সংবাদ শিরোনাম
Home / প্রথম পাতা / সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ.বি.এম আবুল কাসেম মাষ্টার এর ৬ষ্ঠ মৃত্যু বার্ষিকী পালিত

সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ.বি.এম আবুল কাসেম মাষ্টার এর ৬ষ্ঠ মৃত্যু বার্ষিকী পালিত

সীতাকুণ্ড টাইমস ডেস্ক ঃ}

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সাবেক এমপি ও সাবেক প্যানেল স্পিকার মরহুম আলহাজ্ব এ বি এম আবুল কাসেম মাস্টারের ৬ষ্ট মৃত্যুবার্ষিকী আজ বুধবার (২৪ নভেম্বর)। মরহুমের ৬ষ্ট মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে মাস্টার আবুল কাসেম ফাউন্ডেশনের উদ্যেগে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, সকালে মরহুমের কবরে পুস্পমাল্য অর্পন, জিয়ারত,সকাল ৮টায় খতমে কুরআন ও দোয়া মাহফিল।

সকাল ৯টায় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক,সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও সেবামূলক সংগঠনের উদ্যোগে মরহুমের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন। সকাল ১০ টায় সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মরহুমের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন এবং বিকাল ৪ টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যেগে সীতাকুণ্ড আলিয়া মাদ্রাসা মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

মরহুম আলহাজ্ব এ বি এম আবুল কাসেম মাস্টার সীতাকুণ্ডের গণমানুষের নেতা হিসেবে খ্যাত এবং সাবেক প্যানেল স্পিকার ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি সীতাকুণ্ড সংসদীয় আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে দু’বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছাড়াও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন ত্যাগী নেতা হিসেবে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী ছিলেন।

মরহুর আলহাজ্ব আবুল কাসেম ১৯৩৯ সালে জন্ম সীতাকুণ্ডে দক্ষিণ ছলিমপুর গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। পিতার নাম মরহুম আব্দুল জলিল, মাতার নাম মরহুমা আমেনা বেগম। চট্টগ্রামের কাট্টলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা দিয়ে শুরু হয় জীবনযাত্রা। ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ছলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব
পালন করেছেন। ঐ সময় চট্টগ্রাম জেলা চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ছিলেন। ৫২
এর ভাষা আন্দোলন, ৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন ৬৬’র ছয় দফা আন্দোলনসহ ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা পত্রটি ছলিমপুর ওয়ারলেস সেন্টারে আসলে
অপারেটর আব্দুর গাফ্ফারের সহযোগিতায় সাবেক মন্ত্রী এম আর সিদ্দিকী ও জহুর আহম্মদ চৌধুরীর নিকট হস্তান্তর করেন। ১৯৭৫ সালে সীতাকুন্ড আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের তিনি হাল ধরেন। ১৯৮৬ সাল থেকে ২০০৮ পর্যন্ত
আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে চার বার জাতীয় সংসদ নির্বাচন করেন। ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ২ বার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদের প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ঐ সময় স্পীকারের অনুপস্থিতিতে সফলভাবে স্পীকারের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৮ সালে তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বর্ণাঢ্য এই রাজনৈতিক ব্যক্তির
সীতাকুণ্ডের ব্যাপক উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক অবকাঠামো নির্মাণে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *