সংবাদ শিরোনাম
Home / প্রথম পাতা / ঢাকার পুরুষ শিকারী রুবানা’র দৃষ্টি চট্টগ্রামমুখী

ঢাকার পুরুষ শিকারী রুবানা’র দৃষ্টি চট্টগ্রামমুখী

সীতাকুণ্ড টাইমস প্রতিবেদকঃ

কখনও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা আবার কখনও ফ্যাশন ডিজাইনার এবং ব্যবসায়ী পরিচয় দেয় রুবানা আনোয়ার৷ হাল ফ্যাশনের পোষাক বদলানোর মতন বয় ফ্রেন্ড পাল্টানোর জন্য রাজধানীর অভিজাত এলাকায় বেশ পরিচিত রুবানা৷ এসব কেলেঙ্কারির কারনে এক কন্যা সন্তানের জননী রুবানার সংসার ভাঙ্গে। তবুও নিজেকে সংশোধন না করে আরো বেপরোয়া জীবনে জড়িয়ে পড়ে রুবানা৷ বিবাহ বিচ্ছেদের পর অন্তত তিনজন পুরুষের সাথে সম্পর্কে জড়ালেও রুবানার এসব বেপরোয়া বহুগামী আচরণ দেখে সবাই মানে মানে কেটে পড়ে৷ অভিযোগ আছে সমাজের প্রতিষ্ঠিত সেই মানুষ গুলোর কাছ থেকে রিলেশন ব্রেকাপের ক্ষতিপূরন বাবদ মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন রুবানা৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে রুবানা আনোয়ার নামে ডজন খানেক ফেসবুক আইডি খুলে নিত্য নতুন সম্পর্কে জড়ান রুবানা৷

রাজধানীতে রুবানার ছেলে খেলার মিশন সম্পর্কে জানাজানি হলে সে নতুন সম্পর্কের খোঁজ শুরু করে চট্টগ্রামে৷ বরাবরের মতন সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত ধনী পরিবারের ছেলের সাথে গড়ে তুলে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক৷ বন্ধুত্বের সূত্রে সম্পর্ক তৈরী হয় চট্টগ্রামের এক উদিয়মান ব্যবসায়ী ও চেম্বার পরিচালকের সাথে৷ রুবানা বসবাস করে ঢাকার বসুন্ধরায় আর ব্যবসায়ী চট্টগ্রামে৷ মাঝে মধ্যেই ভাবের আদান প্রদান চলতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে৷

করোনা ভাইরাসে প্রকোপের কারণে নিজের ফ্যাসন হাউজের ব্যবসায় ধ্বস নামলে বিলাসী জীবনে অভ্যস্ত রুবানার অর্থ সংকট দেখা দেয়। রুবানা কৌশলে স্বার্থহাসিলের চেষ্টা শুরু করলে ব্যবসায়ী বুঝতে পারে তিনি ফাঁদে পড়তে যাচ্ছেন৷ ফলে বন্ধ করেদেন সকল যোগাযোগ। হাতের কাছে সোনার ডিম পাড়া মুরগী শিকার করতে না পারায় এক পর্যায়ে প্রকাশ্য ব্লেক মেইলের হুমকি দিতে থাকে ব্যবসায়ীকে৷ এতেও কাজ না হওয়ায় ব্যবসায়ীর সামাজিক মর্যাদা হরনের মিশন নিয়ে হাজির হয় ব্যবসায়ীর পৈত্রিক বাড়িতে৷ ব্যবসায়ির পরিবারের কাছে গিয়ে তাদের ছেলে বৌ দাবি করে রুবানা৷ তবে রুবানার এসব আষাঢে গল্প বিশ্বাস না করায় ফুঁসলে ওঠে রুবানা৷

শেষ অস্ত্র হিসেবে এবার সেই ব্যবসায়ীর বাসার সামনে কয়েকদিন পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে লোক জড়ো করে অপ্রিতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে শেষ পর্যন্ত বিষয়টি স্থানীয় থানা পুলিশে গড়ায়৷ স্থানীয় কোতোয়ালী থানায় গিয়ে এবার রুবানা সেই তরুণ শিল্পপতির বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ তুলেন৷ তবে ঘটনাস্থল ঢাকার উত্তরখান থানায় এলাকায় হওয়ায় সেখানে মামলা করার পরামর্শ দেয়৷

অবশেষে রুবানা আনোয়ার বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে চট্টগ্রাম ভিত্তিক খ্যাতনামা শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজেরও পরিচালকের বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলা দায়ের করে৷ ।

গত রবিবার (৩০ আগস্ট) রাতে ঘটনার শিকার নারী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন উত্তরখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন নিশ্চিত করেছেন। প্রলোভন দেখিয়ে একাধিবার ধর্ষণ করেছেন বলে একজন নারী অভিযোগ করেছেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় মামলা করেছেন তিনি। আমরা মামলা গ্রহণ করে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্নের করেছেন বলে জানান ওসি।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর একবছর আগে ঢাকায় বসবাসরত ওই নারীর সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীরের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর সূত্র ধরে ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর দেখা করেন তারা। তাকে ঢাকার উত্তরখান থানা এলাকার একটি রিসোর্টে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ তুলেন। এরপর থেকে তাকে বারবার বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন এবং আরও কয়েকবার শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করেন।

তবে রুবানার সর্বশেষ আপডেট যুক্ত ফেসবুক আইডি পর্যালোচনা করে দেখা যায় তিনি চলতি আগস্ট মাসের ২৩ তারিখে ফেসবুকে নিজের সম্পর্কের বিষয়টি প্রথম প্রকাশ করেন৷ সেখানে তিনি ২২ আগস্ট ২০২০ এ ইন এ রিলেশম শিপ উল্লেখ করেন৷ এরপর থেকে সেই ফেসবুক ওয়ালে চট্টগ্রামের সেই শিল্পপতিকে জড়িয়ে নানান স্টাটাস চ্যাটের স্ক্রিনশট পোস্ট করা আরম্ভ করে৷
সংগত কারনে প্রশ্ন উঠেছে ২০১৯ সাল থেকে সম্পর্ক শুরু হলে মাত্র ক’দিন আগে কেন জানানো হলো৷

যদি তিনি আসলেই ধর্ষিতা হতেন তাহলে একজন শিক্ষিতা এবং আত্মনির্ভর নারী হিসেবে একজন ধর্ষককে বিয়ের জন্য উল্টো চাপ দেয়া কতোটা যুক্তিসংগত। এছাড়া রুবানার ফেসবুকে ব্যবসায়ীর সাথে যে সকল চ্যাটের স্ক্রিন শট দেয়া আছে সেখানে কোন প্রকার অশ্লিল শব্দ বা ইংগিত দেখা যায়নি৷ বরং সেই ব্যবসায়ী রুবানাকে নামাজ পড়ার অনুরোধ করতে দেখা যায়৷ এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন করা হলেও রুবানা এবং ঐ ব্যবসায়ী ফোন রিসিভ করেন নি।

সূত্রঃ বাংলাদেশ মেইল নিউজ