০৯ জুন (সীতাকুন্ড টাইমস ডটকম)-
আদালত অবমাননার দায়ে জামায়াতের ৩ শীর্ষ নেতার জেল ও অর্থ জরিমানা করায় সোমবার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে জামায়াতে ইসলামী। রবিবার দুপুরে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই হরতালের ডাক দেয়া হয়।
রবিবার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের বেঞ্চ আদালত অবমাননার দায়ে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান ও ঢাকা মহানগর শাখার নায়েবে আমির হামিদুর রহমান আযাদ এমপিকে ৩ মাসের জেল এবং ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ ছাড়া একই মামলায় জামায়াতের মহানগর শাখার সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল সেলিম উদ্দিনকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তবে ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ায় সেলিম উদ্দিনকে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত থেকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য নির্দেশ দেন।
গত ২ জুন এই ৩ জামায়াত নেতাদের আদালত অবমাননার বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন আদেশ দেয়ার জন্য দিন ধার্য করেন। গত ৬ মার্চ ট্রাইব্যুনাল ৩ নেতাকে গ্রেফতার করে ২১ মার্চ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর পুলিশ সেলিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করলেও বাকি ২ জনকে গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয়ে প্রতিবেদন দাখিল করে। তবে সেলিম উদ্দিন ট্রাইব্যুনালের মামলায় জামিনে রয়েছেন।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের এই ৩ নেতার বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে শোকজ নোটিশ জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে ৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মতিঝিলে জামায়াতের এক সমাবেশে সেলিম উদ্দিন বলেন, দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবেন না। সব কিছু হিসাব করে রায় দেন। তিনি বলেন, একটা রায়ই শেষ নয়। রায়ের পর রায়, এরপর বহু প্রতিক্রিয়া আছে। বিষয়টি হালকাভাবে দেখলে চলবে না। দেশকে ‘গৃহযুদ্ধ’ থেকে বাঁচাতে হলে বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল থেকে রায় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।
একই সমাবেশে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, স্কাইপে সংলাপের গোপন তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পর এ ট্রাইব্যুনাল আর এক মুহূর্তও চলতে পারে না।
এ ছাড়া রফিকুল ইসলাম খান গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রেসব্রিফিংয়ে একই ধরনের বক্তব্য দেন। এ সংক্রান্ত সংবাদ বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। এ সংবাদের সূত্র ধরে ৭ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুাল জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ জারি করে সশরীরে হাজির হয়ে বক্তব্যের ব্যাখ্যা চায় ট্রাইব্যুনাল।