নিজস্ব প্রতিবেদক (সীতাকুণ্ড টাইমস)-
গরীব ঘরে জন্ম নেয়া হলো আজন্ম পাপ। তাইতো পারিবারিক অভাব অনটনের কারণে খেলাধুলা ও পড়ালেখার বয়সে সংসারের অন্ন যোগাতে নেমে পড়তে হয়েছে দৈনিক বেতনের কর্মে। প্রায় দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে পরিবারের বরণ পোষণে নানা কাজ করতে করতে এক পর্যায়ে ঠাঁই হয়ে উঠে নির্দিষ্ট কর্ম গাছ কাঠার কাজ। দৈনিক কাজের আয়ে চলে সংসারের বরণ পোষণ। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মাম পরিহাস প্রতিদিনের মতই কাজের উদ্দিশ্যে রাস্তায় বের হয়েছিল ঘর থেকে। রাস্তার এপার হতে অপারে যেতে রাস্তায় পা দিতেই ঘটে যাই এক নির্মম দুর্ঘটনা। মহুর্তের মধ্যে দ্রুতগামী বাসের ধাক্কায় নিচে পড়ে পিষ্ট হয়ে যায় দুটি পা। একটুর জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও বাঁচা-মরার সন্ধিক্ষণে হাসপাতালের বেডে কাত্রাতে হচ্ছে দুর্ঘটনায় কবলিত হতবাগা দিনমজুর জসিম উদ্দিনকে।
সীতাকুণ্ড পৌরসভার আমিরাবাদ গ্রামে জন্মগ্রহনকারী জসিম উদ্দিনের এমন কোনো সম্ভল নেই, যা দিয়ে মৃত্যুর দোয়ার থেকে বেচে উঠার। গত ১১ ফেব্র“য়ারী পৌরসদর দক্ষিণ বাইপাসে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এলাকাবাসীর সাহাযার্থে সামান্যতম চিকিৎসা ব্যবস্থা চললেও হারিয়ে গেছে দাঁড়িয়ে চলাচলের স্বক্ষমতা। ডাক্তাররা কিছুটা আশান্বিত করলেও প্রয়োজন হয়ে পড়েছে বড় অংকের অর্থের যোগান। অপারেশন করে পা দুটিকে কিছুটা সুস্থ্য করতে লাগবে প্রায় প্রায় ৩ লাখ টাকা। যে অর্থ যোগান তাঁর দ্বারা খুবই দুঃস্বাধ্য। কে বাচাঁবে তাকে ও তাঁর পরিবারকে? আর তাই গরীব মজুরের সাহাযার্থে মাঠে নেমেছে এলাকাবাসীসহ সর্বস্তরের জনগন। সে সাথে চিকিৎসার খরচ যোগাতে প্রয়োজন হয়ে পড়েছে দানশীল দেশবাসীর সাহায্য। একটি ক্ষুদ্রদান দাঁড় করিয়ে দিতে পারে একটি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষের জীবনকে নতুন রুপে গড়ে তুলতে। তাই দানশীল দয়াবান ব্যাক্তিরা এগিয়ে আসার আশায় বুক বেধে আছে আহত জসিমের পরিবার, আন্তীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী।