সংবাদ শিরোনাম
Home / গ্রাম-গঞ্জ / কোরবানকে সামনে রেখে সীতাকুন্ডে কামারদের দম ফেলার ফুরসত নেই

কোরবানকে সামনে রেখে সীতাকুন্ডে কামারদের দম ফেলার ফুরসত নেই

কামরুল ইসলাম দুলু,৯সেপ্টেম্বর(সীতাকুন্ড টাইমস)
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে গ্রাহক চাহিদা বাড়ায় গোটা সীতাকুন্ড উপজেলায় কামারের দোকান
গুলোতে ব্যস্ততা বেড়েছে। কসাই কিংবা কোরবানিতে অংশ নেয়া ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে দিনরাত অবিরত শ্রমে দা, ছুরি, চাকু,কুড়াল, বটিসহ বিভিন্ন কর্তন সামগ্রী তৈরিতে দম ফেলার ফুরসত পাচ্ছেন না তারা। আর তাই স্বল্প সময়ের এ চাহিদার আনন্দে সংসারের সচ্ছলতা ফেরানোর আশায় প্রাচীন ঐতিহ্যের ধারকরা এখনো এ পেশার মাধ্যমে সুখ-
স্বপ্নের ছকি আঁকছেন তারা। সরেজমিনে
ঘুরে দেখা যায়, পুরো উপজেলায় কামারের ব্যস্ত সময় কাটাতে। কয়লার দগদগে আগুনে লোহাকে পুড়িয়ে পিটিয়ে তৈরি করছেন তারা দা, ছুরি, চাকু, কুড়াল,
কাঠারি, বটিসহ ধারালো কর্তন সামগ্রী। কেউবা অর্ডারকৃত আর কেউবা নিজের লোহা দিয়েই তৈরি করে পাইকারি দরে বিক্রি করছেন। তবে এসব তৈরিতে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি কামারগুলোতে। পুরানো নিয়মেই চলছে আগুনে পুড়ে লোহা হতে ধারালো কর্তন সামগ্রী তৈরির কাজ। কামাররা
জানায়, এ পেশায় অধিক শ্রম। আর শ্রম অনুযায়ী তারা এর যথাযথ মূল্য পান না। কোরবানির পশুর জন্য বেশি প্রয়োজন মনে হওয়ায় সকলেই এখন ছুটছেন কামারদের কাছে। আর এতেই এক মাসে
পেশাটি জমজমাট হয়ে উঠেছে। কামারর। ঈদ যত ঘনিয়ে আসবে বিক্রি ততো বেশী হবে বলে জানান তারা। ঈদুল আযহার অন্যতম ওয়াজিব পশু জবাই করা। আর জবাই করার অন্যতম উপাদান এসব পন্য। সারা বছর তৈরীকৃত এসব পন্য যত বিক্রি হয়না
তার চেয়ে বেশি বিক্রি হয় ঈদ মৌসুমে। সারা বছর তৈরীকৃত এসব পন্য যত বিক্রি হয়না তার চেয়ে বেশি বিক্রি হয় ঈদ মৌসুমে তাই সামান্য লাভে বিক্রি
করছি। সব মিলে ভালোই আছেন সীতাকুন্ড উপজেলার কামার শিল্পীরা। বার আউলিয়াস্হ ফুলতলা এলাকার মৃদুল কর্মকার বলেন, সারা বছর আমাদের তৈরি জিনিসের চাহিদা থাকে। কিন্তু ঈদে
অনেকেই পশু কোরবানির জন্য নতুন ছুরি,
চাপাতি, ব্লেড চাকু কিনতে আসেন। আমরা লোহার এসব জিনিসের চাহিদা কথা মাথায় রেখে আগে থেকেই বেশ কিছু জিনিস বানিয়ে রাখি। আগে অন্য
হাটবাজারে প্রতিদিন বিভিন্ন লৌহজাত জিনিস বানিয়ে গড়ে ৫০০-৭০০ টাকা রোজগার হতো। ঈদ আগে লোহার অস্ত্রেও চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এখন প্রতিদিন ১৫০০ টাকা আয় হয়। হাতে অতিরিক্ত কাজ
থাকার কারণে নতুন কাজ নেয়া বন্ধ করে দিয়েছি। তিনি আরো বলেন, কামারিদের এই ব্যস্ততা চলবে ঈদের আগদিন পর্যন্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *