সংবাদ শিরোনাম
Home / প্রথম পাতা / বকেয়া বেতন ও মজুরি কমিশনের দাবীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে শ্রমিকদের মানববন্ধন

বকেয়া বেতন ও মজুরি কমিশনের দাবীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে শ্রমিকদের মানববন্ধন

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : মজুরি কমিশন ও বকেয়া মজুরি প্রদানসহ ১১ দফা দাবিতে দেশের সব রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের শ্রমিকদের ১১ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত লাগাতার আন্দোলনের কর্মসূচি অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এক ঘন্টার মানব বান্ধব করেছে সীতাকুণ্ডের বার আউলিয়াস্হ হাফিজ জুট মিলস এর শ্রমিক কর্মচারীবৃন্দ।উক্ত মানববন্ধনে হাজার হাজার শ্রমিক, কর্মচারী অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে বিশাল একটি মিছিল বের হয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক পদক্ষিণ করে।
সীতাকুণ্ডের পাঁচ পাটকলের অন্তত ছয় হাজার শ্রমিক-কর্মচারী মজুরি ও বেতন পাচ্ছেন না। দেড় থেকে তিন মাস পর্যন্ত বেতন ও মজুরি বকেয়া রয়েছে। ইতোমধ্যে শ্রমিকদের পাওনা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। পাওনা আদায়ে তাঁরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করলেও কোনো সাড়া মেলেনি। ফলে বিজেএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন এসব কারখানার শ্রমিকরা পাওনা আদায়ে আন্দোলনের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে আজ বুধবার একযোগে মানববন্ধন করে তাঁরা।
সীতাকুণ্ড উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশ জুট মিল করপোরেশন (বিজেএমসির) নিয়ন্ত্রণাধীন পাঁচটি জুট মিল রয়েছে। এগুলো হল হাফিজ জুট মিলস, গুল আহমদ জুট মিলস, গালফ্রা হাবীব জুট মিল, এম এম জুট মিলস ও আর আর টেক্সটাইল মিলস লি.। এসব কারখানার শ্রমিক ও সিবিএ নেতারা জানান, পাটকলগুলোতে হাজার হাজার শ্রমিক দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কাজ করে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে মিলগুলো তাঁদের শ্রমিক-কর্মচারীদের নিয়মিত বেতন ও মজুরি দিচ্ছে না। এভাবে প্রতিটি মিলেই শ্রমিকদের কোটি কোটি টাকা বকেয়া পড়ে থাকায় শ্রমিকরা চরম দুর্দিন পার করছেন। বারআউলিয়া হাফিজ জুট মিলস লিমিটেডের সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মো. দিদারুল আলম চৌধুরী জানান, বর্তমানে হাফিজ জুট মিলের সাড়ে তিন হাজার স্থায়ী-অস্থায়ী শ্রমিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছয় সপ্তাহের বেতনবকেয়া পড়েছে ৫ কোটি ২০ লাখ টাকা। এছাড়া ৬-৭ বছর কোনো শ্রমিক পিএফ-গ্র্যাচুইটিও পাচ্ছেন না। বাস্তবায়ন হচ্ছে না মজুরি কমিশনও। ইতোমধ্যে শ্রমিকদের ৮ সাপ্তাহের বকেয়া বেতন জমে গেছে। কর্মকর্তাদের দুই মাসের বেতন। এখানে নিধারুন কষ্টে দিন কাটছে শ্রমিকদের। হাফিজ জুট মিলসকে ঘিরে কলোনী প্রায় ১৩৭ টি বিভিন্ন দোকান রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে মিলে বেতন না দেওয়াতে দোকানগুলো বন্ধ হয়ে গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *