নিজস্ব প্রতিবেদক,১৮নভেম্বর(সীতাকুন্ড টাইমস)-
চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধ কর্মে জড়িত ছিলো সীতাকু- সৈয়দপুরের মুরাদ। ডুবাই প্রবাসীর কাছ থেকে চাঁদা না পেয়ে তাঁর বৃদ্ধা মাকে অপহরণের চেষ্ঠার সময় জনতা হাতে আটক গণধোলাইয়ের শিকার হয়ে জেলে যেতে হয়েছে তাকে। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় উপজেলা সৈয়দপুর ইউনিয়নের ব্রিক ফিল্ড এলাকার এ ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসী মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে সীতাকু- থানায় কার্তিক মাস্টারের বাড়িতে ডাকাতি মামলাসহ ১০/১১টি মামলার রয়েছে।
জানা যায়, সীতাকু- থানার পুলিশ সোর্স মোঃ মুরাদ হোসেনসহ তার ৪/৫ জন সহযোগী একই এলাকার বাহার উদ্দিনের ছেলে ডুবাই প্রবাসী মোঃ আলাউদ্দিনের কাছে পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবি করে আসছিলো। তা না পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর বৃদ্ধা মা আমাতুন নুর(৬৫)কে অপহরণের উদ্দেশ্য জোরপূর্বক টেক্সীতে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্ঠা করে। এসময় আলাউদ্দিনের চাচা এগিয়ে আসলে মুরাদসহ তার সহযোগীর তাদের উপর হামলা চালায়। তাদের চিৎকারে আশে-পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে অপহরণকারীদের অন্যরা পালিয়ে গেলেও মুরাদকে ধরা ফেলে স্থানীয়রা। এসময় গণধোলাই দিয়ে তাকে পুলিশে সোপর্দ করে উত্তেজিত জনতা।
আমাতুন নুর বলেন, তাকে অপহরণের চেষ্ঠা করেছিলো মুরাদসহ তার সহযোগিরা। স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। শুক্রবার থানায় মামলা করতে আসলে পুলিশের দুইজন এস আই তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মামলা করতে নিষেধ করে। মামলা করলে তার প্রবাসী ছেলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে পুলিশ শাশিয়ে দেয়। তাই তিনি মামলা না করে ফিরে যান।
সীতাকু- মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার আনোয়ারুল ইসলাম খান বলেন, মুরাদের বিরুদ্ধে মাদককের মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে। ওই ওয়ারেন্টে তাকে চালান দেয়া হয়েছে। সে থানার সোর্সের কাজ করতো বলে তিনি জানান।
সীতাকু- থানার পরিদর্শক(তদন্ত) মোজাম্মেল হক বলেন, স্থানীয় জনতা মুরাদকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। তবে ভুক্তভোগিরা কোন অভিযোগ দায়ের না করায় তার বিরুদ্ধে থাকা ওয়ারেন্টের আলোকে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এব্যাপারে স্থানীয় মেম্বার নুরু উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মুরাদ পুলিশের সোর্স পরিচয় বিভিন্ন জনের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করত। প্রবাসীর কাছ থেকে চাঁদা না পেয়ে তার মাকে অপহরণ করার চেষ্টা করে। সে সীতাকু- থানার দুই দারোগার সোর্স হিসেবে কাজ করে।