সংবাদ শিরোনাম
Home / প্রথম পাতা / কোন প্রকার হয়রানী ছাড়াই ভূমি নামজারী করালেন এক বৃদ্ধ

কোন প্রকার হয়রানী ছাড়াই ভূমি নামজারী করালেন এক বৃদ্ধ

  • মরার আগে এর চেয়ে খুশির খবর আমার কাছে কিছুই নেই
    সীতাকুণ্ডে বৃদ্ধের বিনা খরচে নামজারি করে দিলেন এসিল্যান্ড

    মোঃ জাহাঙ্গীর আলম,সীতাকুণ্ড টাইমস ঃ শেষ সম্বল একখন্ড জমি আছে নামজারি নাই। টাকার অভাবে নামজারি করার সাহস পাচ্ছিলনা সীতাকুণ্ডের বৃদ্ধ মোতালেব। অবশেষে সীতাকুণ্ড সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলম এর সাক্ষাতে মিলল নামজারি খতিয়ান তাও আবার বিনামুল্যে। বৃদ্ধ মোতালেব খুশিতে দিশেহারা হয়ে প্রতিবেদককে বলল মরার আগে এর চেয়ে খুশির খবর আমার আর কিছুই হতে পারেনা।

    সীতাকুণ্ডে এসিল্যান্ডের বিনামূল্যে নামজারী হাতে পেলেন বৃদ্ধ আব্দুল মোতালেব (৮৩)। চরম আর্থিক সংকটের কারণে দীর্ঘদিন যাবত ওই বৃদ্ধ খতিয়ান নামজারি করতে পারছিলেন না । এ বিষয়টি সীতাকুণ্ড উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমির কাছে অবহিত করার পরই বৃদ্ধ আব্দুল মোতালেবকে বিনামূল্যে নামজারি করে দেন এসিল্যান্ড। মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ৮৩ বছরের বৃদ্ধ আব্দুল মোতালেবকে বিনামূল্যে (সরকারি ফি ছাড়া) নামজারি করে দেওয়া হয়। সূত্রে জানা যায়, গত (১ ডিসেম্বর) খোলা আকাশের নিচে অফিস চলাকালে বৃদ্ধ আব্দুল মোতালেব সীতাকুণ্ড উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: আশরাফুল আলমের কাছে সরাসরি এসে জানান, তিনি তার শেষ সম্বলটুকু অর্থের অভাবে নামজারি করতে পারছেন না। এ সময় বৃদ্ধের কান্না জড়িত কন্ঠ শুনে সহকারী কমিশনার (ভূমি) দ্রুত সময়ে মধ্যে নামজারির প্রস্তাব পাঠানোর জন্য সদর ইউনিয়ন (ভূমি) কর্মকর্তা শাহ আলমকে নির্দেশ দেন। এরপর এসিল্যান্ড মো: আশরাফুল আলম নিজের বেতনের টাকা হতে বৃদ্ধ আব্দুল মোতালেবকে ডিসিআর বাবদ সরকারি ফি সম্পূর্ণ নিজেই দেন। গত মঙ্গলবার সকালে বৃদ্ধ সৃজিত খতিয়ান হাতে পান। নামজারী খতিয়ান হাতে পেয়ে উচ্চসিত হয়ে বৃদ্ধ আব্দুল মোতালেব বলেন, নিজের বলতে এক খণ্ড জমি ছিল। কিন্তু টাকার অভাবে সেই জমিটুকু নামজারি করতে পারছিলাম না। পরে মানুষের কাছ থেকে সীতাকুণ্ড উপজেলার ভূমি কর্মকতার্র মানবিকতার কথা শুনতে পাই। আমি আমার আর্থিক সমস্যার বিষয়টি এসিল্যান্ডকে জানাই। তিনি সঙ্গে সঙ্গে এক কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। পরে আজ সকালে আমার জমির নামজারি হাতে পেয়েছি। মরার আগে এর চেয়ে খুশির খবর আমার কাছে কিছুই নেই বলে জানান তিনি। সীতাকুণ্ড উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: আশরাফুল আলম বলেন, এক বৃদ্ধ বাবার বয়সী আমার কাছে এসে উনার আর্থিক দৈন্যতার কথা জানান। আমি উনার কথা শুনি। পরে ওই বৃদ্ধের জমির নামজারি সরকারি খরচ নিজে বহন করে নামজারী সৃজন করে দিয়েছি।

  • Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *