সংবাদ শিরোনাম
Home / প্রথম পাতা / জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসে গ্রাম আদালতের সেবা ও প্রকল্পের কার্যক্রম প্রদর্শনী

জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসে গ্রাম আদালতের সেবা ও প্রকল্পের কার্যক্রম প্রদর্শনী

সীতাকুণ্ড টাইমস ডেস্কঃ
আজ ২৮ এপ্রিল ২০২৪ সারা দেশের ন্যায় চট্টগ্রাম জেলায় ও জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপিত হয়েছে। সকাল ৯টায় জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গনে দিবসের শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জনাব ড: আজিজ আহম্মদ ভূঁঞা । এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ,চট্টগ্রাম জনাব আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, মেট্রোপলিটন পুলিশ সুপার জনাব কৃষ্ঞপদ রায়, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার, ও সিনিয়র সহকারী জজ জনাব মো ইব্রাহিম খলিল সহ সরকারী বেসরকারী আইনি সেবা প্রদানকারী সংগঠন ও সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ। উদ্বোধন শেষে র‌্যালীতে অংশগ্রহণ করেন বিচারক, আইনজীবি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সহ নানা শেণী পেশার মানুষজন। র‌্যালী আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা, লিগ্যাল এইড মেলা সহ নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে দিবসটি। দিন ব্যাপী মেলায় অংশনেন আইনি সেবা প্রদানকারী ২০টির ও বেশী সংগঠন ও সংস্থা।

মিলে মিশে থাকি ভাই, ন্যায় বিচার পেতে গ্রাম আাদরতে যাই, অল্প সময়ে স্বল্প খরচে দ্রুত ও সঠিক বিচার পেতে চলো যাই গ্রাম আদালতে, এরকম অসংখ্য শ্লোগানে সুসজ্জিত ব্যানার ,ফেস্টুন , স্টিকার সহ নানা প্রকাশনা, প্রচারপত্র আর তথ্য বোর্ড সহ গ্রাম আদালতের সেবা ও কার্যক্রমে মেলা প্রাঙ্গনকে সাজিয়ে তোলেন গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ও ইউএনডিপি বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায় ) প্রকল্প সংশ্লিষ্টজনরা। স্থানীয় ছোট খাটো দেওয়ানী ও ফোজদারি বিরোধ ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে নিস্পত্তির লক্ষ্যে সরকার ২০০৬ সালে গ্রাম আদালত আইন প্রণয়ণ করেন । ২০১৩ সালে এ আইনটি সংশোধন করা হয় এবং ২০১৬ সালে গ্রাম আদালত বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী গ্রামীণ ছোট খাট দেওয়ানী ও ফৌজদারী বিরোধ বিবাদ স্থানীয় ভাবে নিস্পত্তির অন্যতম বিচারিক কাঠামো গ্রাম আদালত। এ আদালতে প্রতিটি মামলার বিচারিক প্রক্রিয়ার শুরু হতে নিস্পত্তি পর্যন্ত প্রতিটি ধাপের জন্য গ্রাম আদালত বিধিমালা ২০১৬ অনুযায়ী ফরমস ও রেজিস্টার এর মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়ায় নথিপত্র প্রস্তুত ও সংরক্ষণ করার বিষয়টি ও মেলায় তুলে ধরা হয় প্রদর্শনী স্টলের মাধ্যমে। গ্রামীন জনগণের দৌড় গৌড়ায় বিচারিক সেবা পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি স্বচ্ছতার সাথে ন্যায় বিচার ও ন্যায্য বিচার নিশ্চিত করার অনন্য ও গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত গ্রাম আদালতের ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়া। গ্রামের সাধারণ দরিদ্র জনগোষ্ঠি নামমাত্র ফিস দিয়ে(দেওয়ানী মামলার ফিস ২০টাকা,ফৌজদারী মামলার ফিস ১০ টাকা) কম সময়ে, কম খরচে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে বিচারিক সেবা নিয়ে উপকৃত হবার সুযোগ রয়েছে।ফলে স্থানীয় বিরোধ সমূহ নিয়ে জেলা আদালতে জনগণকে দৌঁড়াতে হবে না।হতে হবে না কোন রকেমের হয়রানির শিকার। এতে করে জনসাধারণ যেমন স্বাচ্ছন্দে বিচারিক সেবা পাবেন তেমনি উচ্চ আদালতে মামলার জট কমানোর ক্ষেত্রে ও ভূমিকা রাখবে গ্রাম আদালত । কিন্তু গ্রাম আদালত আইন,বিধিমালা এবং এ আদালতের সেবা সম্পকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান,সদস্য,সচিব ও গ্রামীন সাধারণ জনগণ সচেতন নয়। ফলে এলাকার জনগণ সেবা পেতে যেমন পারছেন না তেমনি ইউনিয়ন পরিষদ ও যথাযথ ভূমিকা নিশ্চিত করতে পারছেন না। এ বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ আয়োজন বলে জানান সংশ্লিষ্টজনরা। সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জনাব ড: আজিজ আহম্মদ ভূঁঞা , মেট্রোপলিটন পুলিশ সুপার জনাব কৃষ্ঞপদ রায়, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার, ও সিনিয়র সহকারী জজ জনাব মো ইব্রাহিম খলিল সহ অতিথিরা প্রদর্শনী স্টল সমূহ পরিদর্শন করেন। এ সময় বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের জেলা ম্যানেজার জনাব সাজেদুল আনোয়ার ভূঞা, সৈয়দ মোহন উদ্দিন , উপজেলা সমন্বযকারী জনাব ওসমান গনি , আখি বড়ুয়া সহ প্রকল্প কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *