্রতারণা করে তার অনেক টাকা আত্মসাৎ করে। ওই ব্রিক ফিল্ড থেকে ইট এনেই ‘রানা প্লাজা’ নির্মাণ করা হয়।’

রাশেদ আরও বলেন, ‘এ ভবনটি তৈরি করার কথা ছিল কুষ্টিয়ার এক কন্ট্রাকটারের। তখন শুনেছি ৭ তলা বিশিষ্ট হবে। কিন্তু পরবর্তীতে এটি ১২তলা করতে নবম তলা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রানা ছিল সন্ত্রাসী। সে সন্ত্রাসী করতে করতে রাজনীতিতে ঢুকে পড়ে। ফলে অল্পদিনে পরিচিতযংং হয়ে উঠে রানা নামে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রানা কখনো মানুষকে মানুষ বলে মনে করতো না। সে তার রানা প্লাজায় কর্মরত শ্রমিকদের দিয়ে মাঝে মধ্যে বড় বড় রাজনৈতিক সভা সমাবেশে করতো। স্থানীয় এমপি মুরাদ জংয়ের সঙ্গে উঠাবসা করতে।’

এ সময় পাশের সিটে বসা রফিকুল ইসলাম নামে এক যাত্রী রাশেদকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘রানার অপকর্মের জন্য আজ তার এ দশা হয়েছে। এটা আল্লাহর গজব।’

রফিকের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ করে রাশেদ বলেন, ‘ভণ্ড ও প্রতারকদের ওপর কখনো আল্লার গজব পড়ে না। এধরণের লোকজরের কারণে সাধারণ ও ইমাদার মানুষের ক্ষতি হয়। তার অপকর্মের জন্য আজ শতশত মায়ের বুক খালি হয়েছে।’

‘সাভারের শ্রমিকেরা তার ফাঁসির জন্য মিছিল করেছে। শুধু ফাঁসি দিলে শ্রমিকের ঋণ শোধ হবে না। তাকে এমন একটা সাজা দিতে হবে যাতে অন্যরাও সতর্ক হয়ে যায়।’ বলেন, ক্ষুব্ধ রাশেদ।

রাশেদ প্রশ্ন রেখে বলেন, একজন তৈল বিক্রেতা থেকে কীভাবে সে কোটিপতি হয়েছে? এটা খতিয়ে দেখা দরকার। দুর্নীতি দমন কমিশন অনুসন্ধান করলে তা বেরিয়ে আসবে বলেও মন্তব্য করেন রাশেদ।

রানা আরও বলেন, ‘ভবন তৈরীর মাত্র তিন বছরের মধ্যে কীভাবে তা ধসে পড়ে। এ ভবন তৈরির সঙ্গে কারা জড়িত। তাদেরকে বের করে বিচার করতে হবে।’

রাশেদের সঙ্গে কথা বলার সময় বাসের অনেক যাত্রী তার কথায় সমর্থন করেন। সুত্রঃ বাংলামেইলনিউজটি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *