সংবাদ শিরোনাম
Home / ইউনিয়ন সংবাদ / সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ.বি.এম আবুল কাসেম মাষ্টার এর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী আজ, ব্যাপক কর্মসূচী

সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ.বি.এম আবুল কাসেম মাষ্টার এর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী আজ, ব্যাপক কর্মসূচী

15193581_10205763378842336_1998471931706634174_nকামরুল ইসলাম দুলু,২৪ নভেম্বর (সীতাকুণ্ড টাইমস)
সীতাকুণ্ডের সাবেক এম.পি, সাবেক প্যানেল স্পীকার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এ.বি.এম আবুল কাশেম এর আজ প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী। গত বছরের ২৪ নভেম্বর তিনি ইন্তেকাল করেন।১ম মৃত্যৃ বার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচী গ্রহন করেছে।সকাল ১০ টায় পরিবার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে দক্ষিণ সলিমপুরস্হ পারিবারিক কবরস্হানে পুস্পমাল্য অর্পণ, সকাল ১১ টায় শোকর্যালি,কবর জেয়ারত, মিলাদ মাহফিল এবং রাতে বাসভবনে জেয়াফত এর আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া বিকালে উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যেগে সীতাকুণ্ডে স্বরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও বিকাল ৪ টায় সাবেক এম.পি, বিশিষ্ট রাজনীতিবিধ আলহাজ্ব এ.বি.এম আবুল কাসেম এর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সীতাকুণ্ড সমিতি চট্টগ্রামের উদ্যেগে নগরীর সিটি গেইটস্হ সুজনা স্কয়ারে মরহুমের স্বরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। মরহুর আলহাজ্ব আবুল কাসেম ১৯৩৯ সালে জন্ম সীতাকুণ্ডে দক্ষিণ ছলিমপুর গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। পিতার নাম মরহুম আব্দুল জলিল, মাতার নাম মরহুমা আমেনা বেগম। চট্টগ্রামের কাট্টলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা দিয়ে শুরু হয় জীবনযাত্রা। ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ছলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব
পালন করেছেন। ঐ সময় চট্টগ্রাম জেলা চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ছিলেন। ৫২
এর ভাষা আন্দোলন, ৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন ৬৬’র ছয় দফা আন্দোলনসহ ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা পত্রটি ছলিমপুর ওয়ারলেস সেন্টারে আসলে
অপারেটর আব্দুর গাফ্ফারের সহযোগিতায় সাবেক মন্ত্রী এম আর সিদ্দিকী ও জহুর আহম্মদ চৌধুরীর নিকট হস্তান্তর করেন। ১৯৭৫ সালে সীতাকুন্ড আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের তিনি হাল ধরেন। ১৯৮৬ সাল থেকে ২০০৮ পর্যন্ত
আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে চার বার জাতীয় সংসদ নির্বাচন করেন। ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ২ বার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদের প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ঐ সময় স্পীকারের অনুপস্থিতিতে সফলভাবে স্পীকারের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৮ সালে তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বর্ণাঢ্য এই রাজনৈতিক ব্যক্তির
সীতাকুণ্ডের ব্যাপক উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক অবকাঠামো নির্মাণে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *