সীতাকুণ্ড(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের পৌরসদরস্থ পাক্কা ঘাট জামে মসজিদের ওয়াকফ সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেন মসজিদের অফিসিয়াল মোতোওয়াল্লী মোহাম্মদ আলী ।
১৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মোতোওয়াল্লী মোহাম্মদ আলী লিখিত বক্তব্যে বলেন, শামসুন্নাহার গং ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ওয়াকফ স্টেটের সম্পত্তি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জায়গায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। শামসুন্নাহার গং দীর্ঘদিন ধরে ভূমিদস্যুদের দিয়ে জায়গা দখল করার পাঁয়তারা করে যাচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, আমার দাদা সোলাইমান সওদাগর ওয়াকফ স্টেটের মোতোওয়াল্লী ছিলেন। শর্ত মূলে ১৯৯৩ সালে দাদা মৃত্যুবরণ করার পর আমার পিতা শফিউল আলম মোতোওয়াল্লী ছিলেন। তিনি মারা যাওয়ার পর আমি অফিসিয়াল মোতোওয়াল্লী হই । এদিকে গত মঙ্গলবার পাক্কাঘাট জামে মসজিদের মোতোওয়াল্লী মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে ওয়ারিশদের অর্থ আত্মসাৎকারী এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেন শামছুন্নাহার গং।
উল্লেখ্য ওয়াকফ ষ্টেটের মালিক সোলেমান সওদাগর ওয়াকফ সম্পত্তির দলিলে শর্ত রাখেন যে, মৃত্যুর পর তাহার ঔরষজাত বড় ছেলে শফিউল আলম এবং তৎ পুরুষানুক্রমে ভবিষ্যৎ বংশধরগণ উক্ত ওয়াকফ সম্পত্তির মোতোওয়াল্লী থাকিয়া ওয়াকফকৃত সম্পত্তির আয় হইতে মসজিদের কার্য্যদি,শাসন,সংরক্ষণ ও তদারক করত: নির্ধারিত আয় দ্বারা মসজিদের খরচ প্রদান করিবেন এবং উক্ত ওয়াকফ সম্পত্তিতে থাকা দোকান গৃহের উপস্বত্ত্ব হইতে শতকরা ১০ভাগ মোতোওয়াল্লীর বেতন বাদ দিয়ে বাকি আয়ের শতকরা ৪০ ভাগ মসজিদ বাবৎ,শতকরা ৫ ভাগ দান খয়রাত এবং শতকরা ৫৫ ভাগ মোতোওয়াল্লীর নিজ ও অপরাপর আওলাদদের ভরণ পোষণের জন্য নির্ধারিত থাকিবে।
উক্ত প্রেক্ষিতে সোলেমান সওদাগরের দুই মেয়ে ওয়াকফ স্টেটের মালিকানা দাবি করে ভাইপো মোহাম্মদ আলী উক্ত সম্পত্তি এককভাবে ভোগদখল করছেন বলে অভিযোগ করেন সংবাদ সম্মেলন করেন।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনের উল্লিখিত বক্তব্যকে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে এবং এ বিষয়ে ওয়াকফ প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত আপত্তি বিচারাধীন রয়েছে বলে জানান বর্তমান মোতওয়াল্লী মোহাম্মদ আলী।
স্থানীয় প্রেসক্লাবে উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মোতোওয়াল্লী মোহাম্মদ আলীর ছোট ভাইয়ের স্ত্রী মনি আক্তার, ইকবাল হোসেন, শাকিব।