কামরুল ইসলাম দুলু, ৩ মে (সীতাকুণ্ড টাইমস. কম)
৩ মে বিশ্ব মুক্ত সাংবাদিকতা দিবস। ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে নামেই আমাদের দেশে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে দিনটি পরিচিত। ১৯৯১ সালে ইউনেস্কোর সাধারণ সভার প্রস্তাব এবং ‘৯৩ সালের ২০ ডিসেম্বর সভার
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতিসংঘ এ দিবসটি ঘোষণা করে। মুক্ত সাংবাদিকতার মৌলিক আদর্শগুলো চিহ্নিত করাই ছিল এ ঘোষণার মূল উদ্দেশ্য।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও গুরুত্বের সঙ্গে দিবসটি পালন করা হয়। মানবাধিকার সার্বজনীন ঘোষণাপত্রের ১৮ ধারায় বলা হয়েছে, প্রত্যেকেরই চিন্তা, বিবেক ও ধর্মের স্বাধীনতার অধিকার রয়েছে।
নিজ ধর্ম অথবা বিশ্বাস পরিবর্তনের স্বাধীনতাও রয়েছে প্রত্যেকের। একইভাবে ১৯ ধারায় বলা হয়েছে প্রত্যেকেরই মতামত পোষণ করা ও প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে। বিনা হস্তক্ষেপে মতামত পোষণ করা এবং যে কোনো উপায়ে রাষ্ট্রীয় সীমানা নির্বিশেষে তথ্য ও মতামত সন্ধান করা, গ্রহণ করা বা জানানোর স্বাধীনতা এই অধিকারের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণা অনুযায়ী জাতিসংঘ মুক্ত স্বাধীন মতামতভিত্তিক সাংবাদিকতা নিশ্চিত করার জন্য সব রাষ্ট্রকে আহ্বান জানায়। কিন্তু মৌলিক স্বাধীনতা সর্বত্র বিপর্যস্ত মত প্রকাশের
স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় অব্যাহতভাবে হস্তক্ষেপ চলে সেন্সর প্রথা, কারাদণ্ড প্রদান এবং কখনো কখনো মৃত্যুদণ্ড প্রদানের মাধ্যমে। জাতিসংঘ মনে করে মুক্ত সাংবাদিকতার প্রাণ হচ্ছে সাংবাদিক। সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন, স্বাধীনতা রক্ষা
করার শপথ গ্রহণ এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ক্ষতিগ্রস্ত ও জীবনদানকারী সাংবাদিকদের স্মরণসহ তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে ১৯৯৩ সাল থেকে এই দিনে বিশ্বের প্রতিটি দেশে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। ১৯৯১ সালে ইউনেসকোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ অনুযায়ী জাতিসংঘ ১৯৯৩ সাল থেকে দিবসটি
পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। মুক্ত সাংবাদিকতার মৌলিক চাহিদাগুলো চিহ্নিত করাই ছিল এর প্রধান লক্ষ্য। দিবসটিতে বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকরা তাদের দায়িত্ব- কর্তব্যের পাশাপাশি অধিকার সচেতন হয়। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে।
প্রেস বার্তা’ সৌজন্যে