এম কে মনির,সীতাকুণ্ড টাইমসঃ
যমুনা দাস গেল বছর সাফল্যের সাথেই জেএসসি পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়।স্বপ্ন ছিলো লেখাপড়া করে একদিন অনেক বড় হবে।কিন্তুু বাবার আকস্মিক মৃত্যুতে তার সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে যেতে বসেছিল।পরিবারের একমাত্র উপর্জনক্ষম ব্যক্তিটির মৃত্যুতে নেমে এসেছে শোকের কালো ছায়া। আর এই কালো ছায়া সঙ্গে নিয়ে এসেছে অভাব-অনটনকে।
পিতৃবিয়োগে মেয়েটির জীবন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হলো।অর্থ সংকটে বই খাতা কিনতে না পারায় যমুনার পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল।একপর্যায়ে সে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়।ভেবেই নেয় যে প্রিয় সেই ক্যাম্পাসে আর যাওয়া হবে না।হবেনা প্রিয় সহপাঠীদের সাথে দেখাও।
আনমরা হয়ে যমুনা যখন স্কুলের স্মৃতির চিন্তায় মগ্ন খবর পেয়ে ঠিক তখনি যমুনার বাড়িতে পা রাখেন সীতাকুণ্ড মডেল থানার এসপি(সার্কেল) শম্পা রাণী সাহা।হঠাৎ একজন নারী পুলিশ অফিসারকে নিজ বাড়িতে দেখে বেশ উচ্ছসিত হয়ে উঠেন যমুনা।আর দেরি না করে যমুনা দাশকে সঙ্গে নিয়ে এসপি শম্পা রাণী সাহা উপস্থিত হন যমুনার সেই প্রাণের ক্যাম্পাস কুমিরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে।
এরপর যমুনা দাসকে কুমিরা আবাসিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীতে ভর্তি করিয়ে দেন তিনি এবং পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য বই-খাতা, কলমসহ শিক্ষা উপকরণ সামগ্রী প্রদান করেন।
উল্লেখ যে, সীতাকুণ্ড সার্কেল এসপি শম্পা রানী সাহা এর আগেও গরীব-অসহায় টাকার অভাবে পড়ালেখা করতে পারছেনা এমন অনেককে বই,খাতা ও শিক্ষা সামগ্রীসহ আর্থিকভাবে সহযোগীতা করেন।
এ সময় তিনি কুমিরা আবাসিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ পরিদর্শনে করেন এবং উক্ত কলেজের একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন। তিনি ইভটিজিং রোধ, বাল্য বিয়ে বিষয়ে সর্তক থাকা এবং রাস্তা পারাপারে ফুটওভার ব্রীজ ব্যবহার করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করেন। তিনি যেকোন প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য সীতাকুণ্ড মডেল থানার নাম্বার এবং নিজের ব্যক্তিগত নাম্বার শিক্ষার্থীদেরকে প্রদান করেন।