সংবাদ শিরোনাম
Home / গ্রাম-গঞ্জ / পৌর নির্বাচনে মনোনয়নপত্র পূরণের নিয়মাবলী|| মেয়র পদে ১৫ থেকে ৩০ হাজার ও কাউন্সিলর পদে ৫ হাজার টাকা জামানত||

পৌর নির্বাচনে মনোনয়নপত্র পূরণের নিয়মাবলী|| মেয়র পদে ১৫ থেকে ৩০ হাজার ও কাউন্সিলর পদে ৫ হাজার টাকা জামানত||

1378324_557596637638903_1579105160_nচট্টগ্রাম অফিস,২৭ নভেম্বর(সীতাকুন্ড টাইমস) : আগামী ৩০ ডিসেম্বর ২৩৬টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদেরকে আগামী ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে। মনোনয়নপত্র জেলা অথবা উপজেলা নির্বাচন অফিস হতে বিনামূল্যে সংগ্রহ করা যাবে। তবে মনোনয়নপত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট পৌরসভার বা ওয়ার্ডের ভোটার তালিকার সিডি ক্রয় করতে হবে। প্রতি ওয়ার্ডের ভোটার তালিকার সিডির মূল্য পাঁচশত টাকা। আর ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জামানতের টাকা জমা দিতে হবে। মেয়র পদের জন্য ভোটার সংখ্যার অনুপাতে ১৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা আর কাউন্সিলর পদের জন্য ৫ হাজার টাকা জামানত

মনোনয়নপত্র পূরণের নিয়মাবলী : মনোনয়নপত্র তিনটি খণ্ডে বিভক্ত। এর মধ্যে প্রথম খ-ের প্রথম অংশ প্রস্তাবকারী কর্তৃক পূরণ করতে হবে, দ্বিতীয় অংশ সমর্থনকারী কর্তৃক পূরণ করতে হবে এবং তৃতীয় অংশ মনোনীত ব্যক্তি কর্তৃক পূরণ করতে হবে। মনোনয়নপত্রের দ্বিতীয় খ-ে রয়েছে প্রার্থীর ব্যক্তিগত তথ্যাদি। এছাড়া তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম খণ্ড রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক পূরণ করতে হবে।

যে সব কাগজপত্র দাখিল করতে হবে : মনোনয়নপত্রের সাথে ৫ ধরনের কাগজপত্র দাখিল করতে হবে। এগুলো হলো, হলফনামা (প্রার্থীর সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার সত্যায়িত সনদপত্র সংযুক্ত করতে হবে)। নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহ করার জন্য সম্ভাব্য অর্থ প্রাপ্তির উৎসসমূহ ও সম্ভাব্য ব্যয়ের বিবরণী। ১২ ডিজিটের টিআইএন সনদের কপি এবং সম্পদ বিবরণী সম্বলিত সর্বশেষ দাখিলকৃত আয়কর রিটার্নের রসিদ এর কপি। জামানতের টাকা জমাদানের ট্রেজারি চালান/তফসিলি ব্যাংকের পে-অর্ডার/পোস্টাল অর্ডারের কপি। রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থীর ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন অথবা স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে প্রার্থিতার স্বপক্ষে ১০০ জন ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা।

একজন প্রার্থী শুধুমাত্র একটি পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারেন, একাধিক পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করলে সব মনোনয়নপত্র বাতিল হবে। তবে একই পদে একাধিক মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন, এক্ষেত্রে জামানতের টাকা শুধু একটি মনোনয়নপত্রের সাথে জমা দিলেই হবে।

প্রস্তাবক ও সমর্থকের যোগ্যতা : কোন ভোটার প্রস্তাবকারী হিসাবে অথবা সমর্থনকারী হিসাবে মেয়র অথবা সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর বা সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট পদে একটির অধিক মনোনয়নপত্রে তার নাম ব্যবহার করবেন না এবং যদি কোন ভোটার একই পদে অনুরূপ একাধিক মনোনয়নপত্রে তার নাম ব্যবহার করেন, তা হলে এইরূপ সকল মনোনয়পত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।

জামানত

মেয়র : মেয়র নির্বাচনের ক্ষেত্রে, প্রতিটি মনোনয়নপত্রের সাথে, অনধিক ২৫ (পঁচিশ) হাজার ভোটার সম্বলিত নির্বাচনী এলাকার জন্য ১৫ (পনের) হাজার টাকা, ২৫ (পঁচিশ) হাজার এক হতে ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার ভোটার সম্বলিত নির্বাচনী এলাকার জন্য ২০ (বিশ) হাজার টাকা, ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার এক হতে ০১ (এক) লক্ষ ভোটার সম্বলিত নির্বাচনী এলাকার জন্য ২৫(পঁচিশ) হাজার টাকা এবং ১ (এক) লক্ষ বা তদূর্ধ্ব ভোটার সম্বলিত নির্বাচনী এলাকার জন্য ৩০ (ত্রিশ) হাজার টাকা জমাদানের প্রমাণ-স্বরূপ ট্রেজারি চালান বা কোন তফসিলী ব্যাংকের পে-অর্ডার বা পোস্টাল অর্ডার জমা জমা দিতে হইবে।

কাউন্সিলর : কাউন্সিলর (সাধারণ ও সংরক্ষিত) নির্বাচনের ক্ষেত্রে, প্রতিটি মনোনয়পত্রের সহিত ০৫ (পাঁচ) হাজার টাকা জমাদনের প্রমাণ-স্বরূপ ট্রেজারি চালান বা কোন তফসিলী ব্যাংকের পে-অর্ডার বা পোস্টাল অর্ডার জমা দিতে হইবে।

মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের জামানতের টাকা ‘০৬/০৬০১/০০০১/৮৪৭৩’ খাতে জমা দিতে হবে।

কোন প্রার্থীর অনুকূলে একাধিক মনোনয়নপত্র দাখিল করা হলে, একাধিক জামানতের প্রয়োজন হবে না।

দলীয় প্রার্থীর জন্য রাজনৈতিক দলের প্রত্যয়নপত্র : রাজনৈতিক দলের মেয়র প্রার্থীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারী বা তাদের নিকট হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষরিত এই মর্মে একটি প্রত্যয়নপত্র থাকতে হবে যে, উক্ত প্রার্থীকে উক্ত দল হতে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে (মনোনয়নপত্রের সাথে দলের মনোনয়ন সংযুক্তি-২ অনুসারে)। কোন রাজনৈতিক দল কোন পৌরসভায় একাধিক ব্যক্তিকে মেয়র পদে মনোনয়ন প্রদান করতে পারবে না, একাধিক ব্যক্তিকে মনোনয়ন প্রদান করলে সংশ্লিষ্ট পৌরসভায় উক্ত দলের সকল প্রার্থীর মনোনয়পত্র বাতিল বলে গণ্য হবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলকে উহার ক্ষমতা প্রাপ্ত ব্যক্তির নাম, পদবী, নমুনা স্বাক্ষরসহ একটি পত্র নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ৫ (পাঁচ) দিনের মধ্যে রিটার্নিং অফিসারের নিকট এবং উক্ত পত্রের একটি অনুলিপি নির্বাচন কমিশনেও প্রেরণ করতে হবে।

নির্বাচনের প্রচারের সময় : পৌরসভা নির্বাচনে কোন রাজনৈতিকদল, প্রার্থী বা তাদের পক্ষে কোন ব্যক্তি, সংস্থা, বা প্রতিষ্ঠান ভোট গ্রহণের দিনের ৩ (তিন) সপ্তাহ সময়ের পূর্বে কোন প্রকার নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *