সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুণ্ড টাইমস ঃ
প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে তার আপন রূপেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠা প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাঁশবাড়িয়া সমুদ্রসৈকতে বৃহস্পতিবার বিকেলে আনন্দ আড্ডায় সময় পার করেছেন জেজেডি ফ্রেন্ডস ফোরাম সীতাকুণ্ডের বন্ধুরা। সূর্যাস্তের অপার সৌন্দর্য ও সাগরের জলরাশির মন ছুঁয়ে যাওয়া ঢেউয়ের দোল মুহূর্তেই মন কেড়েছে উপস্থিত বন্ধু ও সমুদ্রসৈকতে আসা দর্শনার্থীদের। বিস্তৃর্ণ বালুচরে আছড়েপড়া সমুদ্রের বিশাল বিশাল ঢেউ ও পড়ন্ত্ম বিকেলে প্রবহমান ঢেউগুলোর সৌন্দর্য যেন দর্শনার্থীদের দু’হাত বাড়িয়ে কাছে ডেকে নেয়। এতে ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে আসা সাগরের জলরাশিতে নিজেকে মনের মতো করে ভিজিয়ে নেন ফ্রেন্ডস ফোরাম বন্ধুরা। নান্দনিক এ স্থানটি স্বল্প সময়ে পরিচিতি লাভ করলেও এখানে আসা দর্শনার্থীর ভিড় প্রমাণ করছে তার জনপ্রিয়তা। বিকেলে হেলে পড়া সূর্যের আলোয় বালু চরের ওপর বন্ধুদের ছোটাছুটি এবং দূর দিগন্ত্মে আপন মনে চেয়ে থাকা তৃৃপ্ত মুখই বলে দেয় এখানে এসে আনন্দে আত্মহারা তারা। পড়ন্ত্ম বিকেলে সমুদ্রের বালুচরের অস্থায়ী বিশ্রামাগার টেবিলে বসে কিছু সময়ের জন্য আনন্দ আড্ডায় মেতে ওঠেন বন্ধুরা। ফ্রেন্ডস ফোরাম উপদেষ্টা ও সীতাকুণ্ড সংবাদদাতা সবুজ শর্মা শাকিলের সভাপতিত্বে আড্ডায় শামিল হন ফ্রেন্ডস ফোরাম সদস্য ও আমাদের ভাটিয়ারী পেইজের সম্পাদক মো. মামুনুর রশিদ, ফ্রেন্ডস ফোরাম বন্ধু শাহ আলম, রবিউল হোসেন শাহীন, সীতাকুণ্ড অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বিএসসি, দৈনিক আজাদী সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি লিটন কুমার চৌধুরী, আজকের সূর্যোদয় প্রতিনিধি কামরুল ইসলাম দুলু প্রমুখ। আড্ডায় বাঁশবাড়িয়া সমুদ্রসৈকতে সূর্যাস্তের অপরূপ সৌন্দর্য অবলোকন করে মো. মামুনুর রশিদ বলেন, ভাটিয়ারী লেক ও পাহাড়ের চেয়ে অনেক বেশি আকর্ষণীয় বাঁশবাড়িয়া সমুদ্রসৈকতের সৌন্দর্য। সমুদ্রের জলরাশির আছড়েপড়া ঢেউ আর পড়ন্ত্ম বিকেলের শেষে সূর্যাস্ত্মেত্মর অপরূপ দৃশ্য মুহূর্তেই মন কেড়ে নেয়। ঠিক কক্সবাজারের মতো অতি দীর্ঘ না হলেও এখানেও রয়েছে সারি সারি ঝাউ বন আর বালু চর। একইভাবে সূর্যোদয় কিংবা সূর্যাস্ত্মের আবীর রঙের সমুদ্র এখান থেকেও দেখা যায়। তাই এখানে এসে তার ভালোই লাগছে। কক্সবাজার কিংবা কুয়াকাটার মতো প্রচুর লোকের সমাগম এখনো না ঘটায় এই সৈকতের রূপের সঙ্গে যোগ হয়েছে কিছুটা নিঃস্ত্মব্ধতাও, যা শহরের ব্যস্ত্ম একঘেঁয়ে জীবনের অবসান ঘটিয়ে ভ্রমণপিপাসুদের দিতে পারে বাড়তি প্রশান্ত্মি। সাংবাদিক বন্ধু লিটন কুমার চৌধুরী বলেন, বাঁশবাড়িয়া সমুদ্রসৈকতের মনমাতানো সৌন্দর্য মুহূর্তেই মনের সব ক্লান্ত্মি ও হতাশাকে দূর করে মানসিক প্রশান্ত্মি এনে দেয়। সাগরের বেলাভূমিতে সবুজের হাতছানি ও জলরাশির অগনিত ঢেউ নিমিষেই মন কাড়ে আগতদের। আপন রূপে ভ্রমণপিপাসু লোকজনের কাছে পরিচিতি লাভ করা এ সমুদ্রসৈকত অচিরেই এটি সীতাকু-ের দর্শনীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হবে। আড্ডা শেষে সমুদ্রের বেলাভূমিতে উপস্থিত বন্ধু ও আগত লোকজনকে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানে মাতোয়ারা করেন সাংবাদিক বন্ধু কামরম্নল ইসলাম দুলু। শীতের হিম হিম ঠা-াময় পরিবেশে গরম গরম চটপটিতে বন্ধুরা চমৎকার স্বাদের অনুভূতি লাভ করেন। পরিশেষে উপস্থিত সব বন্ধুকে আন্ত্মরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে সভাপতি এ আনন্দ আড্ডার পরিসমাপ্তি ঘোষণা করেন।