সংবাদ শিরোনাম
Home / প্রথম পাতা / ভাটিয়ারীতে ব্যবসায়ী অপহরণ করে ৭লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে

ভাটিয়ারীতে ব্যবসায়ী অপহরণ করে ৭লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে

সীতাকুণ্ড টাইমস ডেস্ক ঃ
সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ৭ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার বিকালে এঘটনা ঘটে। রাতে আহত অবস্থায় উক্ত ব্যবসায়ী ও তার সঙ্গে থাকা এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রিকে পুলিশ বার আউলিয়াস্থ হাফিজ জুট মিলসের গেটের সন্নিকটে মহাসড়কের পাশ থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে।
জানা যায়, মঙ্গলবার বিকালে সীবিচের চরপড়া মোড় এলাকার মৃত নেকবর আলীর পুত্র জসিম উদ্দিন (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী রমজান আলী(৩৫) নামের এক ইলেকট্টিক মিস্ত্রিকে সাথে নিয়ে আগ্রাবাদ মোগলটুলী থেকে পুরাতন জাহাজের ইলেকট্রিক মেশিন ক্রয় করতে উপজেলার ভাটিয়ারীতে আসেন। এসময় কৌশলে এক মহিলা ও কয়েকজন যুবক তাদেরকে একটি কালো রঙের মাইক্রোতে তুলে নিয়ে যায়।
এদিকে রাত পৌনে ১২ টার দিকে উপজেলার বার আউলিয়ার হাফিজজুট মিলসের পাশে মহাসড়কের নতুন রাস্তায় একটি নির্জনস্থানে দুইটি লোক পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি এসময় ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানান।
খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানার এসআই জাহাঙ্গীর ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে আহতাবস্থায় দুইজনকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করে। এসময় তারা জানায় ছিনতাইকারীরা তাদের কাছে থাকা টাকা, মোবাইল সেট কেড়ে নিয়ে গাড়িতে করে বেশ কিছুক্ষণ ঘুরানোর পর রাস্তার পাশে নির্জন স্থানে ফেলে দেয়। এব্যাপারে ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিনের পুত্র ইসমাম শাহরিয়ার বলেন, আমার বাবা মঙ্গলবার ইলেকট্টিকের মেশিন কিনতে ভাটিয়ারীতে যায়। বিকালে তার সাথে আমার ফোনে কথাও হয়। ৪টার পর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়, আমরা মনে করেছিলাম, চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ায় ফোন বন্ধ। বাবার সাথে একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রিও ছিল। রাত ১২ টার দিকে এক পুলিশ আমাকে ফোন করে বলেন, আমার বাবা রাস্তার পাশে পড়ে আছেন। তখন আমাকে বলেছেন হাসপাতালে যেতে। বর্তমানে আমার বাবাসহ দুইজন চমেক হাসপাতালের ৩ তলায় ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন। তবে এখনও ঠিকমত সংঙ্গা ফিরে আসেনি। আমরা থানায় মামলা করবো।
এব্যাপারে জানতে রাতেই কথা হয় সীতাকুণ্ড মডেল থানার এসআই জাহাঙ্গীর এর সাথে, তিনি জানান, গতরাতে ৯৯৯ নম্বরের ফোনের কল পেয়ে আমি দ্রুত হাফিজজুট মিলসের কাছে মহাসড়কের পাশ থেকে আহতাবস্থায় দুইজনকে উদ্ধার করি। এতো রাতে কোন এম্বুলেন্স না পাওয়ায় কুমিরা ফায়ার সার্ভিসকে ফোন করে তাদের গাড়ি এনে দুইজনকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *