সংবাদ শিরোনাম
Home / প্রথম পাতা / সীতাকুণ্ড সৈয়দপুরের বিদ্যুৎ দূর্ঘটনায় দুই হাত কেটে ফেলা স্কুল ছাত্র নাজমুল এর সাহায্যের আকুতি

সীতাকুণ্ড সৈয়দপুরের বিদ্যুৎ দূর্ঘটনায় দুই হাত কেটে ফেলা স্কুল ছাত্র নাজমুল এর সাহায্যের আকুতি

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) ঃ
বাবা ভূমিহীন কৃষক । ২ ছেলে ৩ মেয়ে নিয়ে করোনা মহামারিতে অভাব অনটনে যাচ্ছে দিন। তাই বাবাকে আর্থিক সহযোগিতা করতে কাজে নামল স্কুল পড়ুয়া ছাত্র নাজমুল । ভাগ্যের নির্মম পরিহাস থাই মিস্ত্রির সাথে হেলফারের কাজ করতে গিয়ে আজ নাজমুলের জীবন নামের প্রদীপটা নিভু নিভু। বৈদ্যুতিক শর্ট খেয়ে নাজমুলে শরীরটা জলছে যায়। পর্যায়ক্রমে কেটে ফেলতে হেয়েছে তার দুটি হাত। নাজমুলের ভাই কামরুল হাসান জানান গত ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত তাদের প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। পিটে মাংস লাগানো সহ কয়েকটি অফারেশন করাতে হবে। প্রায় আর ও ২মাসের মত হয়ত থাকতে পারে সব মিলিয়ে আরও প্রায় ৩ লাখ টাকা লাগবে। যদি তার ভাইয়ের কেটে ফেলা হাত দুটি লাগাতে হয় তাহলে অনেক টাকার প্রয়োজন। যা তার দরিদ্রবাবার পক্ষে সম্ভব না।
তিনি আরও জানান ইতিমধ্যে সীতাকুন্ড সমিতি চট্টগ্রাম িএর সাবেক সভাপতি লায়ন গিয়াস উদ্দিন ভাইয়ের প্রচারনায় ও আন্তুরিক সহযোগিতায় চিকিৎসাবাবদ কিছু টাকা আমাদের নিকট এসেছে।

যার কথা বলছিলাম ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া
ছেলেটির নাম নাজমুল হোসেন, বয়স মাত্র ১৭ বছর,বাড়ি চট্রগ্রামের সীতাকুণ্ডের সৈয়দপুর ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দপুরের আশু টেনডলের বাড়ি। পিতার নাম মোহাম্মদ হোসেন। জাফরনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেনীতে পড়তো।
আমাদের মতো সেও দুই হাত-পা নিয়ে জন্মেছিল। করোনা মহামারির কারণে পড়াশোনা বন্ধ। গরীব ঘরের সন্তান। পরিবারকে সহযোগিতার জন্য করছিলেন থাইগ্লাস লাগানোর কাজ। হঠাৎ একটি দুর্ঘটনা। ২০২১ সালের ১১ ডিসেম্বর,
বাড়বকুন্ড এলাকায় একটি ঘরের কাজ করতে গিয়ে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ এর লাইনের সাথে লেগে হাত-পা সহ শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়।
চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন বিভাগে ভর্তি করে,চিকিৎসকরা অনেক চেষ্টা করেও নাজমুলেন দুই হাত রাখতে পারেনি,
চিকিৎসার এক পর্যায়ে দুই হাতে পচন ধরায় তা কেটে বাদ দিতে হয় বাধ্য হয়।
দুই হাত বিহীন নাজমুল গত ডিসেমবর থেকে শুয়ে আছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে।
কিভাবে তার বাকি জীবন চলবে।কে তাকে হাতে তুলে প্রতিদিন খাইয়ে দেবে, কে পরিস্কার করে দেবে তার প্রসাব-পায়খানা?
এমন অবস্থায় দুই হাত হারা নাজমুল চোখে মুখে এখন অন্ধকার দেখছেন।
পুরোপুরি সুস্থ হতে কত দিন সময় লাগে তা এখনো অনিশ্চিত।এদিকে গরীব পিতার যা ছিল সহায় সম্বল সবই শেষ এযাবত চিকিৎসা করতে।খুব অর্থ সংকটে আছেন তার বাবা,তাকে দেখতে যান সীতাকুন্ড সমিতি,চট্টগ্রাম নেতৃবৃন্দ,তারা তাকে ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন চিকিৎসা করাতে, এর আগেও তার পাশে দাঁড়িয়েছিল সীতাকুণ্ড সমিতি।
কিন্তু চিকিৎসা সে নাহয় ভাল হলো,তার বাকী জীবন কিভাবে কাটবে এনিয়ে দূরচিন্তায় তার পরিবার।লেখাপড়াতো একেবারেই বাদ, দুই হাত নেই নিজেকে সামলে নিতেই কষ্টসাধ্য,ডাক্তার বলেছে হাতের ক্ষত ভাল হওয়ার পর বিকল্প হাত লাগানোর ব্যবস্হা হতে পারে তবে এই হাত দিয়ে কোন কর্ম করা যাবেনা,এমনকি খাওয়া দাওয়াও করতে পারবেনা।
নাজমুল হোসেন, ওয়াড নং ৩৬, বেড নং ৯, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি আছেন।
তিন বোন দুই ভাই মা বাবা সহ ৭ জন খানেওয়ালা।ঘরের ভিটাবাড়ী ছাড়া আর কিছুই নেই তাদের,নাজমুলের বাবা তার ছেলের চিকিৎবার জন্য হৃদয়বান ব্যক্তির কাছে চিকিৎসার জন্য অর্থ সাহায্য চেয়েছেন। যারা সাহায্য করবেন –
মোঃ আলা উদ্দিন A/C ৪১০৯৩৩০১৯৮৩০০,এ বি ব্যাংক সীতাকুণ্ড শাখা (চাচাত ভাই) । কামরুল হাসান – বিকাশ নং ০১৮৭৬৪১২৮৬৮-(ভাই)।
এই নম্বারে দিতে অনুরোধ করা গেছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *