নির্দেশ বড়ূয়া,২০জুন (সীতাকুন্ড টাইমস ডটকম)-
সীতাকুন্ডে গভীর রাতে কুপিয়ে পায়ের রগ কেটে সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে আওয়ামীলীগ নেতা কাজি মহিউদ্দিন সোহেলকে। এ হত্যাকান্ডের পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা সীতাকুন্ড সদর ও শুকলাল হাটে রাস্তায় গাছ ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করে। ভাংচুর ও অবরোধের ছবি তোলার সময় দৈনিক দিনকালের প্রতিনিধি মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে লাঞ্চিত করে ক্যামরা ভাংচুর করে অবরোধকারীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বুধবার রাত প্রায় ২টার সময় উপজেলা ওয়াপদা গেইটে সোহলের ক্ষত বিক্ষত লাশ দেখতে পায় নৈশপহরী। পরে তাকে সীতাকুন্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে । হাসপাতাল সূত্রে জানাযায় সোহেলের মাথায় ও ২পায়ের রগ কাটা ছিল। সীতাকুন্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানায় খবর পেয়ে তারা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করেছে। তিনি আরও জানায় এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের চেষ্ঠা চলছে।
এদিকে আরও জানাযায় পৌরসদরের মৌলভী পাড়ার মৃত কাজি রুহুল আমিন এর ছেলে পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মহিউদ্দিন সোহেল প্রকাশ সিঙ্গাপুর সোহেল আগামী পৌর নির্বাচনে ৬নং ওয়ার্ড থেকে কাউনিন্সলর প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল। তার মৃত্যুর খবর বাড়িতে পৌছার সাথে সাথে সোহেলের বৃদ্ধ মা, স্ত্রী ও ২ ছেলে মেয়ে বাগরুদ্ধ হয়ে যায়। সোহেল ঘটনার দিন রাতে তার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান গ্রীনসিটির বৈঠক শেষে বাড়ী যাওয়ার কথা ছিল বলে জানা যায়। স্থানীয়রা ধারনা করছে পূর্বপরিকল্পিতভাবে সোহেলকে রাতের কোন এক সময় ধরে নিয়ে নির্জন এলাকায় উপুর্যপরি কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। পরে তাকে সদরের ওয়াপদা গেইটের ডিটিরোডের পাশে ফেলে রেখে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। উপজেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল বাকের ভুইঁয়া জানান পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্ব অবহেলার কারনে আজ সন্ত্রাসীরা আওয়ামীলীগ নেতাকে খুন করে। এদিকে কিছু কিছু আওয়ামীলীগ নেতা এ হত্যাকান্ডের জন্য বিএনপি জামাতকে দায়ী করলেও হত্যাকান্ডের পিছনে রহস্য রয়েছে বলে ধারনা করছে স্থানীয়রা। এদিকে বিএনপির নেতারা জানায় আওয়ামীলীগের আভ্যন্তরীন কোন্দলের জের ধরে এ হত্যা কান্ড হয়েছে। নিরপেক্ষ তদন্ত করে হত্যাকারীদের বিচার চেয়েছে তার পরিবার। উল্লেখ্য আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর পৌর যুবলীগ সেক্রেটারী শামীম চৌধুরী, যুবলীগনেত কাউন্সিলর প্রার্থী এনাম, সাবেক কমিশনার নুরুল আলম কে একই কায়দায় সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করে। এদিকে অবরোধের ছবি তোলতে গিয়ে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা সীতাকুন্ড উপজেলা সভাপতি ও সীতাকুন্ডের অনলাইন পত্রিকা সীতাকুন্ড টাইমস এর সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে লাঞ্চিত ও ক্যামরা ছিনিয়ে নিয়ে ভাংচুর কারার প্রতিবাদ জানিয়েছে সীতাকুন্ড প্রেসক্লাবের সভাপতি এম হেদায়েত সেক্রেটারী কাইয়ুম চৌধুরীসহ প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ।
সীতাকুন্ড পৌর ব্যবসায়ীরা জানায় হত্যাকান্ডের জের ধরে সদরের আলআমিন রেস্তোরা,মধুবন.বনফুল, কামাল এর কুলিংকর্ণার সিঙ্গার সু’রুমসহ প্রায় ২০/৩০টি দোকান ভাংচুর করে। ভয়ে আতংকে ব্যাবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। জন শূন্য হয়ে পরে সীতাকুন্ড। বিক্ষোব্ধকারীরা আমিরাবাদ গ্রামে গিয়ে মডার্ণ হাসপাতালে ব্যাপক ভাংচুর করে। এসময় প্রায় ১০/১২টি বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর চালায়।
এদিকে উপজেলা গেইটের সিএমবি অফিসের পাশে বিএনপি নেতা কালাম মেম্বারের ফার্ণিচারের দোকানে ব্যাপক ভাঙচুর করে। কালাম মেম্বার জানায় তার দোকানে অগ্নিসংযোগ করে মালামাল লটতারাজ চালায়, এতে তার প্রায় ২লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। পরে র্যাব এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে। বিকাল ৪টার পর যানচলাচল শুরু হয়। বাদে আছর জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে সোহেলের লাশ দাফন করা হয়েছে।
Home / উপজেলা সংবাদ / সীতাকুন্ডে কুপিয়ে হত্যা করেছে আওয়ামীলীগ নেতাকে ,প্রতিবাদে ভাংচুর রোড অবরোধ || সাংবাদিকের ক্যামরা ভাংচুর ,প্রেসক্লাবের নিন্দা ||