পৌর প্রতিনিধিঃ সীতাকুণ্ডে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করেছে সুরাঙ্গন খেলাঘর আসর। ১৪ ডিসেম্বর বিকাল ৪ টায় ‘স্মরণে-মননে ৭১ এর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ নামে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়।
উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় এতে আরো অংশগ্রহণ করে মেঘমল্লার খেলাঘর আসর ও বারামখানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
শুরুতে সুরাঙ্গন খেলাঘর আসর প্রাঙ্গণ থেকে সংগঠনের কচিকাঁচা ভাই-বোন ও কর্মীগণের একটি নিরব শোভাযাত্রা সীতাকুণ্ড উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপস্থিত হয়। এরপর বুদ্ধিজীবিদের স্মরণে বধ্যভূমির প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফুলের তৈরি বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায় ও আমন্ত্রিত অতিথিগণ সহ সকলের উপস্থিতিতে শহীদ মিনারে আলোক প্রজ্জলন করা হয়।
অতঃপর শুরু হয় আলোচনা সভা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায় এর সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন কথা সাহিত্যিক দেবাশিস ভট্টাচার্য।
সুজিত পালের সঞ্চালনায় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক লিটন কুমার চৌধুরী, সীতাকুণ্ড মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সুমন বনিক, মোঃ আলমগীর, রেজাউল করিম বাহার, পরেশ দাশ গুপ্ত, নাহিদ চৌধুরী, বিজয় চন্দ্র রায়, জাহেদুল ইসলাম বিটু, ইকবাল হোসেন টিপু, অধ্যাপক উত্তম চৌধুরী, মুন্নি সেন, আমজাদ হোসেন প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঋক ভট্টাচার্য, সালমান অন্তর, আরমান হোসেন, অমিত বড়ুয়া, কাকলী লামা, তন্ময় দাশ, অপি দেবনাথ ও পূজা মজুমদার।
সভায় বক্তারা বলেন, ৭১ এ জাতিকে মেধাশূণ্য করার জন্য ১৪ ডিসেম্বর রাতে তারা একযোগে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে দেশের বরেন্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। তারা মনে করেছিল দেশের মেরুদণ্ড ভেঙে যাবে। এদেশ কখনও মাথা তুলে দাড়াতে পারবে না। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার যে বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর উন্নয়নশীল দেশের একটি রোল মডেলে উন্নিত হয়েছে।
এসময় উপস্থিত সকলে ১৪ ডিসেম্বর নিহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলী জ্ঞাপন করেন।