আরিশা কানিজ,সীতাকুণ্ড টাইমসঃ
বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ফলে বাংলাদেশের সীতাকুণ্ড উপজেলায় যে অস্থায়ী কিংবা স্থায়ী নেতিবাচক এবং ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে, তা পারিপার্শ্বিক অবস্থার বিবেচনা করলেই বুঝা যায়।
২০১৩ কিংবা ২০১৪ সালেও সীতাকুণ্ড এলাকায় অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু করে নম্বরে -ডিসেম্বর মাসে শুরু হতো হাড়কাঁপানো ঠাণ্ডা। সবার ঘরে ঘরে এবং এলাকায় জমে উঠতো শীতের আমেজে। মাঝে মাঝে তো টানা ১৫ দিন পর্যন্ত শৈত্যপ্রবাহ থাকতো, সূর্যের দেখাই মিলতো না। শীতের সকালে সবার ঘরে জমে উঠতো ভাপা পিঠার আমেজ।
এখন ২০২৩ এ এসে এসব চিত্র বিলিন। পরিবেশে উষ্ণতা এতো বেশি বেড়েছে, যে সেই শীতের আমেজ আর নেই।
বাংলাদেশে একাধারে সমুদ্রস্তরের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা সমস্যা, হিমালয়ের বরফ গলার কারণে নদীর দিক পরিবর্তন, বন্যা ইত্যাদি সবগুলো দিক দিয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং হচ্ছে। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাত্রাও অনেক অনেক বেশি। মালদ্বীপ, টুভ্যালু, টোবাগো -এদের সবার ক্ষেত্রেই এই সবগুলো মানদন্ডই কার্যকর নয়। তাছাড়া মালদ্বীপের মোট জনসংখ্যা বাংলাদেশের অনেক জেলার জনসংখ্যার চেয়েও কম। তাই এই চারটি মানদন্ডেই বাংলাদেশ, জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় শীর্ষে।
প্রাকৃতিক কারণে জলবায়ুতে স্বাভাবিকভাবেই কিছু পরিবর্তন হয়। কিন্তু যে মাত্রায় এখন তাপমাত্রা বাড়ছে তার মানুষের কর্মকাণ্ডেই প্রধানত দায়ী। বনাঞ্চল ধ্বংসের কারণেও বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউজ গ্যাসের নির্গমন বাড়ছে। গাছপালা কার্বন ধরে রাখে। ফলে, সেই গাছ যখন কাটা হয় বা পোড়ানো হয়, সঞ্চিত সেই কার্বন বায়ুমণ্ডলে নিঃসরিত হয়।
পরিশেষে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আমাদের আরো সচেতন হতে হবে, এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে সচেতন হতে হবে। আমাদের মানব প্রজাতি ও পৃথিবী নামক গ্রহটির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে জলবায়ু পরিবর্তন রোধ এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি বিষয়।
লেখকঃ
আরিশা কানিজ
ফেলো, রেডিও সাগর গিরি,
সীতাকুন্ড, চট্টগ্রাম।