সংবাদ শিরোনাম
Home / প্রথম পাতা / বদলে যাচ্ছে সীতাকুণ্ড গুলিয়াখালী সৈকতঃঃ সাজানোর নক্সা অনুমোদন

বদলে যাচ্ছে সীতাকুণ্ড গুলিয়াখালী সৈকতঃঃ সাজানোর নক্সা অনুমোদন

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সীতাকুণ্ড টাইমস ঃঃ
সীতাকুণ্ডে পর্যটকদের জন্য আরও নতুন সাজে সাজছে গুলিয়েখালী সমুদ্র সৈকত। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাননের সুপরিকল্পনায় গুলিয়াখালীতে উন্নয়ন প্রকল্পের দৃষ্টি নন্দন সেতু, রিসোর্ট , রেস্তোরাঁ।
প্রকৃতির লীলাভূমি খ্যাত সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সাগর উপকূলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে ঘিরে বিগত প্রায় এক দশক ধরে পর্যটকদের আনাগোনা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমান ইউটিউব-গুগলের যুগে এই সমুদ্রসৈকতের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দ্রুত প্রচারিত হওয়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সারাবছর এখানে ছুটে আসছেন লাখো দর্শক। গত বছর সরকার এই সমুদ্রসৈকতকে স্বীকৃতি দিয়ে পর্যটন স্পট ঘোষণা করে। এর পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সীতাকুণ্ডকে আহ্বায়ক করে গঠন করা হয় গুলিয়াখালী বিচ ব্যবস্থাপনা কমিটিও। সেই থেকে ধীরে ধীরে উন্নয়নের ছোঁয়া পেতে থাকে এই পর্যটন স্পটটি।
গুলিয়াখালী বিচ ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল আলম বলেন, এটি পর্যটন স্পট ঘোষণার আগে থেকেই বিভিন্ন সময়ে এর অবস্থা খতিয়ে দেখতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিবসহ সরকারের বিভিন্ন প্রতিনিধি দল।

তাঁরা বলেন, এই সৈকতের উন্নয়নের জন্য বিচ ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করে দায়িত্ব দেওয়ার পর কর্তৃপক্ষের নির্দেশে একটি নকশাও প্রস্তুত করেছি আমরা। সৈকতের নকশাটি তৈরি করে পাঠানোর পর গত বুধবার এটি অনুমোদন দেয় জেলা প্রশাসন। এতে রয়েছে বেড়িবাঁধ থেকে সৈকতে যাওয়ার জন্য একটি সুবিশাল ওয়াই আকৃতির ওয়াকওয়ে। এটি ওয়াই আকৃতির ওয়াকওয়ে সাগরপাড়ে দুই দিকে চলে যাবে। দুই প্রান্তের একদিক চলে যাবে রিসোর্টে আর অন্যদিক রেস্তোরাঁর সঙ্গে গিয়ে মিলিত হবে। এ ছাড়া পর্যটকদের জন্য একটি জেটি করার পরিকল্পনা আছে, এর মধ্যেই দ্রুত ওয়াশরুম নির্মাণ, সৈকতে গড়ে ওঠা অপরিকল্পিত দোকানগুলোকে একটি নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে নিয়ে আসা, নিয়মিত সৈকত পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনা ইত্যাদি পদক্ষেপ শুরু হবে। সব মিলিয়ে এটি পরিকল্পিত ও মনোরম একটি পর্যটন স্পট করতে কাজ করব আমরা। তবে নকশা অনুমোদন হলেও বড় বড় উন্নয়ন কাজগুলো শুরু হবে বরাদ্দ সাপেক্ষে।
জেলা প্রশাসক বলেন, এ সৈকতকে ঘিরে উন্নয়নে কাজ করার অনেক সুযোগ আছে। সৈকতটিকে ঘিরে নানা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। এরমধ্যে রিসোর্ট তৈরি ও বেড়িবাঁধ থেকে রিসোর্টে যাওয়ার জন্য ভূমি থেকে ১০ ফুট একটি ওয়াকওয়ে নির্মাণ হবে। বর্ষাকালে সাগরপাড় পানিতে তলিয়ে থাকে। তাই ওয়াকওয়েটি দারুণ কাজে আসবে এবং আরো সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। এটি হবে কাঠের তৈরি দৃষ্টিনন্দন। সৈকতে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের ইউনিট চালু করার কার্যক্রম চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *